বিশ্বের অধিকাংশ মানুষেরই এই ঘাম নিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। কোথাও আপনি
সেজেগুজে বেরোলেন এই ঘাম জনিত কারণে আপনার মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। কিংবা
অস্বস্তি লাগে।
অতিরিক্ত ঘামের কারণ
অফিসে কিংবা গাড়ি চালানোর সময় এই ঘাম আমাদের অনেকটা বিরক্তির কারন হয়ে
ওঠে ।হাত, পা, মুখ, বগল ঘামাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপারহিডরোসিস বা
মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বলা হয়। এটি এমন এক রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত স্নায়ুপদ্ধতির
জন্য হয়ে থাকে। তবে আসুন দেখি নেই প্রাকৃতিক উপায়ে এখান থেকে আপনি কি করে
মুক্তি পাবেন।
অতিরিক্ত ঘামের প্রতিকার
১. ভিটামিন বি টুয়েলভ এর অভাবে আপনি বেশি করে ঘামবেন। তাই এটি বন্ধ করতে
আপনাকে যেগুলি খাদ্যে বেশি পরিমাণ বি টুয়েলভ আছে সেগুলি আপনাকে খেতে হবে। যেমন
ধরে নিন- ডিম ,গাজর, কলা , বাদাম, শাক ,সবজি মাছ, মাংস।
২.ভিটামিন বি পরিবার যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫যুক্ত খাদ্য। প্রয়োজনে
ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।
৩. বেশি করে পাকা ফলমূল, টাটকা শাকসবজি খাবেন।
৪. শারীরিক দুর্বলতা কারণেও আপনি বেশি ঘামতে পারেন। তাই আপনি সবসময় পুষ্টিকর
খাবার খাবেন।
৫. আয়োডিনযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন ।যেমন -ব্রকলি ,গরুর মাংস, সাদা
পেঁয়াজ, খাবারে লবণ।
৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৭. বিভিন্ন বাজার থেকে কেনা পাউডার এগুলি ব্যবহার করা বন্ধ করুন ।এগুলো
ঘাম বন্ধ করার থেকে আরও বেশি মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়।
হাত ঘামা থেকে মুক্তির উপায়
৮. শসাতে লবণ না মেখে খান।এতে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে এবং ঘাম কমে যাবে।
৯. চা-কফি এগুলি কম পান করুন।কারণ এগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।
১০. বেশি করে জল খান। এবং দিনে চার-পাঁচবার করে হাত পা মুখ ধুয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে টিপস
ঘামের কারণে অনেকেই ব্যায়াম করতে ভয় পান। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর
তরতাজা থাকে । সামান্য হাঁটাচলা করে বা বাড়ির কাজ করার মধ্য দিয়েও ব্যায়াম
করা যায়। তাই বসে না থেকে ছোট ছোট কাজ নিজেই করে ফেলুন। প্রচুর জল খান। সম্ভব
হলে পাতলা সুতির জামা পরার চেষ্টা করুন।
Leave a Comment