গুরুজনরা সবসময় বলেন, মানুষের মতো মানুষ হও। ছোটবেলা থেকে যদি আমরা আমাদের সন্তান কে ঠিকঠাক শিক্ষা দিতে পারি , তবে অনেকটাই সহজ হয় এই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পথ। ভাল মানুষ হিসাবে সন্তানকে বড় করতে চাইলে শৈশবেই কিছু কিছু গুণ রপ্ত করাতে হবে ।শুধু শারীরিক বৃদ্ধি নয়, আপনার সন্তানের মানসিক বৃদ্ধিও যেন সঠিক ভাবে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছোটবেলায় পরিবার থেকে সন্তান যে ধরনের শিক্ষা পাবে, বড় হয়ে সেগুলোই চর্চা করবে। তাই মা-বাবাকে সন্তানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন পাঠের দিক্ষা দিতে হবে। ভালো মানুষ হিসাবে সন্তানকে বড় করতে চাইলে শৈশবেই কিছু গুন তাদের মধ্যে আপনাদের শেখাতে হবে।
দেখে নিন কি কি
১/ সহযোগিতার মতো গুণ ছোটবেলা থেকেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলি এমন অপরিহার্য মানবিক বৈশিষ্ট্য যা সমাজকে সম্প্রীতির দিকে চালিত করে। তাদের কে বোঝান সহযোগিতা ছাড়া কোনও মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে পারে না।
২/ শিশুকে শেখান যে কথা বলা এবং মতামত প্রকাশ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অন্যরা যা বলছে তা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকে অন্যের মতামত ও ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখা।
৩/ শিশুদের শেখানো দরকার কী ভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শেখাতে হবে।
৪/ ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ করেই জীবন চলে। কোনও জিনিস মনকে ভারাক্রান্ত করলেও, নিজেকে শান্ত রাখা এবং চাপে কাবু না হয়ে পড়লে তবেই সেই চাপ অতিক্রম করা যায়।
৫/ সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। অনেক সময় ছোটরা না বুঝেই সহপাঠীর কোনও দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করে ফেলে। তাই সন্তানকে শেখাতে হবে, যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও ঠাট্টা ছলে বাজে মন্তব্য করা উচিত নয়।
৬/ অনুপ্রেরণা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জন্যেও জরুরি, এই কথা শিশুদের ছোট থেকেই শেখানোটাও জরুরি। ছোট থেকেই এই শিক্ষা পেলে কঠিন সময়ে ভেঙে পড়বে না সন্তান।
৭/ দুষ্টুমি শিশুরা করবেই। কিন্তু আপনি তাকে শেখান তার দুষ্টুমি যেন কারোর ক্ষতির কারণ না হয়। কারো বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানকার এটে-সেটা অনুমতি ছাড়াই নিয়ে নেওয়া কিংবা দুষ্টুমি করতে গিয়ে সেখানকার কোনো জিনিস নষ্ট করার মতো বিষয় যেন তার দ্বারা না ঘটে।
৮/ আপনার সন্তান যখন কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করবে অথবা চাইবে তখন তাকে ‘প্লিজ বা দয়া করে’ এবং কিছু গ্রহণ করার সময় ‘থ্যাংক ইউ বা ধন্যবাদ’ বলতে শেখান।
৯/ আপনার সন্তানকে সবসময় অনুমতি নিতে শেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে যখনই সে কোনোকিছু বুঝতে পারবে না বা কোনো কিছু করার আগে ভালোর জন্য আপনাকে জিজ্ঞেস করে নেবে।
১০/ অন্যের গোপনীয়তাকে সম্মান করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারো রুমে প্রবেশের দরকার হলে দরজায় নক করা এবং অনুমতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলুন।
১১/ আপনার সন্তানকে টেবিলে খাবার সময় ভদ্রতা সম্পর্কে সচেতন করুন। খাবারের প্লেট তার সামনে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে শেখান।
১২/ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে সম্পর্কে বলুন। খেলাধুলা এবং খাবার পর কিভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হয় তা তাকে শেখান।
১৩/ তাকে বলুন, কেন সবসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, হেরে যাওয়া বা জয়ী হওয়াটা বড় কথা নয়।
১৪/ আপনার সন্তানকে শেখান, সে অন্যের বাড়িতে প্রবেশের সময় অবশ্যই যেন জুতা খুলে প্রবেশ করে।
১৫/ আপনার সন্তানকে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হতেও শেখান। তার দ্বারা যেন পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয় তা শেখান।
Tags – Life Style Parenting Tips
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment