রাতে ভালো করে ঘুমোনোর পরামর্শ সবাই দেন। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর যেমন খারাপ হয়ে যায়, তেমনি মুখে থাবা বসায় বয়সের দাগ, ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে, দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশনও। তবে জানেন কি, কম ঘুম যেমন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি বেশি ঘুমোনোও কিন্তু একইরকম সমস্যার। বেশি ঘুমোনোর ফলে ডিপ্রেশনের কবলে পড়েছেন, এমন উদাহরণও অনেক রয়েছে।
কেন বেশি ঘুমোই আমরা?
সাধারণত প্রতিদিন রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমকে স্বাভাবিক ধরা হয়। নয়-দশ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি ঘুমোলে তা নিশ্চিতভাবেই অতিরিক্ত ঘুমকেই চিহ্নিত করে। কম ঘুম বা অনিদ্রার পিছনে যেমন কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে হতে পারে। থাইরয়েড, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ডিপ্রেশনের কারণে বেশি ঘুম হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যধিক ঘুমে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায়। ফলে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে।
স্লিপ অ্যাপনিয়া- ঠিকঠাক ঘুমের পরও আপনি ক্লান্ত। এই অসুখে প্রবল নাক ডাকার সঙ্গে শ্বাস বন্ধ হয়ে মাঝেমধ্যে ঘুম নষ্ট হয়। ভাঙা ভাঙা ঘুম। ফলে কম ঘুম গোটা দিনের জন্য আপনাকে ক্লান্তিতে ভরিয়ে তোলে।
ওবেসিটি- ঘুমের পরও ক্লান্তি? মোটা হয়ে যাচ্ছেন না তো? ওবেসিটি থাকলে বা শরীরের মেদ জমলে কিন্তু সারাদিন ঘুম পায়।
টেনশন- টেনশন বা ডিপ্রেশন হতে পারে অনিদ্রার কারণ। আর যদি টেনশন বা ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি ওষুধ নেন, তা হলে সারাদিন ঘুম পাওয়াটা স্বাভাবিক।
মদ্যপান- চেতনাকে বশ করে অ্যালকোহল। ফলে প্রচণ্ড ঘুম পায়। রাতে পুরোপুরি সেই ঘুম হয়ে ওঠে না। তাই সকালে গা ম্যাজম্যাজ, মাথা ঝিমঝিম।
কীভাবে বেশি ঘুমোনো বন্ধ করা যায়?
আপনার বেশি ঘুমের পিছনে যদি শারীরিক কোনও অসুস্থতা না থেকে থাকে, তা হলে কিছু সাধারণ টিপস মেনে দেখতে পারেন। অভ্যেস আর ঘুমের প্যাটার্নে সামান্য অদলবদল ঘটিয়েই মুক্তি পাওয়া যায় বেশি ঘুমের হাত থেকে।
ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে, ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে।
ঘুমের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন
ঘুমোনোর জায়গাটা আরামদায়ক হওয়া দরকার। ঘর অন্ধকার আর ঠান্ডা রাখুন।
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন
জাগ্রত অবস্থায় কিছু সচেতন অভ্যেস আপনার ঘুমের রুটিনকে ছন্দে ফেরাতে পারে। চা-কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ঘুমোনোর আগে একেবারেই এ সব খাবেন না।
বাদ দিন দুপুরের ঘুম
দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যেস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু দুপুরের এই ঘুম আপনার ঘুমের ছন্দটাকে নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হলে দুপুরের ঘুমটা বর্জন করুন। বরং এমন কিছু কাজ করুন ওই সময়টায় যাতে ঘুম না আসে।
Tags – Life Style
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment