আমাদের শরীরে জল, ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে কিডনি। পাশাপাশি রক্ত পরিশোধন ও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। সুস্থ থাকতে এর পাশাপাশি সঠিক ডায়েট ফলো করতে হয়। তবে কিডনি রোগীদের খাবার নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে মানুষের মনে।
কিডনির সমস্যা হলে ফলমূল খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। আসলে পটাশিয়াম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত ফলমূল যেমন কলা, ডাব, টমেটো এড়িয়ে চলতে বলা হয়। তবে পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এসব কিডনিবান্ধব ফল।
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে বা প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন গেলে মাছ–মাংসজাতীয় সব আমিষ বন্ধ করে দেন অনেকেই। এটা একেবারেই ভুল। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যার তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা যায়।
শুধু কিডনি বিকল হলে, রক্তে ফসফরাস বা ফসফেটের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায়, সে জন্য অতিরিক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যায় না।
সব কিডনি রোগীরই যে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে, এটা ঠিক নয়। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের মধ্যে যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি এবং যাঁদের সমস্যা চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, কেবল তাঁদেরই উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে।
লাল আঙুর
লাল আঙুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড। যা রক্ত সঞ্চালন স্বভাবিক রাখে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা কিডনির রোগ দূর করে।
আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদরো ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন একটি করে আপেল।
ফুলকপি
ভিটামিন সি, কে এবং বি তে পরিপূর্ণ ফুলকপি। এছাড়া এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। যা নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলে কিডনির সমস্যা সমাধান করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পেইন কিলার জাতীয় ওষুধ থেকে কিডনিতে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই কিনডি সুস্থ রাখতে নিয়মিক ফুলকপি খেতে পারেন।
পালং শাক
খেতে পারেন পালং শাক। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি ও কে থাকে। যা বিটা ক্যারোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রসুন
কিডনি ভালো রাখতে রসুন খেতে পারেন। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি। এগুলো কিডনির রোগ নিরাময় করে।
লেবুর রসঃ লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।
ক্যাপসিকাম
কিডনি সুস্থ রাখতে ক্যাপসিকামের বিকল্প নেই। ভিটামিন ও, সি, বি৬, ফলিড এসিড ও ফাইবারে পরিপূর্ণ ক্যাপসিকাম। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সডেন্ট লাইকোপিনের প্রধান উপাদান। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ডিমের সাদা অংশ
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রোজ ডিম খাওয়া দরকার। এতে থাকে পর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। যা কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার।
Tags – Healthy Food For kidney Patients Health Tips Health Care
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment