স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্ব জিনিস হলো বিশ্বাস। কিন্তু তা নড়তে বেশি সময় লাগে না যদি এসে পড়ে সন্দেহ। স্বামী বা স্ত্রীর জীবনে তৃতীয় ব্যক্তি আছে কি নেই এই সন্দেহতেই ভেঙে যায় অনেক সম্পর্ক। কিন্তু সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভাবার আগে যাচাই করে নিন এই বিষয়গুলি।
প্রথমেই দেখুন আপনার পার্টনারের ব্যবহারে বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে কিনা। অল্পেতেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন কিনা। সে ক্ষেত্রে কথা বলুন।
আপনি কিছু বলেই যাচ্ছেন কিন্তু আপনার পার্টনার অন্যমনস্ক। ভাল করে শুনছেন না আপনার কথা। তাহলে বিষয়টি সন্দেহজনক।
ফোন ধরতে না দেওয়া। বার বার ফোনের পাসওয়ার্ড বদলে দেওয়া। আগের থেকে বেশি নিজের লুকের দিকে খেয়ার রাখা। তাহলে সত্যিই আপনার পার্টনারের জীবনে তৃতীয় কেউ আছে।
হঠাৎ করেই একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়া বাইরের জগতে।
আপনার সঙ্গী কি আপনার দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে আচমকাই অতিরিক্ত কৌতুহল দেখাচ্ছেন? আপনি কখন বাড়ি ফিরবেন, কখন কোথায় বেরবেন ইত্যাদি ঘন ঘন জানতে চাইছেন? তাহলে বুঝতে হবে, তিনি আপনার নজর এড়িয়ে কোনও কিছু করতে চাইছেন।
যদি আপনার সঙ্গী হঠাৎ করেই নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে ওঠেন, তাহলে বিষয়টি একটু চোখে চোখে রেখে দেখুন। যদি দেখেন আপনার সঙ্গী আচমকাই নিজের শরীরের গঠন, সাজ-পোশাক, সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই নজর দিচ্ছেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি হয়তো কাউকে ‘ইমপ্রেস’ করতে চাইছেন।
যদি দেখেন আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে সঙ্গমে বা যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্রমশ উদাসীন করতে চাইছে না তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কে কোনও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে যদি কোনও নতুন নাম আপনার সঙ্গীর মুখে বার বার শোনেন, তাহলে একটু সতর্ক হওয়া জরুরি। খেয়াল করে দেখবেন, নতুন এই মানুষটির সম্পর্কে আপনার সঙ্গীকে আপনি কোনও প্রশ্ন করলে তিনি কি এড়িয়ে যাচ্ছেন?
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ এর কারণ
বহু সম্পর্কেই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আত্মবিশ্বাসের অভাব এর জন্যে। সঙ্গীর কাছ থেকে প্রশংসাসূচক কিছু না শোনা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব, দুইয়ে মিলে মহিলারা অন্য পুরুষের মধ্যে সুখ খোঁজেন।
বিয়ের সময় অনেকেরই মনে সঙ্গীর কাছ থেকে বিপুল প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে হতাশা জন্মায় এবং তা থেকেই সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
শরীরী সম্পর্কে অতৃপ্তি থাকলে বা যৌনজীবন নেহাতই রুটিনে পর্যবসিত হলে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটা খুব স্বাভাবিক।
স্ত্রী সাথে অত তর্ক করতে যাবেন না
স্ত্রী কিছু বলার সাথে সাথেই আমি প্রায়ই তার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে যাই। এ-ক্ষেত্রে কী করণীয়?
স্ত্রীর সাথে যে স্বামী ঝগড়া করে, সে আসলে নির্বোধ। কারণ স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। চিৎকার করে হলেও জিতবে। এ রাউন্ডেও আপনি জিতে যেতে পারেন, যদি গলায় জোর থাকে। আর মিনমিনে গলা হলে আপনি হেরে যাবেন। এরপর ফাইনাল রাউন্ড হলো কান্না। এ রাউন্ডে স্বামী হিসেবে আপনার জেতার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ ছেলেরা আর যা-ই হোক মেয়েদের সঙ্গে কান্নায় পাল্লা দিতে পারে না।
তৃতীয় ব্যক্তির সমস্যা মেটাতে চাইলে প্রথমে খুঁজে বের করতে তৃতীয় ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয়। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিত কেউ হতে পারে।
সঙ্গীর মনের অবস্থা বুঝুন
সমস্যার কুশীলব তৃতীয় ব্যক্তি সঙ্গীকে কতটুকু প্রভাবিত করছে তা বুঝে নিন ভালো করে। যদি অল্প পরিমান প্রভাবিত থাকেন তাহলে সমাধান সহজ। আর যদি বেশি প্রভাবিত হয় তাহলে সঙ্গীকে ফেরাতে কাঠখড়ি পোড়াতে হবে যথেষ্ট। তবে আশা হারাবেন না।
সমস্যার বিষয় পরিষ্কার করুন
সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। অযথা ভয় পেয়ে সমস্যাকে জটিল করার কোনো কারণ নেই। সব কথা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে করে তৃতীয় ব্যক্তির অবস্থান টিকবে না।
সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝান
দুজনের ব্যক্তিগত কথা অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা না করে সঙ্গীকে ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। তৃতীয় ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সঙ্গী ভুল পথে হাঁটছেন, তাকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিন। অনাকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ দুজনের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তাও বুঝিয়ে বলুন।
একে অপরকে সময় দিন
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি তখনই আসে যখন আপনারা দুজন দুজনকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারেন। আপনি হয়তো অনেক বেশি ব্যস্ত, কিন্তু আপনার সঙ্গীর আছে অঢেল সময়। নিজের অবসর সময়ে অপরের সঙ্গে সময় দিয়ে ফাঁদে জড়িয়ে যান। তাই দুজনেই নিজেদের ব্যস্ত রাখুন। অবসরটুকু যেন দুজনই দুজনকে দিতে পারেন সে ব্যবস্থাও করুন।
নিজেকে শুধরান
নিজে হয়তো ব্ন্ধুদের সঙ্গে খুব খোলামনে মিশতে পারেন। কোনো ধরনের আশঙ্কা ছাড়াই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনাও করলেন। সামনের ওপর কিছু না বললেও মনে মনে ক্ষুব্ধ হতে পারে। অথবা, অপরের সঙ্গে মেলামেশাকে একটা বৈধ রূপ দিতে চাইতে পারে। অথচ সঙ্গীর সে বৈধতার মধ্যে অজান্তেই কিছু অবৈধতা ঢুকে পড়েছে। যেখান থেকে সে নিজেকে বের করে আনতে পারে না। আর তখনই সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিজেকে শুধরান আগে।
তৃতীয় ব্যক্তির সমস্যা মেটাতে চাইলে প্রথমে খুঁজে বের করতে তৃতীয় ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয়। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিত কেউ হতে পারে।
সমস্যার কুশীলব তৃতীয় ব্যক্তি সঙ্গীকে কতটুকু প্রভাবিত করছে তা বুঝে নিন ভালো করে। যদি অল্প পরিমান প্রভাবিত থাকেন তাহলে সমাধান সহজ।
সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। অযথা ভয় পেয়ে সমস্যাকে জটিল করার কোনো কারণ নেই। সব কথা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে করে তৃতীয় ব্যক্তির অবস্থান টিকবে না।
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি তখনই আসে যখন আপনারা দুজন দুজনকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারেন। আপনি হয়তো অনেক বেশি ব্যস্ত, কিন্তু আপনার সঙ্গীর আছে অঢেল সময়। নিজের অবসর সময়ে অপরের সঙ্গে সময় দিয়ে ফাঁদে জড়িয়ে যান। তাই দুজনেই নিজেদের ব্যস্ত রাখুন। অবসরটুকু যেন দুজনই দুজনকে দিতে পারেন সে ব্যবস্থাও করুন।
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment