পেটে গ্যাসের সমস্যা এখন প্রতি বাড়িতেই রয়েছে ছোট থেকে বড়। বিশেষত, বাঙালিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। এবার গ্যাস সাধারণত তৈরি হয় অন্ত্রে (Gut)। সকলের শরীরেই গ্যাস তৈরি হয়।
পেটে গ্যাস কি?
পেটে গ্যাস জমা নিয়ে সমস্যায় পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব । এটি বেশ পরিচিত একটি সমস্যা। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সচেতন থাকার পরেও অনেক সময় পেটে গ্যাস জমতে পারে। আর এই অস্বস্তিদায়ক সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত দূর করতে হবে। এটা পেট-ফাঁপা বা ঢেঁকুর তোলার কারণ হয়ে দ্বারায়। অন্ত্রতে প্রায় <200 ml গ্যাস থাকে যেখানে প্রায় 600-700 ml গ্যাস রোজ শরীর থেকে বাতকর্ম রূপে বার হয়। পেট-ফাঁপা একটা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ। পেটের বায়ুতে হাইড্রোজেন, মিথেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর মত গ্যাস থাকে। দুর্গন্ধটা হাইড্রোজেন সালফাইড-এর গন্ধের মত একই রকম হয়।
খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাসের সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই লেগে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় এই মানুষগুলির গ্যাসের পাশাপাশি পেট খারাপ, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা মাঝেমাঝেই লেগে থাকে। পেটের ও অন্ত্রের খেয়াল রাখতে হবে।
বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে এই মানুষগুলি খাবার খাওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। তাঁরা ভালো মন্দ খাবার খাওয়ার লোভও সামলাতে পারেন না। আবার খাবার খাওয়ার আগে ও পরে সেই গ্যাস নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেন।
কেন গ্যাস হয়?
আসলে আমরা যা খাবার খাই তার সমস্তটা হজম হয় না। এবার সেই হজম না হওয়া খাবার বৃহদন্ত্রে পৌঁছালে সেখানে বিপাক ক্রিয়া চলতে থাকে। এবার সেই বিপাকের ফলেই তৈরি হয় গ্যাস।
ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো খাবার থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। মূলত খাবার থেকেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এবার দেখা গিয়েছে যে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, খিদে না পাওয়া, খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকে।
গ্যাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষই খেয়ে থাকেন কিছু অ্যান্টাসিড। তবে এটা গ্যাসের ওষুধ নয়, বরং অ্যাসিডিটি কমায়। তবে পরোক্ষে কিছুটা কাজ হয়। এছাড়া গ্যাসের ওষুধও রয়েছে। তাই চাইলে কোনও মানুষ সেই ওষুধ খেতে পারেন।
পেটে গ্যাস হওয়া স্বাভাবিক। এটি আপনার হজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রত্যেকেরই এই সমস্যা রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ দিনে পাঁচ থেকে ১৫ বার গ্যাস বের করে।
খারাপ অভ্যাস
আপনার কিছু অভ্যাসের কারণে আপনার মুখের মধ্যে বেশি বাতাস চলে যায়। তাড়াতাড়ি খাওয়া বা স্ট্রয়ের সাথে পান করার অভ্যাস পেটে গ্যাস তৈরি করে। যদি আপনার কলম বা কিছু চিবানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে এর অর্থ হল আপনি আপনার পেটে অতিরিক্ত বাতাস নিচ্ছেন যা গ্যাস আকারে বেরিয়ে আসে।
কার্বোনেটেড পানীয়
কার্বনেটেড পানীয় যেমন বিয়ার, সোডা বা কোন বুদবুদ পানীয় পেটে গ্যাস তৈরি করতে কাজ করে। আপনি যদি কার্বনেটেড পানীয় পছন্দ করেন এবং আপনার প্রায়ই গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে পরিবর্তে কিছু সাধারণ পানীয় পান করার চেষ্টা করুন।
খাদ্যাভ্যাসের কারণে
পেটে গ্যাস তৈরির কিছু কারণও হতে পারে নির্দিষ্ট খাবার। যেমন ছোট রাজমা, মটর, ব্রকলি বা শাক, সবুজ শস্য, সাইলিয়ামযুক্ত ফাইবার জাতীয় খাবারও পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ধীরে হজম
যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং খাদ্য আপনার অন্ত্রে ধীরে ধীরে যায়, তাহলে এটি পেটে গ্যাস গঠনের সুযোগ বেশি দেয়। পেটে যখন খাবার দীর্ঘ সময় থাকে, তখন জীবাণুগুলো দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে এবং পেটে গ্যাস তৈরি করে।
আজকের দিনে মিনিটে মিনিটে ফ্যাশন পাল্টায়। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন এবার শীতের ট্রেন্ড কি জেকেট চলছে?…
ধীরে ধীরে শীত পড়ছে…শীতের কনকনেভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে ত্বকের চাই আর্দ্রতা ও পুষ্টি…এর জন্য এই…
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
Leave a Comment