আমরা যেটা ভাবী যে সব ধরনের তেল চুলে ব্যবহার করতে পারবো কিন্তু না,, সব তেল আমাদের চুলের জন্য ঠিকনা….আমরা সব সময় চুলে নারকেল তেলই ব্যবহার করি। নারকেল তেল চুলের সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। একেক তেল চুলের একেক ধরনের সমস্যার সমাধান করে। কোন চুলে কোন তেল ব্যবহার করবেন, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ,,একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।
শুষ্ক চুল
অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং ভেঙে যায়। শুষ্ক চুলের জন্যে আপনারা অলিভ অয়েল কিংবা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল শুষ্ক চুলের রুক্ষতা দূর করে ।।
তৈলাক্ত চুল
তৈলাক্ত চুলে নারকেল তেল দিলে চুল আরো বেশি তেলতেলে হয়ে যায়। তখন মাথায় নোংরা জমে তাই এ ধরনের চুলে অর্গান অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল চুলকে তেলেতেলে না করে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলে প্রোটিনের জোগান দেয়। নারকেল তেলে উপস্থিত লরিক অ্যাসিডের সঙ্গে ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থেকে বাঁচায়। তাই নারকেল তেল শুষ্ক, রুক্ষ্ম চুলের কন্ডিশনার হিসাবে এবং সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটির মধ্যে তাপ-সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য থাকায় চুলকে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
সাধারণ চুল
সাধারণ চুলে যেকোনো ধরনের তেলই লাগাতে পারেন, বিশেষ করে নারকেল তেল। ক্যাসটর ওয়েল ও ব্যবহার করতে পারেন।।সাধারণ চুলে নারকেল তেলের পুষ্টিই যথেষ্ট।
অর্গান অয়েল: এই তেলটি টোকোফেরল, পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ। অর্গান অয়েলে ভিটামিন এ, সি, ই এবং লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং কন্ডিশনার হিসাবে খুব ভাল কাজ করে। তাছাড়া এটি চুলের গোড়ায় প্রদাহ কমাতে, খুশকি ও চুলকানির এবং সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
খুশকিযুক্ত চুলে
যাদের মাথায় খুশকির সমস্যা, তারা চুলে নিমপাতার তেল ব্যবহার করুন। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে মাথার ত্বক খুশকিমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আগা ফেটে যাওয়া চুল
চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা চুলের আগা ফাটা দূর করতে বেশ কার্যকর।
****অনেক বেশি তেল লাগাবেন না– অনেকেই মনে করেন চুলে অনেক বেশি তেল দিলে তা ভাল। তবে আদৌ তা নয়। চুলে অল্প দিয়ে মাসাজ করা জরুরি। আর তা শ্যাম্পু করার ২ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু করা উচিত।
তেল মেখে চুল টেনে বাঁধবেন না- মাথায় তেল মালিশ করার পর থেকে আপনার স্ক্যাল্পের হেয়ার ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন টেনে চুল বাঁধলে, তা সহজে ঝরে পড়ে যায়।
চুলে তেল মাখার আগে অবশ্যই সব জট ছাড়িয়ে নেবেন, না হলে আরও জট পড়ে গিয়ে চুল ছিঁড়ে বা ভেঙে যেতে পারে।
তেলের পুষ্টিগুণ যাতে স্ক্যাল্প আর চুলে শোষিত হতে পারে, তার জন্য সময় দিন। তেল লাগানোর পর ও শ্যাম্পু করার আগে অন্তত একঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
তেল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম– সপ্তাহে অন্তত দু’বার চুলে তেল লাগাতে হবে।
সারারাত কিংবা স্নানের ১৫-২০ মিনিট আগে তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
তেল গরম করে আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। ৫-১০ মিনিটের জন্য আলতোভাবে মাসাজ করলে চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এ ছাড়া চুল আঁচড়ানোর জন্য সবসময় চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করা উচিত ।।
Tags – Hair Care Hair Tips ( চুলের যত্ন )
আজকাল গরমের এতো প্রখর রোদ ১ মিনিটের জন্যও বাইরে বেরোনো যায় না,, মুখ যেনো পুরে…
কদিন ধরে যা গরম পড়েছে তাতে প্রাণ যায় যায় ভাব…. এই তীব্র গরমে একটু ঝাল…
Cetaphil Cleanser For Oily Skin Benefits: গরমে ত্বকের যত্নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে যে…
মেয়ে পুরুষ বলতেই সকলে উজ্জ্বল, ফর্সা, দাগহীন ত্বক চায়.…. কিন্তু আজকাল আমরা ত্বকের ওপর এতো…
সারা দিনের কাজ কমপ্লিট করে রাতে আসে শান্তির ঘুম। রাতে হয় সকলের ‘মি টাইম’ই …..…
গরম পড়লেও মেয়েদের ঘুরতে যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না,, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষ এর…
Leave a Comment