জ্বর ঠোসা তে ভুগছেন? দেখে নিন সারানোর উপায়।
অনেকেই ভাবেন জ্বর সর্দি হওয়ার কারনে এই জ্বরঠোসা হয়। শীতকালে জ্বর ঠোসা বেশি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎসকরা বলেন ঠোঁটের কোণায় একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা
কোনও কারণে ঘা হলে তাকে বলে জ্বরঠোসা। জ্বরঠোসা হওয়ার দুই তিন পরে
সেখানে ঘা এর মতো হয়ে যায়, এবং অনেক সময় পেকে গিয়ে সেখান থেকে রস ও গড়ায়
এবং প্রচন্ড ব্যথা হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের দেওয়া টিপস করে ফলো
করুন।
জ্বর ঠোসা হলে কি করা উচিত
**কিসের জন্য জ্বরঠোসা হয় জেনে নিন**
ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে এইচএসভি-১ ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর
আসে।।তবে মনে রাখবেন ভিটামিন সি ও ডি এর অভাবে কোন সময় জ্বরঠোসা হয়। এবং
শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
“”প্রায় ৭০% মানুষই এইচএসভি-১ এ আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগই সুপ্ত
অবস্থায় থাকে এবং দশ বছর বয়সে প্রকাশ পেতে শুরু করে””
মুখের ভিতর জ্বর ঠোসা
কিভাবে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন নিচে দেখে নিন।।।
১/বরফ: যে জায়গায় জ্বরঠোসা হয়েছে সে জায়গায় নখ দিয়ে একেবারে খোঁচাবেন না।
এতে ব্যাথা আরো বেড়ে যাবে। একটা নরম কাপড়ের মধ্যে এক টুকরো বরফ নিয়ে ৫ থেকে
৭ মিনিট হালকা ভাবে সেখানে মাসাজ করুন দেখবেন অনেক আরাম পাবেন।
২/রসুন:এরকম সমস্যা বেশি হলে রসুন বেশি করে খাবেন। প্রতিদিন গরম ভাতে
রসুন আর কাঁচামরিচ ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচারও। দ্রুত সেরে যাবে।।
৩/টি ট্রি ওয়েল: মুখের যে কোনও সমস্যায় টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী। এই
অয়েল মুখ, ত্বক ভালো রাখে। তেমনই যে কোনও ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে।
৪/অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: ভিটামিনের অভাব হলেও জ্বরঠোসা দেখা দেয়। আর
তাই প্রতিদিন খাওয়ার সময় রাখুন ভিটামিন সি। লেবু, আমলার জুস যে কোনও
একটা অবশ্যই খাবেন।
৫/ ক্রীম: জ্বর ঠোসা আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
দ্রুত সেরে উঠে।
৬/ মধু: ক্ষতস্থানে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ মধু লাগিয়ে রাখুন ৫
থেকে ১০ মিনিট।সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন দেওয়ার পর ফল পাবেন।
উপরের টিপসগুলো অবশ্যই ফলো করুন। এবং এই সমস্যার থেকে মুক্তি পান।।।
ধন্যবাদ……
Leave a Comment