একেবারে নিঁখুত, উজ্জ্বল স্কিন পেতে আমরা সবাই কতো কিছু না ব্যবহার করি, জানেন কি! ত্বক যখন স্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে এবং ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার হয় তখনই ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় থাকে। তাই গ্লাস স্কিনে বিশেষ কোনও মেকআপের প্রয়োজন হয় না, শুধু নিজের ত্বককে ঠিকমতো প্রস্তুত করতে হয়। চৈত্রের মাঝামাঝি সূর্যের দাপট বেশ ভালো মতোই টের পাওয়া যাচ্ছে।। আর এর প্রভাব সবার প্রথমে পড়ে আমাদের ত্বকে। আসলে গরমের দিনে অনেক ভেবে-চিন্তে তবেই ত্বকে কোনও কিছু মাখা উচিত। আসলে শীতকালে সিরাম, তেল এবং ক্রিমের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে আবার ত্বকচর্চার জন্য ওই সব উপাদান ব্যবহার করলে চলবে না। গরমের সময় সাধারণত হালকা প্রোডাক্টই ব্যবহার করা উচিত। না-হলে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই গরমে সব কিছু বুঝে-শুনে তবেই ত্বকের যত্নের উপাদান বেছে নেওয়া উচিত।
দেখে নেওয়া যাক, গরমের দিনে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে কী কী উপায় মেনে চলা উচিত।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ত্বকের পরিচর্যা প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে এবং ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা মিশ্র ত্বকে বুঝে তার যত্ন নিতে হবে। আসলে সমস্ত গ্লাস স্কিনের মেকআপ প্রোডাক্ট, যেমন ময়েশ্চারাইজার থেকে ক্লিনজার, সব কিছুতেই গ্রিন টি-র মতো ডিহাইড্রেটিং উপাদান থাকে।
মুখের সমস্ত ময়লা এবং অতিরিক্ত তেল দূর করতে ত্বক পরিষ্কার রাখা উচিত। আর এটাই গ্রীষ্মকালীন ত্বকচর্চার প্রথম ধাপ। তাই একটি হালকা, অ্যালকোহলমুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
কারণ এই ধরনের ফেসওয়াশ ত্বকের জন্য ভীষণই উপকারী। আর একটা বিষয়, দিনে অন্তত ২-৩ বার ভালো ভাবে ত্বক পরিষ্কার করা উচিত।
ত্বক কে ভালো রাখতে,,
ক্লিনজার- নোংরা, তেল ও মেকআপ সরাতে অয়েল ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
এক্সফোলিয়েট- ত্বকের ছিদ্রে মরা কোষ সরাতে স্ক্রাবিং করতে হবে।
এসেন্স এবং সিরাম- জলীয় সামঞ্জস্য সহ কম ঘনত্বের সিরাম ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান রয়েছে এমন উপাদান ব্যবহার করা যায়।
ময়শ্চারাইজ- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেটর সহ চটচটে নয় এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন- বেশি এসপিএফ যুক্ত বিবি অথবা সিসি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
ফেস মাস্ক, লিপ বাম, আই ক্রিম, শিট মাস্ক নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
ভালো ফেস সিরামের ব্যবহার:
গ্রীষ্মকালে ভিটামিন সি-এর ফেস সিরাম ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন তো ত্বককে সুরক্ষা দেবেই, তার পাশাপাশি, সূক্ষ্ম রেখা এবং দাগ দূর করতে সিরাম ব্যবহার করা উচিত।
মেক-আপ উপাদান ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে:
ত্বকের যত্নের জন্য ভালো প্রোডাক্ট বা পণ্য ব্যবহার করলেই পরিবর্তন আসবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বিশেষ করে গরমের সময় মেক-আপ সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও কিছু যত্ন নিতে হবে। বেশি মেকাপ এর জেরে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে ত্বকও নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে। তাই ব্রাশ ক্লিনিং স্প্রে অথবা সাবান ব্যবহার করে নিয়মিত সব সরঞ্জাম পরিষ্কার করতে হবে।
হাইড্রেটেড থাকা জরুরি:
গরমে ত্বকের যত্নে জলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব রয়েছে। গরমে এমনিতে বেশি করে জল খাওয়া আবশ্যক। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
রোদ থেকে সুরক্ষা:
রোদে বেরোনোর সময়ে সানগ্লাস, ছাতা ও টুপি, স্কার্ফ নিতে ভুললে চলবে না। আসলে প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে এগুলো ব্যবহার করা আবশ্যক। গরমের দিনে হালকা সুতির পোশাক পরাই শ্রেয়। শুধু তা-ই নয়, এমন পোশাক পরতে হবে,যা ত্বককে ঢেকে রাখবে এবং ট্যান থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।
আজকের দিনে মিনিটে মিনিটে ফ্যাশন পাল্টায়। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন এবার শীতের ট্রেন্ড কি জেকেট চলছে?…
ধীরে ধীরে শীত পড়ছে…শীতের কনকনেভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে ত্বকের চাই আর্দ্রতা ও পুষ্টি…এর জন্য এই…
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
Leave a Comment