ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে, শপিং তো প্রায় শেষ এর দিকে সবার,, শেষ মুহূর্তের শপিং-এ যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখুন কোন ধরনের পোশাক পুজোয় কিনলে, আপনাকে বেশি ভালো লাগবে।।।সেগুলি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সারা বছর। সেই সঙ্গে কোন পোশাক পড়ে নিশ্চিন্তে করা যাবে প্যাণ্ডেল হপিং। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই পুজোর শপিং করুন।
মেয়েরা তো সহজেই বুঝে যায় তাদের কোন শাড়িটি বা কোন পোশাকে পড়লে বেশি ভালো লাগবে কিন্তু ছেলেরা এসব বিষয়ে একটু কাঁচা বললেই হয়। ছেলেরা বুঝতে পারে না তাদের কোন পোশাকটি বেশি ভালো লাগবে বা কোন রঙটি তাদের বেশি মানাবে,, এর জন্য প্রতিটি ছেলের গার্লফ্রেন্ড বা বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে পারেন তাদের,, জন্য পছন্দ সই পোষাক বেছে দেন,,কিন্তু সিঙ্গেলদের কথা মাথায় রেখেও আজকের আমার এই আর্টিকেল যাদের কোন প্রিয় মানুষ নেই পোশাকে বাছাই করে দেওয়ার জন্য তাদের জন্যই আর্টিকেলটি আছে ,,হাহাহা !!! এখানে আপনি জানতে পারবেন ছেলেদের ফ্যাশন টিপস-
আপনি কে কোন রঙের শার্টের সাথে কোন রঙের প্যান্ট ভালো লাগবে কিংবা পাঞ্জাবি আপনাকে কোনটি বেশি ভালো লাগবে ।।
যারা এখনও শপিং শুরু করেননি তারা এবার চটপট জামাকাপড় কিনে ফেলুন। পুজোর ক’টা দিন সাজিয়ে তুলুন নিজেকে।
পাঞ্জাবির নকশায় শিউলি ফুলের ব্যবহার দেখা গেল নানাভাবে। এটা শারদীয় পূজার সময়ে যেমন প্রাসঙ্গিক, আবার শরৎজুড়ে পরা যাবে।
পূজার সময়ে হালকা কুয়াশায় মোড়ানো ভোরে বের হলে পোশাকের পাঞ্জাবির সঙ্গে একটা উত্তরীয় পরলেও মন্দ লাগবে না।
পুজোর জামা কাপড় সাধারণত সারা বছর আমরা পড়ি। সুতরাং এটা মাথায় রেখেই শপিং করা ভালো। তাই অতিরিক্ত রঙচঙে, গ্লেজ-যুক্ত পার্টি শার্ট না কেনাই শ্রেয়। ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে টাইমলেস পোশাক ও এবার ফ্যাশনে ইন। কালো বা সাদা পোলো টি-শার্ট, এক রঙের ফর্মাল শার্ট, সাদা বা কালো এক রঙের টি-শার্ট এবার বেশ চলছে। তবে এই জিনিস সুতির কেনাই ভালো।
টি-শার্টের ক্ষেত্রে এখন ট্রেন্ড ক্য়াপশন লেখা ডিজাইন। আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মাননসই টি-শার্ট কিনতেই পারেন। নজর রাখুন ফিটের দিকে। খুব বেশি ঢিলে বা টাইট কখনই কিনবেন না। কমফর্টেবল মনে হলে ফুল হাতাও নিতে পারেন। পুরুষদের ফ্যাশানে এখন ইন ফ্লোরাল প্রিন্টের হাফ-শার্ট। এই শার্টগুলি সাধারণত ঢিলে ফিট হয়। তবে শার্টের হাতা যাতে বেশি বড় না হয় সেটা লক্ষ রাখা জরুরি।
জিন্সের মধ্যে ডার্ক ডেনিম বা কালো রঙের স্লিম ফিট জিন্স বেশ স্মার্ট এবং বেশ চলছে। পুজোর অষ্টমীতে পাঞ্জাবি তো মাস্ট। তাই কেনাকাটার তালিকায় পাঞ্জাবি তো রাখতেই হবে। দুই ধরনের পাঞ্জাবী হয়। গর্জাস, ভারি কাজের পাঞ্জাবি ও এক রঙের বা হালকা কাজের পাঞ্জাবি দুটোই বেশ চলছে। এখন তো নানা ডিজাইন করা পাঞ্জাবী পাওয়া যাচ্ছে।।
ষষ্ঠীতে কুল-ক্যাজুয়াল:
ষষ্ঠী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়৷ আর কলকাতার অফিসগুলিতে মোটামুটি ষষ্ঠীর পরেই ছুটি পড়ে যায়৷ তাই উৎসবের একেবারে প্রথম দিনে বেছে নেওয়া যেতে পারে কুল আর ক্যাজুয়াল পোশাক৷ সাদা সব সময়ই সুন্দর৷ আর সব জায়গায় এই রঙ পরে যাওয়া যেতে পারে৷ তাই ষষ্ঠীতে সাদা অথবা যে কোনও হালকা রঙের ক্যাজুয়াল শার্ট দারুণ মানাবে৷
সপ্তমীতে ক্যাজুয়াল-রেট্রো:
সপ্তমী থেকে অফিস ছুটি৷ তাই মূলত রাতেই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, প্যান্ডেল হপিং এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে৷ ফলে সপ্তমীতে একটু গাঢ় রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টের অথবা সুতোর কাজ করা শার্ট বেছে নেওয়া যেতেই পারে৷ আর তার সঙ্গে কালো, বাদামি অথবা ধূসর রঙের প্যান্ট।
অষ্টমীতে বাঙালি সাজে:
অষ্টমী মানেই অঞ্জলি৷ আর অষ্টমী মানেই পাঞ্জাবি-পাজামা অথবা ধুতি-পাঞ্জাবি৷ ফলে এই দিনের সাজ হবে এক্কেবারে বাঙালি ঐতিহ্য মেনেই৷ তবে যাঁরা ধুতিতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁদের জন্যও রয়েছে উপায়৷ সে ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যেতে পারে- স্কিন টাইট পাজামা এবং স্লিম ফিট কুর্তা৷ আর কুর্তার উপর একটা নেহরু কোট পরে নিলে তো আর কথাই নেই!
সকালে পাঞ্জাবিটাও হওয়া চাই উজ্জ্বল রঙের ও পূজার মোটিফে। পাঞ্জাবির রঙ হতে হবে উজ্জ্বল।
এই যেমন কমলা, লাল, টিয়া রঙের। পাঞ্জাবির কাপড় থাকবে সুতির। কারণ এই গরমে পাতলা সুতিকাপড়ের পাঞ্জাবিই দিতে পারে আরাম। আকাশ ঝলমলে থাকলে রঙিন পাঞ্জাবিতে ছেলেদের বেশি ভালো লাগে।
নবমীতে স্টাইলিশ জিন্স-টি:
অষ্টমীতে তো ট্র্যাডিশনাল হলই! তাই নবমীতে একটু অন্য রকম৷ নবমীর জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে জিন্স আর তার সঙ্গে কুল টি-শার্ট৷ ছিমছাম স্মার্ট এই লুকে সব্বার নজর কাড়া যাবে৷
তবে এ গরমে সবাই একটু ঢিলাঢালা পোশাক চান। তাই আরামদায়ক হবে যেগুলো, ওইসব পোশাকই পরা উচিত। আবার অনেকে শার্ট পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে পূজার মধ্যে শার্ট পরলেও রঙের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কমলা, আকাশি, হলুদ, লাল রঙের শার্ট পূজার মধ্যে ছেলেদের ফ্যাশনে ঐতিহ্যের ছোঁয়া আনে।
ফ্যাশনে ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কম নিরীক্ষা হচ্ছে না। প্রতিবছর কিছু না কিছু যুক্ত হচ্ছে। এই বছর খুব ভারী কাপড়ের প্যান্ট না পরে, সেমিগ্যাবার্ডিন ফ্যাশন এসেছে। অনেকটা সত্তরের দশকের ছেলেদের ফ্যাশন আর স্টাইল।
দশমীতে সাবেক সাজে:
দশমী মানেই মায়ের বিদায়ের পালা৷ তাই মনটা খারাপ হয়ে যায়৷ তবে বিসর্জন আর সিঁদুরখেলার মাধ্যমে উৎসবের শেষ আনন্দটুকু শুষে নেওয়া হয়, যাতে সেই আনন্দের রেশ মনে নিয়েই আবার এক বছরের অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়৷
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment