কোথায় আছে না মানসিক শান্তির চেয়ে আর কিছুই নেই এই দুনিয়ায়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানসিক শান্তির জন্যে। আজ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে যাচ্ছি।
কিভাবে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবেন???
মানসিক সুস্থতা আমাদের সার্বিক সুস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি।শারীরিক সুস্থতার জন্য আমরা অনেক কিছুই করি। জিমে যায়, হাঁটতে বেরোই, সাঁতার কাটি বা অন্যান্য খেলাধুলা করি।ঠিক একই রকমভাবে আমরা সুস্থ মানসিকতার অধিকারী হবার চেষ্টা করতে পারি।
সুস্থ মানসিকতা কেন জরুরি –
আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা ও তার ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ কাজ নয়। কারণ এটি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে জীবনে বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট ,ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমস্যা ও অন্যান্য মানসিক ব্যাধির উদয় হতে পারে।
সুস্থ মনের অধিকারী হলে আমরা নিশ্চিন্তে যেকোনো প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে পারব।এর ফলে আমরা দৈনন্দিন জীবনে আরও কর্মঠ হয়ে উঠতে পারব।
আমাদের বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অপছন্দের লোকদের মাঝে বসবাস করতে হয়। আমরা সেই সমস্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি।
পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারলে মানসিক সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে যাব।
শরীরের যত্ন নিন। শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এর জন্য আপনি পুষ্টিকর খাবার খান। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীর সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কোষ গুলোকে সারিয়ে তোলে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আপনি ক্লান্ত খিটখিটে হয়ে পড়বেন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার খিদে বাড়াতে সাহায্য করবে। ফলে আপনার ভালো ঘুম হবে এবং সব মিলিয়ে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন,
সূর্যের আলো আমাদের শরীরে একটি রাসায়নিক এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।ফলে সূর্যের আলোয় আমাদের মন ভালো হয়ে যায়।
পরিশ্রম করা ও জরুরী। এর ফলে শরীরের ক্লান্তি ও মানসিক চাপ হ্রাস পায় ।মনকে চাঙ্গা রাখতে নিজের পছন্দের কোনো কাজ করুন।
নিজের যত্ন নিন। সুস্থ মানসিকতা পেতে নিজের যত্ন নেওয়া দরকার। মনের মধ্যে আবেগ চেপে রাখবেননা। আবেগ প্রকাশের ফলে মানসিক চাপ ও জটিলতা কমে যায়।
নিজের মনের কথা শুনুন, বই পড়ুন, ব্যক্তিগত সব কাজ ও যন্ত্রপাতি দূরে সরিয়ে নিজের আশেপাশের দুনিয়াটাকে উপলব্ধি করুন।
খামখেয়ালীর স্রোতে ভেসে না গিয়ে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চিন্তায় সাড়া দেওয়া।
একেবারে একটি কাজে মনোযোগ দেওয়া, পরের ছিদ্রান্বেষণ না করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার নামই মনোযোগ।
এরপর আপনি চারপাশ থেকে আরও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন, যা আপনাকে যেকোনো অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
পছন্দের মানুষের সাথে সময় কাটান। পছন্দের লোকজনের সাথে সময় কাটান। এতে নিজের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জন্মায়।
সহকর্মীদের সাথে একদিন খেতে যান। বা সহকর্মীদের নিয়ে একদিন ঘুরতে বের হন বা এমন হতে পারে অনেকদিন বাদে কোন পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করেন।
পছন্দ অনুযায়ী কাজ করলে মন ভাল থাকে। এর ফলে মাথায় দুশ্চিন্তা আসে না। এবং দমিত আবেগগুলো প্রকাশ পায়।
তাছাড়া শখের কাজকর্ম করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও তৈরি হয়। আপনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মেলে ধরতে এসে নতুন জিনিস শিখলেন। এবং নতুন কিছু শেখার আনন্দে মন ভালো থাকে,
দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। আমাদের সবারই বিভিন্ন লোকজন বা পরিস্থিতির কারণে দুঃশ্চিন্তা হয়।
এ কারণগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করুন। তারপর সেগুলোর উপর পুনরায় বিচার করুন। আপনি সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।
নিজের উপরে ভরসা হারাবেন না। আমরা সকলেই আলাদা। এবং আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই নিজস্ব ক্ষমতা এবং দুর্বলতা রয়েছে। নিজের দুর্বলতা কে মেনে নিয়ে নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখলে জীবনে এগিয়ে চলার পথ সহজ হয়।
নিজের ক্ষমতা বুঝেই বাস্তবসম্মত লক্ষ তৈরি করুন। সর্বোপরি না বলতে শিখুন এটা কোন অন্যায় নয়।
অন্যের জন্য কিছু করুন
কাউকে সাহায্য করলে নিজের মধ্যেও অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। তাই অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। কোনো দরিদ্রকে খাবার বা পোশাক কিনে দিন কিংবা সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। দেখবেন আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
তখন নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। নিজেকে অসহায় ভাবার আগে না খেয়ে থাকা মুখগুলোর ছবি ভাসবে মনে। ফলে অন্যের জন্য কিছু করার স্পৃহা জন্মাবে। এর মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন।
সাহায্য নিন
আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অন্যের সাহায্য নিন। মুখ বুজে থাকবেন না। নিজের অসুবিধার কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ অত্যাধিক মানসিক চাপে আপনি বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার
মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শাকসবজি এবং ফলমূল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার কমানো
এখানে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ব্যবহার বলতে মোবাইল, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ বোঝানো হয়েছে। কারন আমরা বর্তমানে দিনের বেশির ভাগ সময় এইসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাথে কাটাই। এগুলো অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেরকম ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
আমাদের এইসব ডিভাইস ব্যবহার কমাতে হবে এবং সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করতে হবে। কারণ ফোন ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি বয়ে আনে। বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই ফোনের সারাদিন গেম খেলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করে।
ঘুমানোর সময় ফোন ব্যবহার আপনার মানসিক ভাবে ডিক্টেশন বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার ঘুম নষ্ট করে। এমনও হতে পারে যে আপনি ফোন ব্যবহারের সময় সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে এমন আকর্ষণীয় কোনো বিষয়বস্তু দেখলেন যা আপনার অনেকটা সময় নষ্ট করে এবং দেরি করে ঘুমানোর জন্য দায়ী।
আপনি সর্বদা নিজেকে বিভিন্ন কাজের মাঝে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করবেন। ফলে আপনার মানসিক ভাবে ডিপ্রেশন এবং দুশ্চিন্তা অনেকাংশ কম থাকবে এবং মানুষের যাবে আপনি অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবেন।
Tags – Life Style Mentally Healthy Health Tips
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
বিয়ের দিনটা সকলের কাছেই স্বপ্নের দিনের মতো… এই দিনটিতে সব কনেই চান সকলের মাঝে আকর্ষণীয়…
চোখের নীচের কালো দাগ মুখের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে দেয়…. অনেক কিছু ব্যবহার করেও ফল মিলছে…
Leave a Comment