দুর্গাপুজোয় বাঙ্গালী মেয়েদের শাড়ি ছাড়া ঠিক চলেনা,,,নানা রকমের শাড়ি কিনেই থাকেন মহিলারা। সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেও থাকেন। পুজোর কয়েকটা দিন তারা নানা রঙের শাড়িতে সেজে উটতে চান,,,
কিন্তু শুধু শাড়ি কিনলে আর পড়লেই তো আর হবে না শাড়ি মেইনটেইন করার থেকে শুরু করে সমস্ত সাজগোজ আপনাকে প্রোপার মেনটেইন করতে হবে তাহলে আপনি দুর্গাপূজার সেরা অনন্যা হয়ে উঠতে পারবেন,, সবার নজরও কারতে পারবেন,, তাই আমি আজকে কিছু টিপস আপনাদের জানাবো …
যাঁরা শাড়ি পরে অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে বিষয়টা খুবই সাধারণ। তাঁরা শাড়ি(Saree) ক্যারি করতে পারেন খুব ভালো করেই। কিন্তু যাঁরা শাড়ি পরতে অভ্যস্ত নন, তাঁরা কী করবেন? তাঁদের জন্যেই রইল বেশ কিছু টিপস,
প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে এদিকে
শাড়ি পরার আগে অন্যান্য জিনিসের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পুজোর জন্যে শুধুই শাড়ি কিনলে আপনার কাজ শেষ হয়ে যায় না। বরং তার সঙ্গে মানানসই ব্লাউজটাও তো আপনার প্রয়োজন। ব্লাউজের ফিটিংস বুঝে নিন। সব শাড়ির সাথে সব ধরনের ব্লাউজ মানায় না সেটাও আপনার মাথায় রাখতে হবে কোন শাড়ির সাথে কোন ব্লাউজ ভালো লাগবে এবং কি কেমন ডিজাইনের ব্লাউজ ভালো লাগবে সেটি আপনাকে বেছে নিতে হবে।।
ফিটেড ব্লাউজই কিন্তু আপনার ফিগারকে খুব ভালো হাইলাইট করতে পারে।
শাড়ি পরার সময় আপনাকে সঠিক পেটিকোট বেছে নিতেই হবে। নাহলে লুকটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক পেটিকোট বেছে নিন। ঘের দেওয়া পেটিকোট সব সময় এড়িয়ে চলুন। উচ্চতা ও শরীরের স্থুলতা বুঝে সায়া বাছুন। মাপ অনুযায়ী সায়া বানিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি পরার আগে সায়ার দড়ি শক্ত করে বাঁধুন। হালকা বাঁধলে শাড়ি খুলে যেতে পারে।
হালকা-পাতলা কাপড়ের শাড়ি – প্রথমবার শাড়ি পরার সময় ভারী ফ্যাব্রিক কিংবা জটিল কোনও ফ্যাব্রিক বাছবেন না। যেমন – সিল্ক, ব্রোকেড, বেনারসী, তাঁত। হ্যান্ডলুম কিংবা নাইলন সবচেয়ে উপযুক্ত। সহজেই ম্যানেজ করা যায়। শাড়ির ওজন যেন বেশি না হয়। চলাফেরা করতে আরাম পাবেন।।।
শাড়ির রঙ সাদা হলে অবশ্যই লাল রঙের পেটিকোট বেছে নেবেন না। কোন শাড়ির সাথে কোন রংয়ের পেটিকোট ম্যাচ হচ্ছে সেটির দিকে একবার ধ্যান রাখুন অবশ্যই।
কুঁচি করার আগে আপনার আঁচলের দৈর্ঘ্য ঠিক করে নিন। তারপর কুঁচি করা শুরু করুন। কুঁচি করার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন খুব ডানদিকে না হয়ে যায়। আবার বাঁদিক ঘেঁষাও না হয়। আবার একেবারে ছোট আঁচল করবেন না তাহলে আপনাকে বাচ্চা বাচ্চা দেখতে লাগবে,, নাভির নীচে শাড়ি পরা উচিত নয়। আবার নাভির থেকে উপরে একদম বুকের নীচেও পরা উচিত নয়। নাভির ঠিক উপরেই শাড়ির কুঁচি করার সঠিক স্থান। বুজলেন তো কি বললাম??
শাড়ি এমন করে পরুন, যেন তা আপনার গোড়ালি ঢেকে দেয়। এমন করে পরবেন না যেন, শাড়ি আপনার গোড়ালি থেকে উপরে উঠে যায়। আবার পায়ে আটকে পরে যান, এত নীচু করেও শাড়ি পরবেন না।
আপনি যে জুতো পরে শাড়ি পরবেন, সেই জুতো পরে নিন। ও তার সঙ্গে শাড়ির ঝুলটি ম্যাচ করে নিন। তারপর জুতো খুলে শাড়ি পরুন। অতিরিক্ত নিচু করে শাড়ি পরলেও সমস্যা আবার উঁচু করে শাড়ি পরলেও তা দেখতে খারাপ লাগে।
বড় আঁচল করবেন না যে তা আপনার পায়ে লুটায়। আবার শাড়ির আঁচলের ঝুল হাঁটুর উপরেও করে ফেলবেন না। এতে আপনার উচ্চতা কম লাগে।
আঁচল অবশ্য়ই সেফিটিপিন দিয়ে ঠিক করে আটকে নিন। যেন তা আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
ইনার গার্মেন্টস – অন্তর্বাসের কথা ভুললে চলবে না। খুব লুজ হয়ে গিয়েছে এমন অন্তর্বাস পরলে কিন্তু মোটেই মানাবে না। বেছে নিন সঠিক অন্তর্বাস।
শাড়ি পরার নিয়ম
জুতো পরে নিন। তারপর পরুন সায়া/পেটিকোট। দেখবেন, জুতো যেন দেখা না যায়। তারপর শাড়িটা খুলুন। শাড়ির উপরের কোণা ডানদিকে গুঁজুন। কোমরে পেঁচিয়ে শাড়ি গুঁজে নিন ভালো করে। নীচে তাঁকিয়ে দেখুন শাড়ির অনেকটা অংশ মাটিতে লুটিয়ে আছে। সেই অংশটি নিয়ে ডান আঙুলে তুলে ফের প্যাঁচ দিতে থাকুন। একটাকে বলে কুঁচি, এবার নাভি বারবার গুঁজে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন কুঁচি মাটিতে লুটিয়ে না থাকে। কুঁচি সমান আছে কিনা সেটাও দেখে নিন। কাঁধের কাছে ব্লাউজের সঙ্গে আঁচলে সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। সেফটি পিন লাগান কুঁচিতেও। ব্যাস, শাড়ি পরা হয়ে গেল।।। একদম সহজ,,, বেকার এতো টেনশন করছেন আপনারা…….
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment