পুজোর মেকআপ – এর এ টু জেড – Pooja Makeup – A To Z Of It

Spread the love

পুজোর মেকআপ – এর এ টু জেড – Pooja Makeup – A To Z Of It


আর যার কাছে, যা-ই হোক না কেন, দুর্গা পুজো মানে অনেকের কাছেই কিন্তু সাজগোজ! নতুন জামা এবং নতুন লুক! পুজোর সময় তো সেলফি রেডি মুখ চাই! আর সেই কাজেই আপনাকে সাহায্য করতে এসেছি আমরা। এখানে দেওয়া হল মেকআপ (Makeup) গাইড, যেটি আপনি কালোই হোন বা ফরসা, আপনার ত্বক তেলতেলেই হোক কিংবা শুকনো, আপনার কাজে আসবেই!


এরকম বোধয় কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যার মেকআপ করতে ভালো লাগেনা. কিন্তু মেকআপ করাটা একটা শিল্প আর এরকম কোনো কথা নেই যে সবাই এই শিল্পে পারদর্শী হবে. মেকআপ করার পদ্ধতি, মেকআপ (Makeup) করার সময়কার ছোটছোট ব্যাপার মনে রাখা এবং সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো, অনেকেই জানে না,,,,


মেকআপ করার জন্য সবার আগে যা দরকার সেগুলি হলো মেকআপ করার সরঞ্জাম, যা আপনি খুব সহজেই বাজারে বা অনলাইন সাইটে পেয়ে যাবেন. আপনি শুধু আপনার স্কিনটোন অনুযায়ী নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টটা কিনবেন. ভালো করে মেকআপ করতে গেলে আপনার কাছে কিছু ভালো ব্রান্ডের মেকআপ (Makeup) প্রোডাক্ট থাকাটা জরুরি. আপনাকে সেই প্রোডাক্টগুলো সম্বন্ধেই এখন জানাবো –



পুজোর দিনের মেকাপ


ফাউন্ডেশন – Foundation

মেকআপ করার সময় সবার আগে ফাউন্ডেশন লাগাতে হয়, অর্থাৎ ফাউন্ডেশন হলো যে কোনো মেকআপ-এর ভিত বা বেস। আর বেস মেকআপ করার পদ্ধতি যদি ভালো না হয় তাহলে পুরো মেকআপ নষ্ট। সাধারণত ভারতীয় স্কিনটোন অয়েলি, ড্রাই, মিক্স, নর্মাল. লাইট আর ডার্ক হয়ে থাকে. ফাউন্ডেশনের টোনও এই সব স্কিনটোনের কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়. সেইজন্য যখনি ফাউন্ডেশন কিনবেন, দেখে নেবেন যে আপনার গায়ের রঙের সাথে ফাউন্ডেশনের কোন রঙটা সবচেয়ে বেশি ব্লেন্ড হচ্ছে. লাগিয়েও দেখতে পারেন নিজের হাতে।।

কনসিলার – Concealer

মুখের দাগ-ছোপ, চোখের তোলার কালোভাব (Dark Circle), লালচে ছোপ ইত্যাদি লুকোনোর জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়. এমনকি, ব্রণও ঢাকা পরে যায় কনসিলারে. যদি আপনার গায়ের রং ফর্সা হয়, তাহলে কনসিলার কেনার সময় অবশ্যই নিজের মুখের রঙের সাথে মিলিয়ে নিবেন।

আইলাইনার – Eye Liner

চোখের মেকআপ করার জন্য আইলাইনার একটি অত্যন্ত জরুরি প্রোডাক্ট. চোখের শেপকে আরো সুন্দর করতে এর তুলনা হয়না. আইলাইনার দিয়ে নানারকমের স্টাইলে চোখ আঁকা যায়, যা প্রতিবার আপনাকে এক একটা নতুন লুক দেয়. 


পুজোয় চাই ড্রেসের সঙ্গে মানানসই মেকআপ,



মাস্কারা – Mascara

সুন্দর লম্বা ঘন চোখের পাতা পাওয়া সব মেয়েরই আকাঙ্খা. মাস্কারা আপনার সেই ইচ্ছেটাই পূরণ করতে সাহায্য করে. আপনার চোখের পাতা যাতে ঘন দেখায় তার জন্য সঠিকভাবে মাস্কারা লাগাতে হবে. 

আই শ্যাডো – Eye Shadow


চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে আই শ্যাডো ব্যবহার করা হয়. আপনার গায়ের রং হিসেবে আই শ্যাডোর শেড বাছাটা জরুরি. যদি আপনার রং শ্যামলা হয় তাহলে গোল্ড, কপার, মিক্স ব্রাউন, বেজ এইসব শেডের আই শ্যাডো লাগান।

লিপস্টিক – Lipstick


লিপস্টিক এমন একটা প্রোডাক্ট, যেটা সব মেয়ের মেকআপ বক্সে থাকবেই থাকবে. লিপস্টিক একদিকে যেমন আপনার সাজ সম্পূর্ণ করে, আবার অন্যদিকে সুন্দর সাজ নষ্টও করে দেয়. সেইজন্যই লিপস্টিক খুব ভেবেচিন্তে বাছতে হয়. যদি আপনি প্রথমবার নিজের জন্য লিপস্টিক কিনতে যান, তাহলে নানারকম শেড ট্রাই করুন. ফর্সা হলে ব্রাউনের মতো একটু গাঢ় রং আপনাকে মানাবে. আবার যদি আপনার রং ফর্সা হয়, সফ্টপিঙ্ক, নিয়ন শেডস, অরেঞ্জ এগুলো ভালো লাগবে।


এই পুজোয় নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর করে তুলুন, রইল কিছু মেকআপ টিপস

যাঁদের ত্বক তেলতেলে, তাঁরা কীভাবে মেকআপ করবেন 


সবচেয়ে আগে শুরু করা যাক, তেলতেলে ত্বকের জন্য মেকআপ দিয়ে। মেকআপ করার আগে কয়েকটা জরুরি জিনিস মাথায় রাখবেন। এক, আগে ভাল করে কোনও ক্লেনজিং জেল দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। তারপর মুখে লাগাবেন টোনার, যাতে লোমকূপের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে অতিরিক্ত তেল বেরনো বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ওয়াটার বেসড কোনও ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। তেলতেলে ত্বকের অধিকারিণীরা অনেক সময়ই এই ময়শ্চারাইজারের পার্টটা স্কিপ করতে চান আরও তেলতেলে দেখানোর ভয়ে। কিন্তু ত্বক ময়শ্চারাইজড না থাকলে কিন্তু বেস মেকআপটাই ঠিক করে বসবে না।


সাজগোজ করার নিয়ম



ত্বকের অতিরিক্ত তেল বেরনো বন্ধ করতে বেস হিসেবে প্রথমেই লাগান প্রাইমার। তবে কোনও বেস প্রোডাক্টই হাত দিয়ে লাগাবেন না। 


যদি আপনার ত্বকে কালো ছোপ বেশি থাকে, তা হলে এর পর আপনাকে ব্যবহার করতে হবে কনসিলার। ম্যাট কলসিলার নিন। যেখানে-যেখানে দাগ-ছোপ আছে, সেখানে ছোট-ছোট টিপ দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। 


তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হল ফাউন্ডেশন ব্যাপারটা। কারণ, এটির উপরেই আপনার পুরো মেকআপ টিকে থাকবে। 


এর পর বেস শেষ করুন ট্রান্সলুসেন্ট পাউডারের ছোঁওয়া দিয়ে। খবরদার, পাউডারের সঙ্গে দেওয়া পাফটি ব্যবহার করবেন না। কিনে নিন একটি পাউডার ব্রাশ, যেটি দিয়ে হালকা করে পাউডার লাগান মুখে ও গলায়। 


পুজোর মেকাপ

কন্টোরিং করার জন্য বেছে নিন ব্লাশ অন। কারণ, আমরা কেউই প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট নই। ফলে পটু হাতে কন্টোরিংয়ের লাইন টানাটা প্রায় অসম্ভব। তার চেয়ে চিক বোনের উপরে হালকা ব্লাশের ছোঁওয়া বরং ঢের ভাল এবং সাবধানীও বটে।


মেকাপ করার পদ্ধতি

যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের জন্য পুজো স্পেশ্যাল মেকআপ গাইড (Durga Puja Special Makeup Tips For Dry Skin)


বেস হিসেবে যা-যা আপনারা ব্যবহার করবেন, মানে, প্রাইমার, কনসিলার, ফাউন্ডেশন কিংবা পাউডার, সবই হতে হবে অয়েল বেসড, কারণ আপনার ত্বকে সারা দিন ধরে তারা জরুরি তেলটুকু যোগাবে এবং মেকআপে লাইন পড়তে দেবে না। মেকআপের আগে ক্লেনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিং রুটিন একই হবে। 

প্রাইমার আপনাদের জন্য জরুরি নয়। তবুও যদি মনে হয়, প্রাইমার লাগালে আরও একটু ভরসা পাবেন, তা হলে হালকা করে লাগান, যাতে একটা পরত পরে না যায়।


পুজোতে যেভাবে মেকাপ করবেন

কনসিলার লাগাতেই হবে দাগ-ছোপ ঢাকার জন্য। তাই অয়েল বেসড কনসিলার বেছে নিন। খুব ভাল করে বিউটি ব্লেন্ডার কিংবা কনসিলার ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে দিন প্রাইমারের সঙ্গে। 


ফাউন্ডেশন লাগাতেই হবে এবং ভাল, অয়েল বেসড ফাউন্ডেশন। একটু পয়সা খরচ করেই এটি কিনুন। ত্বকের সঙ্গে রং মিলিয়ে। 

কিছু মুখের গড়ন আর তার জন্য উপযুক্ত মেকআপ পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো-


গোলাকার মুখ


গোল মুখ দেখতে যতটা সুন্দর লাগে, ঠিক ততটাই বড়োও লাগে. গোল মুখের জন্য চোখের মেকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ. এছাড়া গোল মুখকে পাতলা দেখানোর জন্যও মেকআপ করা হয়. এক্ষেত্রে কন্টোরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে.  কনসিলার আর ফাউন্ডেশনের সাহায্যে আপনি সহজেই কন্টোরিং করতে পারেন. 


ডায়মন্ড শেপের মুখ 


এই শেপের মুখ চিকবোনের থেকে চওড়া হলেও চোয়াল আর কপাল সরু হয়. এই শেপের মুখের কন্টোরিং করার জন্য জ-লাইন (চোয়াল) আর কপাল একটু চওড়া আর চিকবোন পাতলা করে দেখাতে হয়. ব্লাশ চিকবোনে লাগান, তার নিচে নয়. গোলাপি ব্লাশের বদলে ডার্ক পিচ অথবা ব্রাউন শেড বাছুন।

মেকআপ করার সময় এই ভুলগুলো যেন না হয় (Common Makeup Mistakes You Should Avoid)

১. ভুল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাটা একটা সাধারণ ভুল. মোটামুটি কমবেশি সবাই এটা করে ফেলে. আসলে ফাউন্ডেশন যেমন আপনার লুককে তাকে লাগিয়ে দিতে পারে, সেরকমই আপনার গোটা সাজটাই নষ্ট করে দিতে পারে.।


২. আই শ্যাডো আর লিপস্টিকের একরকম রং আপনার গোটা মেকআপ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট. যদি আপনি চোখে ডার্ক শেড ব্যবহার করেন, তাহলে ঠোঁটে হালকা রং লাগান. স্মোকি-আইস করার সময় ন্যুড বা পিচ রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন.


৩.  ঠোঁটে সরাসরি কখনো লিপস্টিক লাগাবেন না. এতে আপনার ঠোঁট শুধু শুস্কই হয়না, ফাটতেও আরম্ভ করে. লিপস্টিক লাগানোর সময় সবসময় আগে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন. এরপর লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের সাপের সাথে মিলিয়ে আউটলাইন করে নিন. এবার লিপস্টিক লাগান।




Tags – পুজোর মেকাপ ,, পুজোর সাজগোজ


Bristy

Leave a Comment
Share
Published by
Bristy

Recent Posts

Ice Cube: গরমে ত্বকের যত্নে আইস কিউব কতোটা উপকারী

অনেকেই হয়তো জানেন না গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিকে পড়ে যায়,, এই উজ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আইস…

11 mins ago

Durga Puja Makeup: দূর্গা পূজার মেকাপ লুক

Durga Puja Makeup Tips: হাতে গোনা পুজো আর ১৭ দিন,,শহরে আনাচে কানাচে উৎসবের আমেজ তৈরি…

6 hours ago

Durga Puja Dates 2024: দূর্গা পূজা ২০২৪ বাংলা কত তারিখ? জানুন সন্ধিপূজার সময়সূচি

Durga Puja 2024 Date Time: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে দুর্গাপূজা আশ্বিন মাসে পালন করা হয়। কখনও…

7 hours ago

Homemade Hair Mask For Hair Growth: চুলের ঘনত্বের জন্য হেয়ার মাস্ক

আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…

19 hours ago

Facial Care Routine At Home:ফেসিয়াল করার পর ত্বকের যত্ন

Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…

20 hours ago

Beauty Parlour Banner Design: বিউটি পার্লার ব্যানার ডিজাইন

আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…

23 hours ago