পুজোর সময় গোলাপের মত সৌন্দর্য পেতে গোলাপ ব্যাবহার করুন – Use Roses To Get Rose-Like Beauty During Puja

পুজোর সময় গোলাপের মতই সুন্দর হয়ে উঠতে চান, তাহলে  ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন গোলাপের পাপড়ি। এতে থাকা একাধিক উপাদান ত্বক উজ্জ্বল করে।  রোজ ওয়াটার ব্যবহার না করে  এবার রোজ  সরাসরি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে প্যাক বানান। ত্বকের যে কোনও সমস্যাও দূর করতে লাগান গোলাপের পাপড়ি। জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন।

পুজোর আগে গোলাপের মত সুন্দর হয়ে উঠুন এই টিপস্ ফলো করুন

আপনি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এই গোলাপ ফুল। আসলে গোলাপ জল তো আমরা ব্যবহার করতেই থাকি। কিন্তু গোলাপের পাপড়িও যে একইভাবে ত্বক ভালো রাখতে ও মুখের জেল্লা ধরে রাখতে একইভাবে কাজে দেয়, ।

ত্বক ভালো(Skin Care) রাখার জন্য একাধিক পদ্ধতি আপনি মেনে চলেন, বিউটি রুটিনও মেনে চলেন। 

এমনকী ঘরোয়া টোটকা বা যে কোনও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার সময়েও একটু খেয়াল রাখুন। তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান হয়, যা আপনি ত্বকে নিঃসন্দেহে ব্য়বহার করতে পারেন। যেমন ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপ।  গোলাপের পাপড়ি বা Rose Petals-ও ত্বকের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন। 

ফুলের মত সৌন্দর্য পাওয়ার উপায়

 আপনার ত্বকের সব সময়ই প্রয়োজন সানস্ক্রিন। বিশেষ করে আপনি যদি বাড়ির বাইরে বের হন, তাহলে এই জিনিসটি মিস করলে চলবে না। আপনি বাড়িতেও কিন্তু এই সানস্ক্রিন বানিয়ে নিতে পারেন। আর তা পারেন এই গোলাপের পাপড়ির সাহায্যেই।

আপনি একটি পাত্রে গোলাপের জল, শসার রস এবং আমন্ড অয়েল নিন। এবার প্রতিটি উপাদানই ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি তরল মিশ্রণ তৈরি হবে। সেই মিশ্রণ আপনি মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন।  আপনার ত্বকে যদি কোনও সানবার্ন বা সানট্যান তৈরি হয়, সেখানেও লাগাতে পারেন এই মিশ্রণ।

ত্বক কোমল করতে গোলাপের পাপড়ি বেশ কার্যকরী। ১ কাপ জলে একটি তাজা গোলাপ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে সেই গোলাপ ভিজিয়ে রাখা জলে মুখ ধুয়ে নেবেন। এটি ছাড়া আরেক উপায়েও ত্বক কোমল করতে পারেন। গোলাপের শুকনা পাপড়ি, সমপরিমাণ মধু ও দুধ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিন। ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকও হবে কোমল।

রূপচর্চায় গোলাপের পাপড়ির দারুণ কিছু ব্যবহার জেনে নিন

গোলাপের নিজস্ব একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের পরিষ্কার করতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস উপাদান ত্বকে থাকা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। আপনি যদি গোলাপের পাপড়ির মাস্ক তৈরি করতে চান তবে শুকনা গোলাপের কুড়ি গুঁড়া করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। মুখে মেখে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

টোনার হিসেবে ব্যবহার

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য টোনার হিসেবে কাজ করতে পারে গোলাপের পাপড়ি। ১ কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। এবার তার মধ্যে এক মুঠো গোলাপের কুঁড়ি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন। এভাবে রেখে দিন আধাঘণ্টা। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা রোজ এসেন্সিয়াল অয়েল দিন। এবার মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। মুখ পরিষ্কার করার পর এই মিশ্রণ টোনার হিসেবে মুখে স্প্রে করে নেবেন। ত্বক একদম চকচকে হয়ে যাবে।

পুজোর আগে সুন্দর হবেন যেভাবে

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

ত্বকের যত্নে গোলাপের পাপড়ির ব্যাবহার

আসলে গোলাপ জল কিন্তু গোলাপের পাপড়ির এশেন্স থেকেই তৈরি হয়। তাই এটি আপনার ত্বকে খুব ভালো ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এই গোলাপও যে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী হবে।

আপনাকে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিতে হবে। তার সঙ্গে আপনি মধু, শিয়া বাটার ও আপনার পছন্দের একটি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। এবার প্রতিটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। 

ব্রণ দূর করতে

– ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে গোলাপের পাপড়ি। ব্রণের স্থানগুলোতে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগাতে পারেন।

– গোলাপের পাপড়ির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের স্থানটিতে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 

– নিমপাতা ও আলুর রসের সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। সপ্তাহে ৩ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে

– চোখের নিচের কালি দূর করতে ও গোলাপের পাপড়ির ভূমিকা বেশ কার্যকরী। একটি পাত্রে কিছু সময় ধরে গোলাপ ভিজিয়ে রাখুন তারপর তুলা দিয়ে সেই জল চোখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। 

সানস্ক্রিন হিসেবে

– রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের রস, আমন্ড অয়েল ও শসার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন।এতে ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া হতে অনেকটাই বাঁচবে।

হাতের যত্নে

– ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও একটি ডিমের কুসুমের সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে হাতে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এটি হাতের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়াবে।

ত্বকের যত্ন নিতে চলে নানা রকম কসরত। কখনও প্যাক ব্যবহার, কখনও ব্যবহার করে থাকি মাস্ক। এই সবের সঙ্গে চলে নানা রকম প্রোডাক্টের ব্যবহার। এবার ত্বকের যত্ন নিতে ব্যবহার করুন গোলাপের পাপড়ি। এতে থাকা একাধিক উপাদান ত্বক উজ্জ্বল করে। 

কীভাবে ব্যবহার করবেন। 

গোলাপ ফুল ও চালের গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানান। গোলাপ ফুলের কয়েকটা পাপড়ি বেটে নিন। তার সঙ্গে মেশান মিহি করা চলের গুঁড়ো। ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এই সময় সামান্য জল দিন। চাইলে গোলাপের পাপড়ি ও চালের গুঁড়ো এক সঙ্গে নিয়েও পেস্ট বানাতে পারেন। 

গোলাপ ফুল ও মধু দিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। গোলাপ ফুলের কয়েকটা পাপড়ি বেটে নিন। তার সঙ্গে মেশান মধু। ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানান। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হবে। 

যাদের অয়েলি স্কিন তারা এই সময় খুবই সমস্যায় ভোগেন। এদিকে আবার গরম পড়লেই হাজারও অনুষ্ঠান লেগে থাকে। এই সময় ত্বক উজ্জ্বল করা সব থেকে আগে প্রয়োজন। তাই এবার ত্বক উজ্জ্বল করলে ব্যবহার করুন এই তিনটি গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক।  ত্বক উজ্জ্বল হবে গোলাপ ফুলের গুণে

এছাড়াও ঠোঁটের যত্ন নিতে এভাবে ব্যবহার করুন

সারা বছরই আমাদের ঠোঁটের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নাহলেই কিন্তু ঠোঁটের ক্ষতি। যেমন ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ঠোঁট ফাটতে পারে। ঠোঁটের গোলাপিভাব চলে যেতে পারে এবং ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। এই ঠোঁটের গোলাপি আভা ধরে রাখার জন্য আপনি এই গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন।

দুটি গোলাপ থেকে পাপড়ি ছাড়িয়ে নিন। তারপর সেই পাপড়িগুলো জলে ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণে দুধ ও মধু মিশিয়ে নিন। একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। সেই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে নিন ভালো করে। ১০ মিনিট রাখুন। 

ডার্ক সার্কেল কমিয়ে ফেলুন ঠিক এভাবেই

আমাদের সবারই কম বেশি এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে অনেক্ষণ টানা কাজ করেন, তাহলে চোখে চাপ পড়ে। ডার্ক সার্কেল কমানোর একমাত্র উপায়ই হল, নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া। নিজের চোখের যত্ন নেওয়া।

আপনি একটি পাত্র নিন। সেখানে ৩ টেবিল চামচ জল নিন। তার মধ্যে মিশিয়ে দিন গোলাপের পাপড়ি। কয়েক ঘণ্টা ওই পাপড়ি জলে ভিজিয়েই রাখুন। এবার একটি কটন প্যাড নিন। তা আপনি গোলাপের জলে ভিজিয়ে নিন ও চোখের উপর লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে মুছে নিন। প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চললেই আপনার ডার্ক সার্কেল কমতে থাকবে।।