ফেস ওয়াশ করলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়, আপনার প্রয়োজন এই ঘরোয়া প্রতিকার – Face Wash Makes Your Face Dry, You Need This Home Remedy

আমরা সবাই মেকআপ ছাড়া পরিষ্কার ত্বক পেতে চাই। যা জেনইউদের ভাষায় ফিল্টারহীন ত্বক চান। তাই কিভাবে মেকআপ ছাড়া পরিষ্কার ত্বক মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দূষণ ইত্যাদির কারণে মুখে ময়লা জমে যা পরিষ্কার করার জন্য আমরা ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। অনেকেই আছেন যাঁদের ফেসওয়াস করার পরেই ত্বক আবার শুষ্ক হয়ে যায়। ফেসওয়াশ নিয়ে মুখে লাগিয়ে ফেনা করে জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নেওয়া, ব্যস! অথবা ক্লেনজ়িং মিল্ক দিয়ে মুখ মুছে জলের ঝাপটায় ধুয়ে নেওয়া! তার আবার নিয়ম কী?

মুখের সুষ্কতা দুর করতে আস্থা রাখুন কোমল ঘরোয়া সমাধানে

প্রথমেই খেয়াল রাখবেন, খুব বেশিক্ষণ ধরে স্নান করা, বারবার জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধোওয়া, স্ক্রাবিং করার ফলে আপনার ত্বক দ্রুত হারে আর্দ্রতা হারাতে আরম্ভ করবে। তাই মুখ ধোওয়া বা তোয়ালে দিয়ে ঘষে মুখ মোছার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। আপনাকে এমনই ফেস ওয়াশ বা টোনার বেছে নিতে হবে যা প্রাকৃতিক ও ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত। খুব চড়া রং বা সুগন্ধিযুক্ত প্রডাক্ট লোভনীয় হলেও তা থেকে দূরে থাকারই চেষ্টা করুন। ডিটারজেন্টযুক্ত ফেসওয়াশের সংস্পর্শে এসে আরও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে আর ক্লেনজ়ারে যদি থাকে অ্যালকোহল, তা হলে তৈলাক্ত ত্বকের সমূহ সর্বনাশ! কাজেই বুঝতে পারছেন, মুখ ধোওয়ারও নিয়ম রয়েছে এবং সে নিয়ম নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরনের উপর।

প্রত্যেক মহিলাই তার ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল রাখতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে মুখের ত্বক। এই কারণে মেয়েরা তাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের বিউটি প্রোডাক্টস ব্যবহার করে। 

আমাদের সকলের ত্বকের যত্নের পদ্ধতির প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ফেস ওয়াস। আমরা প্রায়শই পাত্তা না দিয়ে যে কোনও ফেসওয়াশ কিনে ব্যবহার করি, যদিও তা করা ভুল। কারণ সব সময় আমাদের ত্বক অনুযায়ী ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া উচিত। 

ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

কেন ফেস ওয়াসের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়-

মুখের ময়লা এবং জমে থাকা তেল দূর করতে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা হয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে ঘামের কারণে মুখ আঠালো হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে ফেসওয়াশ অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শীতকালে এর ব্যবহার ত্বককে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তোলে।

ঠান্ডা আবহাওয়ায় একটানা ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক খারাপ হতে শুরু করে। ফেস ওয়াশের কাজ হল আঠালো ভাব দূর করা, তবে শীতকালে এটি ত্বককে শুষ্ক করে এবং শীতকালে ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধোয়া ব্রণের সমস্যা বাড়ায়।

আসুন জেনে নেই কিছু প্রাকৃতিক ফেস ক্লিনজার যা ত্বককে শুষ্ক হতে বাধা দেয়।

১) কাঁচা দুধ আপনার ত্বককে কোমল করে তুলবে

কাঁচা দুধ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা দুধ পুষ্টি জোগায়, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে। আপনি চাইলে এই ধরনের দুধ তুলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, মুখের ভালো হবে এবং ময়লাও পরিষ্কার হবে। 

২) শসা ব্যবহার করুন

প্রতি মৌসুমেই শসা সহজলভ্য। পরামর্শে পছন্দ করা শসা, রাসায়নিক সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ প্রতিস্থাপন করার ক্ষমতা রাখে। শসা ত্বকের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। শসাতে জল পাওয়া যায়, যা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। 

৩) অলিভ অয়েল

জলপাইয়ে থাকা উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল ত্বকের উপকারে কাজ করে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা অবশ্যই ব্যবহার করবেন। এর সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার মুখের মেকআপ তুলে ফেলতে পারেন। এটি ব্যবহারে আপনার মুখের ওপেন পোর্স বন্ধ হয় না। অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বককে নরম করে। 

৪) মধু উপকারী

ওজন কমাতে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই অনেক শুনেছি, তবে এটি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। ত্বকে আর্দ্রতার কারণে শুষ্কতা অনুভূত হয়। এই ক্ষেত্রে, মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। 

অ্যালো ভেরা জেল মাখুন

আপনার ত্বকের শীতলতা দরকার। অ্যালো ভেরা জেল একদিকে শীতল, অন্যদিকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল তথা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি। অ্যালো ভেরা জেল কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিলে বাড়তি আরাম পাবেন।

ফেস প্যাক তৈরি করুন ফল দিয়ে: পাকা পেঁপে বা অ্যাভোকাডোর শাঁস, অলিভ/ নারকেল তেল আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। তার পর এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন মুখে, গলায়, হাতে। 15-20 মিনিট পর ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন।

ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে নারকেল তেল আদর্শ: অতি শুষ্ক ত্বকে নারকেল তেল খুব ভালো ময়েশ্চরাইজ়ার। বিশেষ করে রাতে শোওয়ার আগে নারকেল তেল তো লাগানোই যায়। যাঁদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তাঁরাও এক পরত নারকেল তেল লাগিয়ে মোজা পরে শুতে যান, হাতে-নাতে ফল পাবেন।

Tags – Skin Care Skin Tips Summer Skin Care Face Wash Makes Your Face Dry, You Need This Home Remedy