এই পরিস্থিতিতে বাচ্চার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার দায়িত্বটা মা-বাবাকেই নিতে হবে৷ সব কিছুর উপর রাতারাতি বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিলে চলবে না, তাতে ফল উলটো হওয়ার আশঙ্কা আছে৷ তার চেয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তন নিয়ে আসুন রোজের খাদ্যতালিকায়৷
এখানে সদ্যজাত এবং সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুদের ওজন বৃদ্ধির উপযোগী শ্রেষ্ঠ খাবারের তালিকা রইল, যেগুলি আপনি তাদের খাবারে যোগ করতে পারেনঃ
ঘুম থেকে উঠে কেবল একগ্লাস দুধ আর একটা বিস্কুট খাইয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন না৷ অনেক বাচ্চার সকালে উঠতেই এত দেরি হয়ে যায় যে তারা কিছুই না খেয়ে স্কুলে চলে যায়৷ ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে সকলকে কিছু না কিছু খেতেই হয়, তা না হলে ঘাটতি আসবে এনার্জি লেভেলে৷
খাবার সুস্বাদু করে তোলার জন্য সামান্য নুন-গোলমরিচ-চিনি-লেবুর রস বা জিরে-ধনে-গরম মশলা শুকনো তাওয়ায় ভেজে গুঁড়ো করে মেশান৷ খাবারে অতিরিক্ত তেল, চিনি বা নুন থাকলে কিন্তু শিশুর জিভে সেটাই অভ্যেস হয়ে যাবে, তখন সে আর হালকা-সহজপাচ্য খাবার খেতেই চাইবে না৷ সেই বুঝে রান্না করুন৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল সব থাকা দরকার৷ দুধ বা ছানা, প্রসেস না হওয়া চিজ়, দই ইত্যাদিও খাওয়াতে হবে৷
মিষ্টি আলু খুব সহজে সিদ্ধ হয়ে যায় এবং সহজে বাটা যায় । এগুলি সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য এবং স্বাস্থ্যকর । এগুলি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিযে ভরপুর- শিশুদের ওজন বৃদ্ধির জন্য এগুলি শ্রেষ্ঠ ভিটামিন ।
ঘি বা পরিশোধিত মাখনে উচ্চ পুষ্টিগুণ আছে । আপনার বাচ্চার ৮ম মাসের আশেপাশের সময়ে এটির সঙ্গে পরিচয় করান । কয়েক ফোঁটা ঘি পরজে যোগ করুন অথবা বাটা খিচুড়ি অথবা ডালের স্যুপের উপর ছড়িয়ে দিন ।
স্বাস্থ্যকর খাওয়ার টিপস
খাবার সময়কে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করে তুলতে, রঙিন প্লেট, বাসনপত্র, সঙ্গীত, বাচ্চাদের পার্টি ইত্যাদি ব্যবহার করুন ।
আপনি মাঝে মাঝে বাচ্চাকে পার্কে নিয়ে গিয়ে পিকনিকের মতো খাওয়াতে পারেন ।
বাচ্চাদের তৈরি হতে পারা অ্যালার্জির উপর নজর রাখুন । বাদাম, গ্লুটেন, মাছ বা ল্যাক্টোজে অসহিষ্ণু হতে পারে ।
খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন, যাতে শিশুর শারীরিক চক্র সেই অনুসারেই নির্দিষ্ট হবে । খাবার সময়গুলির মাঝে খাওয়াবেন না ।
অত্যাধিক খওয়া এমনকি কম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত ।
বাচ্চাদের জন্য বাড়িতে তৈরি খাবার প্রদান করুন; ভ্রমণকালে, জাঙ্কফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে ফলের মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলিই বাছুন ।
শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে, খাবারের বিকল্পগুলি বেছে নেওয়ার জন্য এবং রান্নায় আপনাকে সাহায্য করার জন্য তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্তর্ভুক্ত করুন । যদি খাবার বাছাই করতে এবং তৈরি করতে সাহায্য করলে, তারা খাওয়ার ব্যাপারটিকে আরও ভালোভাবে গ্রহণ করবে ।
আজকের দিনে মিনিটে মিনিটে ফ্যাশন পাল্টায়। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন এবার শীতের ট্রেন্ড কি জেকেট চলছে?…
ধীরে ধীরে শীত পড়ছে…শীতের কনকনেভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে ত্বকের চাই আর্দ্রতা ও পুষ্টি…এর জন্য এই…
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
Leave a Comment