চুল কালার করার সহজ টিপস
রং করা এখন ফ্যাশনের মতো হয়ে গেছে। অনেক মেয়ে,ছেলে রাই চুল রং করতে ভীষণ
ভালোবাসে ।সামনেই পুজো অনেকেই পার্লারে গিয়ে চুল কালার করবে,কিন্তু আপনারা কি
জানেন ঘরে বসেই আপনারা চুল বিভিন্ন রঙেআপনার চুলকে রাঙাতে পারবেন।এখন কথা হলো,
আপনি গোটা চুল রং করুন বা রুট টাচ আপই করুন, দুটিই বেশ খরচ আর সময়সাপেক্ষ বিষয়।
এরচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনি ঘরে বসেই আপনার চুলকে কালার করতে পারেন। তবে দেরি না
করে আসুন দেখে নেই।
চুল কালার করার ঘরোয়া উপায়
১.আপনি ইচ্ছেমতো আপনার চুলের জন্য রং বেছে নিন ।অবশ্যই এক দিকে খেয়াল রাখবেন
যে আপনার চুলের সাথে বা আপনার মুখের সাথে কোন রংটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালো
মানাবে, কারণ আমাদের মধ্যে কিছু জন আছে যারা চুলের কালার ভুল বাছাই করে
থাকি যেটা আমাদের মুখের সাথে বা চুলের সাথে যায় না। এতে আমাদের দেখতে অনেকটা
বাজে লাগে ।তাই আপনারা খেয়াল রাখবেন যখন আপনি রংটা কিনছেন সেটা জানি আপনার
মুখের সাথে ও চুলের সাথে ভালো একটা ম্যাচ করে।
হেয়ার কালার করার নিয়ম
২. চুলের কালার কেনার সময় অবশ্যই দুটো প্যাকেট কিনুন ।কারণ আপনার চুল যদি
মাঝারি সাইজের হয় বা খানিকটা লম্বা হয় তবে আপনার দুটো প্যাকেট লাগবে। কারণ
কালার করার সময় অর্ধেক চুল কালার হল বাকিটা রয়ে গেল তবে দেখতে কিন্তু বাজে
লাগবে। তাই কেনার সময় অবশ্যই দুই প্যাকেট কিনুন যদি বেঁচে যায় পরেরবার আবার
ব্যবহার করতে পারবেন।
কালো চুল লাল করার উপায়
৩. কালার কিনে পুরো চুলে আগে ব্যবহার করবেন না খানিকটা অল্প চুলে ব্যবহার করে
দেখবেন যে আপনার চুলে কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে নাতো এখন আমাদের মধ্যে অনেকেরই
ত্বক খুব সেনসিটিভ থাকে ।সেই ত্বকে যদি কোন কেমিক্যাল প্রবেশ করে তবে আমাদের
নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এলার্জি, চুল পড়ে যাওয়ার মতো নানান সমস্যা ।তাই
অবশ্যই নতুন কোনো শেড লাগানোর আগে কি টেস্ট করে দেখুন আপনার চুলের জন্য বা
আপনার ত্বকের জন্য পারফেট কিনা।ভেতর দিকের চুলের খানিকটা অংশে রংটা লাগিয়ে দেখে
নিন। অথবা অল্প একটু চুল কেটে নিয়ে আগে তাতে রংটা লাগিয়ে দেখুন মানাচ্ছে কিনা।
ফল সন্তোষজনক হলে তবেই পুরো চুলে লাগানো শুরু।
৪. চুল কালার আগে অবশ্যই চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল গুলো পরিষ্কার
করে নেবেন ।কারণ নোংরা চুলে কালার ব্যবহৃত করবে না এতে আপনার চুলে নানান সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
চুল কালার করার পদ্ধতি
৫. অবশ্যই খেয়াল করবেন কালার করার সময় যাতে কালার আপনার ঘাড়ে ,কানের পেছনে,
বা গালে না লেগে যায় তবে এটা কিন্তু আপনার খুব অস্বস্তি এর কারণ হয়ে দাঁড়াতে
পারে তাই সাবধানে কালার ব্যবহার করবেন।
৬.কাস্টম কালার’ তৈরি করার ঝুঁকি নেবেন না।দুটো আলাদা হেয়ার কালার মিশিয়ে নতুন
শেড তৈরি করা পেশাদার হাত ছাড়া সম্ভব নয়। তাই নিজে নিজে সেই এক্সপেরিমেন্ট না
করতে যাওয়াই ভালো।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল কালার করার উপায়
৭.প্রথমে পুরো চুলটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। তারপর একেকটা
ভাগ খুলে ব্রাশ দিয়ে প্রতিটা গোছার গোড়া থেকে রং লাগাতে শুরু করুন। ব্রাশের
মুভমেন্ট গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত হওয়া চাই। পুরো চুলেই এভাবে রং লাগিয়ে নিন।
দেখার সুবিধার জন্য সামনে আর পিছনে দুটো আয়না নিলে ভালো হয়! পুরো চুল রং হয়ে
গেলে একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন যাতে রং না গড়ায়। যতক্ষণ পর্যন্ত রাখতে বলা
হয়েছে, ততক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
৮. সবশেষে মাথায় রাখবেন চুলের রং যেনো ফিকে না হয়ে যায় সেজন্য আপনি রোদ কে
এড়িয়ে চলবেন ।রোদে বের হলেও ছাতা কিংবা ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার
করবেন।
চিন্তা আর চিন্তা কিসের ঘরে বসেই এই টিপসগুলোর মাধ্যমে আপনার চুলকে নানা রঙে
রাঙিয়ে তুলুন।
আরো পড়ুন,
দ্রুত ঘন ও লম্বা চুল করার সহজ উপায়
Leave a Comment