ব্রণ না কমার কারণ- Reasons for not reducing acne
ব্রণ মূলত ত্বকে হয়। ফলে ত্বক পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই শুষ্ক আবহাওয়ার দিনে ত্বকে যেন ধুলাবালু না জমে থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ত্বকে ধুলোবালু জমার ফলে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেখা দিতে পারে ব্রণ।
কপালে ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে – এর মধ্যে প্রধান হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি।
আবার,,,,,
জিনগত: বাবা অথবা মা যে কারও কৈশরে ব্রণের সমস্যা থাকলে সন্তানেরও ব্রণ দেখা দিতে পারে।
হরমোন জনিত সমস্যা: বয়ঃসন্ধি পর্যায়ে শরীরে আন্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে সিবামের মাত্রা বাড়ে এবং মুখ, পিঠ, বুক ইত্যাদিতে ব্রণ দেখা দেয়।
কী খেলে ব্রণ দূর হয়
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
মেয়েদের মুখে ব্রণ কেনো হয়
গরমের দিনে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় ,,এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘাম। গরমে বাইরে গেলেই ঘাম হবে। ঘামে শরীরের জল কমে যায়। শরীরে জল কমে যাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ।
ঘুমের সমস্যা, অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া অনেক রোগের কারণ। ব্রণও হতে পারে ,,ঘুমানোর সময় শরীর তার নিজের কাজগুলো করতে থাকে, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত না ঘুমালে শরীরের নিজের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্রণ দূর করার উপায়
এছাড়াও দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ইনসুলিন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেক সময় ওষুধ দেয়া হয়। এই দুধ শরীরে প্রবেশ করলে ত্বকে সেবাম নিঃসরণও বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণ, র্যাশ সহজেই তৈরি হয়।
আরও পড়ুন,
শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকলে যেকোনো সংক্রমণ এবং প্রদাহকে বাড়িয়ে তোলে। যেমন: ব্রণ, এগজিমা, রোসাসিয়া, একান্থসিস নাইগ্রিকানস। এ ছাড়াও ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে ঘা পর্যন্ত হতে পারে।
ব্রণ দূর করার উপায় –
ব্রণ খুব সহজেই দূর হবে। এর খুব সহজ প্রতিকার হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকাই ব্রণের মূল প্রতিকারব্যবস্থা।
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়
বাড়ির বাইরে গেলে যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে, তখনই জল দিয়ে ত্বকের উপরিভাগ ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক যেমন পরিষ্কার ও তরতাজা থাকবে, তেমনি কমবে জীবাণুর সংক্রমণ এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতা।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে সারা দিনে, যাতে শরীরে জলের অভাব তৈরি না হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস জল খেতে হবে।
আরও পড়ুন,
চিরতরে ব্রণ দূর করার উপায়
সাধারণত ৬ ঘণ্টার কম এবং ৮ ঘণ্টার বেশি না ঘুমানোই ভালো। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ ও তৈরি হয়ে শরীরের কাজগুলো ঠিকমতো ঘটতে থাকবে এবং ব্রণ হবে না।
ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।
Leave a Comment