শীতকালে কোন ফল খাওয়া ভালো -10 Winter Fruits and Their Health Benefits
শীত পড়ে গেছে,, এই সময়টাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন এর সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও পরিবর্তন দেখা যায়। এবং সেই কারণেই ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব কিছুরই পরিবর্তন থাকা দরকার। এই সময়টাতেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভীষণ জরুরি। শীতকালের এই ফলেই রয়েছে অসীম ক্ষমতা, যা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্তচাপ সবই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১০ টি শীতকালীন ফলের নাম
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা পরিবারের সমস্ত অনুষ্ঠানে অংশ নাওয়া এবং একটি ভাল অবকাশ উপভোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফল আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করে, শরীরে শক্তি যোগায়।। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।। তাই এই শীতের মৌসুমে আপনাদের খাদ্য তালিকায় কি কি ফল রাখতে পারেন সেটি দেখে নিন –
শীত মৌসুমে বাজারে আপেল, কমলা,জলপাই, আমলকী, আপেল, বেদানা ইত্যাদি পাওয়া যায়। শীতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে নানা জাতের বরই। মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে বরই। কিনতু এখন কার দিনে এই বরই অনেকেই চেনে না, এই ফল হজমশক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে ,,বরই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে বরই।
শীতকালীন ফল তালিকা
শীতকালের সেরা ফল-
সাইট্রাস ফল
কমলা লেবু, লেবু, মৌসম্বি এবং জাম হল মূলত সাইট্রাস ফল। এগুলি ভিটামিন সি এবং ফ্লেভোনয়েড সমৃদ্ধ। সাইট্রাস ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, শরীরে পুষ্টি প্রদান করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।।
আরও পড়ুন,
আপেল: শীতের ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল পুষ্টিগুণে ভরা। এটি দাঁত ভালো রাখতে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, হার্ট ভালো রাখতে, লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শীতে কোন কোন ফল খাওয়া প্রয়োজন
কমলা: শীতকালীন ফল কমলায় রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। পাশাপাশি দাঁত ও হাড় গঠনে, হার্ট ভালো রাখতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কলা-প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা অবশ্যই রাখুন। কলার গুনাগুন সম্পর্কে সবার জানা।। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কলা খান।
আরও পড়ুন,
শীতকালে প্রতিদিন যে ফল খাওয়া উচিত
বেদানা: শীতকালে রসালো ফল বেদানা পুষ্টির ভালো উৎস। এতে আছে প্রচুর খনিজ। এ ছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড, ফলিক এসিড, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন ‘এ’, পুষ্টি উপাদান। এটি দাঁত, হাড় ও ত্বক সুরক্ষিত রাখতে, হার্ট ভালো রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আমলকী: আমলকীতে ভিটামিন ‘সি’-এর এক দারুণ উৎস। এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমলকী হজমশক্তি বাড়াতে, ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর।
ন্যাসপাতি– শীতকালে অন্যতম ফল হল ন্যাসপাতি। ন্যাসপাতিতে ভিটামিন ই এবং সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে, যা শরীরের জন্য ভাল।।
শীতকালে সুস্থতায় যে ফলগুলি অবশ্যই খাবেন
জলপাই: প্রতিদিন জলপাই খাওয়ার অভ্যাস করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। চুল ও ত্বক ভালো রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে, হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে জলপাই।
বেরি
স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ব্লুবেরি জাতীয় বেরিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা সর্দি এবং ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করে।।
পেঁপে
পেঁপেতে পাপাইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা একটি শক্তিশালী এক্সফোলিয়েটার হিসেবে কাজ করে এবং মৃত ত্বকের কোষগুলিকে দ্রবীভূত করে, ত্বককে দাগমুক্ত করে।।
Leave a Comment