বাতাসে শীতলতা বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে ত্বক ও চুলও হয়ে উঠছে রুক্ষ। শীতকাল আসলে তো এই এক সমস্যা,, তবে চুলের রুক্ষতাকে সহজেই বশে আনা সম্ভব। প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুষ্টি ও আর্দ্রতা। আবহাওয়া অনুযায়ী চুল যদি সঠিক পুষ্টি পায়, তবে রুক্ষতার সমস্যা নিজে নিজেই দূর হয়। আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন প্রচুর উপাদান, যা রুক্ষতা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সঙ্গে প্রয়োজন হয় বাড়তি নিয়ম ও যত্ন। নিয়মিত যত্ন নিলে চুল আরও কোমল ও নরম হয়ে উঠবে।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে প্রথমেই প্রয়োজন প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। আর কলা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ, যা নিমেষেই দূর করে রুক্ষতা। একটা পাকা কলার সঙ্গে দুই চা-চামচ মধু ও অর্ধেক কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু, সঙ্গে কন্ডিশনার। সপ্তাহে একদিন হট অয়েল মাসাজ আর দু’ সপ্তাহ অন্তর একবার হেয়ার মাস্ক। এরকম একটা হেয়ারকেয়ার রুটিন মেনে চলতে পারলে সুস্থ, থাকবে চুল।।
রুক্ষতার কারণে চুল ভেঙেও যেতে পারে। এর থেকে রেহাই পেতে ডিম দারুণ উপকারী। অপর দিকে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। এবার এই দুই উপাদান একসঙ্গে মেশালেই তৈরি হবে রুক্ষ চুলের জন্য আদর্শ প্যাক।
মেয়োনেজও চুলের রুক্ষতায় ভীষণ উপকারী। অর্ধেক কাপ মেয়োনেজ, দুই টেবিল–চামচ অলিভ অয়েল এবং চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী দু–একটা ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে অন্তত আধঘণ্টা। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে ঘরে বানিয়ে ফেলতে পারেন হেয়ার স্প্রে –
কীভাবে বানাবেন ঘরোয়া হেয়ার স্প্রে………….
গোলাপজল, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল আর একটা স্প্রে বটল। এক কাপ পরিমাণ গোলাপজল নিন, তাতে মেশান তিন থেকে চার ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার স্প্রে বটলে ভরে শক্ত করে মুখটা বন্ধ করে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সারা চুলে স্প্রে করে নিন সকালে উঠে ঝলমলে, জটহীন চুল দেখে নিজেই চমকে যাবেন!।
চুলের যত্নে হট অয়েল ম্যাসাজ বা হালকা গরম তেলের মালিশ ,,চুলের রুক্ষতা দূর করতেও এটি দারুণ কার্যকর। ভালো মানের নারকেল তেল এভাবে ব্যবহার করলে রুক্ষতা অনেকটাই কমে।
চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে তেলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। অলিভ অয়েল অথবা রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) যেকোনো তেলই চুলকে মসৃণ করে তোলে। যেকোনো তেল রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করে ফেলা সবচেয়ে ভালো।।
মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন পেস্ট করে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে।
যাদের চুল রুক্ষ আর সাথে খুশকিও আছে তারা হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন এতে চুল ঝরঝরে হয় আর চুল খুশকি মুক্তও হয়।।
Tags – Hair Care Hair Tips
কদিন ধরে যা গরম পড়েছে তাতে প্রাণ যায় যায় ভাব…. এই তীব্র গরমে একটু ঝাল…
Cetaphil Cleanser For Oily Skin Benefits: গরমে ত্বকের যত্নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে যে…
মেয়ে পুরুষ বলতেই সকলে উজ্জ্বল, ফর্সা, দাগহীন ত্বক চায়.…. কিন্তু আজকাল আমরা ত্বকের ওপর এতো…
সারা দিনের কাজ কমপ্লিট করে রাতে আসে শান্তির ঘুম। রাতে হয় সকলের ‘মি টাইম’ই …..…
গরম পড়লেও মেয়েদের ঘুরতে যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না,, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষ এর…
অনেকেই হয়তো জানেন না গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিকে পড়ে যায়,, এই উজ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আইস…
Leave a Comment