চুল পড়ার তো অনেক কারণ থাকে, আজকে কিছু মুখ্য কারণগুলি আপনাদের সাথে আলোচনা করব… কিছু মানুষের চুল পড়ার কারণ বংশগত এ ক্ষেত্রে আসলে কিছু করার থাকে না। তবে কিছু কারণ আছে যেগুলো আপনার কারণে হতে পারে। আশপাশের পরিবেশও বা জল ও দায়ী হতে পারে এর জন্য।।। এ ছাড়াও চুলের সঠিক যত্নের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। কিন্তু চুল পড়ারও একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, চালচলনের উপরও এটা অনেকাংশে নির্ভর করে চুল ঝরে পড়ার পিছনে। আমাদের জেনে নাওয়া দরকার এমন কিছু ভুল হয়ে যায় যার কারণে চুল ঝরে পড়া বৃদ্ধি পায় …….
কীভাবে বুঝবেন চুল পড়ছে?
একজন সুস্থ মানুষের মাথায় গড়ে এক থেকে দেড় লাখ চুল থাকে। প্রতিদিন ১০০ টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পরপর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে, তবে তা চিন্তার বিষয়।
চুল পড়ার মুখ্য কারণ―
স্ট্রেস বা চাপ
স্ট্রেস বা চাপ কিন্তু আপনার মাথার চুল ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই নিজের সব কাজের চাপ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।।।
খাদ্যতালিকা
খাবার আপনার চুলের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। ফাস্ট ফুড, এমনকি খাবার ঠিকমতো না খেলেও চুলের ক্ষতি হতে পারে।
ঘুম না হলে
ঠিকমতো ঘুম না হলেও কিন্তু চুল পড়ে যেতে পারে। ঘুম না হলে শরীর ভালো থাকবে না। এর প্রভাব চুলেও পড়তে পারে।
সূর্যের আলো, ধুলাবালি
অতিরিক্ত সূর্য়ের আলো এবং ধুলাবালি চুলের ক্ষতি করে। তাই যখনই বাইরে যাবেন কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে বের হলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
চিনিযুক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার এবং রিফাইন্ড করা খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার চুল ও ঝরে যেতে পারে অতিরিক্ত পরিমানেই। তাই হেয়ার লক করার জন্য আজই আপনার ডায়েটে যোগ করুন প্রচুর প্রোটিন, ওমেগা ৩, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ খাবারসমূহ। এইসব খাবার আপনার চুলকে করবে স্ট্রং ও সিল্কি।
অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাঁধার জন্য চুল ঝরে পড়া
হাই পনিটেইল বা খোঁপা দেখতে সুন্দর লাগলেও দীর্ঘক্ষণ বেধে রাখার ফলে আপনার চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় আর এতে চুল পড়ার হারও বেড়ে যায়।
মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এর জন্য চুল ঝরে পড়া
বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও চুল ঝরতে পারে। খাবারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন যোগ করুন।
ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ানো
আমাদের অনেকেরই এই অভ্যাসটা আছে যে গোসল সেরে এসে ভেজা চুল আঁচড়ে নেয়া। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ ভেজা চুল শুষ্ক চুলের চেয়ে অনেক বেশি বিচ্ছেদ প্রবণ। অল্প আঘাতেই গোড়া থেকে উঠে চলে আসে ভেজা চুল কারণ তখন চুলের গোড়া নরম থাকে।
অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন নারীর চুল পড়া ও পুরুষের টাকের সবচেয়ে বড় কারণ। এই হরমোন সাধারণত পুরুষের শরীরে বেশি পরিমাণে থাকে। যাদের শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি, তাদেরই বেশি করে চুল পড়ে।
* ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি হলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ। সে ক্ষেত্রে ছত্রাকরোধী শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করতে হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হতে পারে।
মাথার ত্বকে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও গরম জল অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে এগুলো একেবারেই ভুল কাজ। মাথার ত্বকে সব সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।
আবার অত্যধিক শ্যাম্পু করাও চুলের জন্য ক্ষতিকর। এতে মাথার ত্বকে বেশি তেল তৈরি হয়, যা চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়।
সালফেটস, প্যারাবেনস ও অ্যালকোহলযুক্ত চুলের পণ্য ব্যবহার করবেন না। এমন ধরনের প্রসাধনীর কারণেই বেশিরভাগ মানুষের চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। অর্গ্যানিক পণ্য ব্যবহার করুন চুলের যত্নে।
বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। স্ট্রেস বাড়লে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণও বেড়ে যায়। এতে প্রদাহ সৃষ্টি হয় ও চুলের বৃদ্ধিও কমে যায়।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় (5 Other ways to stop hair fall)
অয়েল ম্যাসাজ: অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল ম্যাসাজ করুন, এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে।
জল খেতে থাকুন: গরমের পাশাপাশি অন্যান্য ঋতুতেও পর্যাপ্ত প্রচুর পরিমাণে জল খেতে থাকুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: প্রোটিন, কার্ব এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার নিন।
ধুলোবালিযুক্ত জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন: প্রায়ই মানুষ ধুলোযুক্ত জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলেন। আপনি যখনই বাইরে যাবেন, চুল ঢেকে যান।
দিনের বেলা তেল লাগাবেন না: যদি বাড়ির বাইরে যেতেই হয়, তবে দিনের বেলা তেল লাগান না। এতে তৈলাক্ত চুলে ধুলাবালি লেগে যাবে এবং চুল নষ্ট হবে।
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার
সামুদিক মাছ, কাঠবাদাম, আখরোট, ডিম, অলিভ ওয়েল ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ যুক্ত ফ্যাটি এসিড আছে যা চুলের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখে,
নিয়মিত সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে তেল লাগিয়ে স্কাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করবেন। যেমন- নারিকেল তেল, বাদামের তেল, সরিষার তেল, অলিভ ওয়েল, তিলের তেল, ভিটামিন ই, ক্যাস্টোর ওয়েল।
প্রতিদিন ৫-৬ বার চুল আঁচড়াবেন। যত বেশি স্কাল্পে চিরুনি পড়বে তত বেশি চুলের ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, ভেজিটেবল তেল ইত্যাদি খাবেন। এতে চুল সুন্দর থাকবে।।
আজকাল গরমের এতো প্রখর রোদ ১ মিনিটের জন্যও বাইরে বেরোনো যায় না,, মুখ যেনো পুরে…
কদিন ধরে যা গরম পড়েছে তাতে প্রাণ যায় যায় ভাব…. এই তীব্র গরমে একটু ঝাল…
Cetaphil Cleanser For Oily Skin Benefits: গরমে ত্বকের যত্নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে যে…
মেয়ে পুরুষ বলতেই সকলে উজ্জ্বল, ফর্সা, দাগহীন ত্বক চায়.…. কিন্তু আজকাল আমরা ত্বকের ওপর এতো…
সারা দিনের কাজ কমপ্লিট করে রাতে আসে শান্তির ঘুম। রাতে হয় সকলের ‘মি টাইম’ই …..…
গরম পড়লেও মেয়েদের ঘুরতে যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না,, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষ এর…
Leave a Comment