শারদীয় দুর্গা পূজোর উৎসব আয়োজনে চারদিকে সাজ গোজ শুরু হয়ে গেছে। সার্বজনীন এই উৎসব ঘিরে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। পুজোর বিশেষ এই দিনগুলোতে আমরা চেষ্টা করি নিজে দের বিভিন্ন সাজে ফুটিয়ে তোলার।
সারা বছর ওয়েস্টার্ন পোশাকে কাটালেও পুজোতে শাড়ি চুড়িদার, ফ্রোক কিন্তূ মাস্ট। তার সঙ্গে মানানসই গয়না, মেকআপ এবং হেয়ার স্টাইল-তো লাগবেই।
পুজোর সাজ কেমন হবে এই নিয়ে কিন্তু সারা বছর ধরে জল্পনা চলতে থাকে। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাঙালি। আর তাই বিশ্বজুড়েই কিন্তু মানুষ মেতে ওঠেন এই উৎসবে। ভোগ, অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ, বাঙালি ভুরিভোজ থেকে বাঙালি সাজ- বাদ পড়েনা কিছুই। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা চলেছে মন্ডপের পথে। বেশ কিছু মন্ডপ আবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলেও গিয়েছে। যে সব বাড়িতে পুজো হয় সেখানে ঘট প্রতিস্থাপনও হয়ে গিয়েছে। হাতে গোনা আর তিনটে দিন। তারপরই কাশের দোলা আর ঢাকের বোলে আপামর জনসাধারণ গা ভাসাবে পুজোর আনন্দে। পুজোর কেনাকাটা ইতিমধ্যেই সারা। হালকা সাজ, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, চোখে কাজল আর ছোট্ট টিপের সনাতনী সাজের মহিমাই অন্যরকম। আর তাই আজ পুজোর সাজ নিয়ে থাকল বিশেষ কিছু কথা।
ষষ্ঠীর দিন থেকেই মূলত উৎসব শুরু হয়।
এদিন তাই খুব জমকালো পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সাদা কিংবা যে কোনো হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন ষষ্ঠীর দিন সঙ্গে হালকা সাজ। ফাউন্ডেশন আর ফেসপাউডার, হালকা লিপিস্টিক আর চোখে কাজল দিয়েই সাজ শেষ করুন।
ষষ্ঠীর সকালের সাজ কীরকম হওয়া উচিত
পোশাক বাছুন ভেবেচিন্তে
এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মানের ট্যাগলাইন ছিল না, সুস্থ রুচি শুদ্ধ শুচি, সপ্তমীর (Saptami) সকাল এবং সপ্তমীর রাতটা এই ট্যাগলাইনটিই আপনার জীবনের সঙ্গী হোক! রাতে যা-ও বা একটুআধটু জমকালো সাজ চলতে পারে, দিনের বেলা তো নৈব নৈব চ। বেছে নিন সুতি কিংবা লিনেনের পোশাক। সেটা শাড়ি হতে পারে, ড্রেস হতে পারে, আবার সালোয়ার-কুর্তাও হতে পারে। রং হোক হালকা প্যাস্টেল শেড। সকালবেলা কটকটে রংয়ের পোশাক চোখের আরাম তো দেবেই না, উল্টো গরমের মধ্যে বেশ একটা ক্যাটক্যাটে ব্যাপারই তৈরি করবে। শাড়ি পরলে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। গরমও কম লাগবে, আবার স্টাইলও হবে। ড্রেস পরলে তার ঝুল হাঁটুর নীচে থাকাটাই ভাল।
যত হালকা সাজ তত ভালো
খুব বেশি সাজলেই যে ভালো দেখায় তা কিন্তু একদম নয়। এতে আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। বরং হালকা মেক আপ করুন। চোখ সুন্দর করে আঁকলেন, নাকটা ঠিক করলেন- এই ছোট ছোট কারেকশনেই কিন্তু সুন্দর হয়ে উঠতে পারবেন। সব সময় ব্লাশার, আইশ্যাডো এসবের কিন্তু প্রয়োজন পড়ে না।
আমাদের পছন্দ: ব্লক প্রিন্টের খাদি, লিনেন কিংবা সুতির শাড়ি। স্লিভলেস অথবা এয়ারহোস্টেস গলা ব্লাউজ। ব্লাউজের পিঠ কাটাও হতে পারে আবার পিঠে নকশাও করা থাকতে পারে। সঙ্গে কানে ঝোলানো দুল, খোঁপায় থাকুক জুঁই কিংবা বেলফুলের ছোঁওয়া। আর্টিফিশিয়াল ফুলও লাগাতে পারেন। মন্দ লাগবে না।।
এছাড়াও,,,,
এই দিন, দিনের বেলায় ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ফাউন্ডেশন হালকা করে লাগিয়ে নিন। এর ওপরে আলতো করে পাউডার এবং সামান্য বেজ কম্প্যাক্ট বুলিয়ে নিন। চোখের পুরোটা পাতায় আইশ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের পাতায় আইলাইনার দিয়ে লাইন টেনে নিন। দুই গালে ব্লাসন বুলিয়ে দিন। পোশাকের রং-এর সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক বা লিপস্টিকের বদলে লাগান লিপগ্লস। আগেই চুল সেট করে নিন।
রাতের সাজটা যেমন হতে পারে
জমকালো পোশাক বেছে নিন
সকালে তো ছিমছাম সেজেছেন, রাতে না হয় একটু জমকালো সাজুন! এটা দু’ভাবে হতে পারে। এক, জমকালো শাড়ি, সালোয়ার-গয়না, কিংবা জমকালো মেকআপ। রাতের শাড়িটি হতে পারে সিল্ক কিংবা তসরের। মটকা, খাদি, লিনেন, যে সিল্কই হোক না কেন, রং হোক গাঢ়। রাতের বেলায় নজর কাড়তে চাইলে পোশাকের রং হালকা হলে একেবারেই চলবে না। যদি সালোয়ার-কুর্তা প্রেফার করেন, তা হলে লং সিল্কের জমকালো কুর্তা পরুন ।
রাতের সাজের সময় কোনো বাধা নেই। তবে সাজুন সময় নিয়ে, যত্ন করে, বছরের এই দিনটির জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয় পুরো একটা বছর, তাই এই সাজটাও হওয়া চাই তেমনই জমকালো।
৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স সেইসব মহিলারা সবাই সন্ধের দিকে রঙিন শাড়ি পরতে পারেন ৷ এখন গাউনেরও খুব চল হয়েছে ৷ ৫০ এর উপরে যাঁদের বয়স তাঁরা অবশ্যই শাড়ি পরবেন ৷ কিন্তু, ফিগার অনুযায়ী গাউন ও প্যারালালও চলতে পারে৷
৩৫-এর নীচে যাঁদের বয়স তাঁরা শর্ট স্কার্ট, লং স্কার্ট, শর্ট প্যান্ট, টর্ন জিন্স, বিভিন্ন ধরনের জিনস ৷ নটেড টপস সবই চলতে পারে ৷
চুলের স্টাইল,,
মেয়েদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শর্ট, লং, লেয়ার, শর্ট কাটসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইনভার্টেট ব্লান্ট, ইনভার্টেড ওয়েজ ব্লান্ট সবই চলছে ৷ হেয়ার স্টাইলে লং হেয়ার স্ট্রেটনিং, স্মুথনিং, অথবা সফট কার্লস, ও বিভিন্ন ধরনের কালার ও কিছু ফাঙ্কি কালার এখন ভীষণই ফ্যাশন ৷
স্ট্রেটনিং করা থাকলে চুল ছেড়ে রাখুন
এখন অনেকেই নানা রকম হেয়ার ট্রিটমেন্ট করান। কেউ স্ট্রেটনিং, কেউ স্মুথনিং। আর তাই এই রকম কোনও হেয়ার ট্রিটমেন্ট যদি করিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু চুল ছেড়ে রাখাই ভালো। এতে ফেস কাটিং এও সামান্য পরিবর্তন আসে।
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে তুলায় লোশন বা অলিভ ওয়েল দিয়ে ঘষে ঘষে মেকআপ তুলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমোতে যান। এতে ঘুমের মধ্যে আপনার ত্বক পরের দিনের সাজের জন্য তৈরি করবে নিজেকে।
Tags – How You Paint Yourself In The Sixth
পুজোর ড্রেস আপ,, সাজগোজ
গরম পড়লেও মেয়েদের ঘুরতে যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না,, বন্ধু কিংবা প্রিয় মানুষ এর…
অনেকেই হয়তো জানেন না গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিকে পড়ে যায়,, এই উজ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আইস…
Durga Puja Makeup Tips: হাতে গোনা পুজো আর ১৭ দিন,,শহরে আনাচে কানাচে উৎসবের আমেজ তৈরি…
Durga Puja 2024 Date Time: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে দুর্গাপূজা আশ্বিন মাসে পালন করা হয়। কখনও…
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
Leave a Comment