সুস্বাস্থ্যের টিপস্ – Tips For Good Health

সুস্থ জীবন সকলের কাম্য। কিন্তু, সুস্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক উভয়কেই বোঝায়।।সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে শারীরিক ও মানসিক উভয় ভাবেই সুস্থ থাকতে হবে। মানসিক ভাবে আপনি সুস্থ থাকলে শারীরিক সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। বর্তমানে স্ট্রেসের সমস্যায় আক্রান্ত অনেকেই। 

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে  মেনে চলুন এই  নিয়ম

পুষ্টিবিদ তথা স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস বিশেষজ্ঞ যশ বর্ধন স্বামী বলেন, “প্রথম যে বিষয়টি আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে তা হল আমাদের শরীরের প্রতিটি সিস্টেম পরস্পর সংযুক্ত । সুতরাং, আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে ৷ 

মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। রোজ সঠিক সময় ঘুমাতে যান। অনেকেই রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ফোন ঘাঁটার অভ্যেস আছে। এর ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। সঙ্গে সঠিক নিদ্রা থেকে বঞ্চিত হন। সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যেসের বদল করুন। 

পুষ্টিকর খাবার খান নিয়মিত। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়রন, ভিটামিন বি ১২। এগুলো মনের ওপর প্রভাব ফেলে। 

চিন্তা মুক্ত থাকা প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য তবেই ভালো থাকবে। অনেকেই অকারণ চিন্তা করার অভ্যেস আছে। তারা এই অভ্যেস বদল করুন। কোনও সমস্যার কারণে চিন্তা আসতেই পারে। তবে, সেই চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করুন। তা না হলে এর খারাপ প্রভাব পড়বে মনের ওপর।   

শরীরচর্চা করুন নিয়মিত। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, নিজের জন্য ৩০ মিনিট বের করুন। এই সময় এক্সারসাইজ করতে পারেন কিংবা হাঁটতে পারেন। 

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন টিপস্

রোজ মেডিটেশন করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে মেডিটেশন করলে। দিনের শুরুতে অথবা বিকেলে এই ব্যায়াম করা যায়। বর্তমানে স্ট্রেসের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। স্ট্রেস থেকে দেখা দিচ্ছে একের পর এক রোগ। তাই রোগ মুক্ত থাকতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। 

সব সময় অ্যাকটিভ থাকুন। শারীরিক পরিশ্রম করুন। এতে মন ভালো থাকবে। মস্তিষ্ক সতেজ রাখুন। মস্তিষ্ক সতেজ রাখলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এবার থেকে নিয়ম মেনে চলুন। 

নতুন স্কিল শেখা, নতুন হবি তৈরি করা বা কোনও দীর্ঘকালীন গোল নির্ধারণ করেও নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যান। এটি অসাধারণ মুড বুস্টারের কাজ করতে পারে।

নানান সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, যাঁদের কোনও হবি নেই, তাঁদের মধ্যে মুড ডিসঅর্ডার দেখা দেওয়ার প্রবণতা বেশি। আবার হবির অন্যতম উপকারিতা হল, এর ফলে আপনি নিজের মতো অনেকের সন্ধান পাবেন। 

তাই বেশি দেরি না-করে,  নতুন কিছু করুন। এই সুঅভ্যাসগুলি আপনাকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার কোনও ধারণা করা যায় না।

Tags – Health Tips Health Care