সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ? আপনি কি বুজতে পারছেন আপনার ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।। প্রথমেই নিজেকে মূল্যায়ন করুন, খেতে বসে বা অতি জরুরি কাজের মধ্যে নিয়মিত আপনি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আপডেটগুলোতে মনোযোগ দিচ্ছেন কি না? সেটা দেখুন। সোশ্যাল মিডিয়ার গেমসগুলোতে কেমন সময় দিচ্ছেন? অন্যদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলোতে নিজেকে উদ্বিগ্ন করে তুলছেন কি না? একবার নীরবে ভাবুন নিজের এসব প্রবণতা নিয়ে। যদি আপনি নিজের কাছে ইতিবাচক উত্তর পান তাহলে জেনে রাখুন আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
প্রয়োজন বাদে বাড়ি থেকে বেরোনো হয় না আজকাল, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যেন গতজন্মের স্মৃতি! সারাদিন বাড়িতে বসে শুধু অফিস আর সংসারের কাজ, আর তার সঙ্গে ভয় এই বুঝি সংক্রমণ হানা দিল! সারাক্ষণের টেনশন কমাতে আর বন্ধুবান্ধব-পরিচিতদের জগতে একটু চোখ রাখতে এখন আমাদের একমাত্র ভরসা ইন্টারনেট।
কী করে বুঝবেন আপনার সোশাল মিডিয়া থেকে কিছুদিন ছুটি চাই কিনা?
চিন্তাভাবনাহীন পোস্ট
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কি আপনি বিন্দুমাত্র ভাবনাচিন্তা না করেই সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন? মনে রাখবেন, জীবনটা উপভোগ করে বাঁচার জন্য, তার প্রতিটি মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামবেন না।
প্রতি মুহূর্তে আপনার হাতে ফোন থাকে
সেকেন্ডে সেকেন্ডে ফোন চেক করা কি আপনার স্বভাব হয়ে গেছে? কাজের ফাঁকে, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার সময়, মাঝরাতে ঘুম ভেঙেও সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখেন, অথচ কী দেখছেন, কেন দেখছেন, নিজেই জানেন না? এরকম হলে কিন্তু জোর করে এবং সচেতনভাবে ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে!
কবজিতে, পিঠে, ঘাড়ে টনটনে ব্যথা
আজকাল কবজি, আঙুল বা পিঠে-ঘাড়ে খুব ব্যথা হচ্ছে? মোবাইলে স্ক্রোলিং করতে গেলে ব্যথার ভাব আরও বাড়ছে? তা হলে কিন্তু আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্ক্রোল করছেন। ব্রেক নিন।
সোশাল মিডিয়ার কমেন্ট আপনাকে প্রভাবিত করে
মনের মতো কমেন্ট না পেলে বা কমেন্ট আদৌ না পেলে কি আপনি ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকেন? বা অন্য কোনও সোশাল মিডিয়ার বন্ধুকে সাজগোজ, রান্নাবান্না বা মতামতে টেক্কা দিতে না পারলে অসুবিধে হয়? তেমন হলে কিন্তু সোশাল মিডিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে।
বারবার পোস্ট এডিট করেন?
দীর্ঘ পোস্ট হলে আলাদা কথা। কিন্তু চারলাইনের পোস্টও কি বহুবার এডিট করতে হয় আপনাকে? বারবার কিছু না কিছু খুঁত খুঁজে পান? খালি মনে হয় সোশাল মিডিয়ায় ঠিকমতো নিজেকে প্রকাশ করতে পারছেন না? এই উদ্বেগের অর্থ, এবার কিছুদিন সোশাল মিডিয়া থেকে ছুটি নেওয়ার সময় হয়েছে।
নিজেকে বিকল্প কাজে যুক্ত করুন : একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের বিষয়ে যুক্ত না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। এরপরে, এ সময়টাকে কী কাজে লাগাবেন সে বিষয়ে মনোযোগ দিন। নতুন কিছু শিখতে শুরু করুন, নতুন কাজে যুক্ত করুন এবং কিছু না থাকলে নতুন কিছু বিষয়ে জানার জন্য তৎপর হোন।
চলতি হাওয়ায় যুক্ত হওয়ার মানসিকতা পাল্টে নিন : মনে রাখবেন নতুন সবকিছুই কিন্তু ভালো নয়। হয়তো নতুন কোনো মাধ্যম বা নতুন কোনো চলতি এপসে নিজেকে আর যুক্ত করবেন না। ফলে নতুন একাউন্ট করার বিষয়ে সচেতন হোন।
ব্যক্তি সম্পর্কগুলোতে সমনোযোগ দিন : বাস্তব জীবনে যে সম্পর্কগুলো আছে সেগুলোতে মনোযোগ দিন। আত্মীয় পরিজনকে সময় দিন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নমূলক বিষয়ে মনোযোগ দিন ও পরিবারের নিকটবর্তী থাকুন।
ঘনঘন লাইভ প্রচার থেকে বিরত থাকুন : যেখানেই যাচ্ছেন, সেখান থেকে একটি লাইভ প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন। সবকিছুতে নিজেকে বাস্তব থেকে ভার্চুয়ালে নেয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যদের পর্যবেক্ষণ করুন।
বিরতি নিন : মনে রাখবেন, যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না, তখনও কিন্তু মানুষের সামাজিক সুন্দর জীবন ছিল। ফলে ১/২ সপ্তাহ ব্রেক নিন, অন্যকিছুতে নিজেকে যুক্ত করুন। এবং মানুষের সুস্থ-সুন্দর জীবন যাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর নয়।
মেডিটেশন
ফোনের ব্যবহার কমাতে চাইলে মেডিটেশন করুন। এতে করে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে। আর কে না জানে, যত কিছুই করা হোক না কেন, দিন শেষে মনের ইচ্ছাটাই জরুরি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছাড়তে মেডিটেশন ভালো একটি বিকল্প হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনে যেমন অনেক কিছু এনে দিতে পারে, তার চেয়ে জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার পেছনে এটি অন্যতম নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
নতুন কিছু পোস্ট করলে বারবার ক’টা লাইক, কমেন্ট পড়ল দেখতে ইচ্ছে করে আপনার। অর্থাৎ আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এটা আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পক্ষে পরিপন্থী। তাই এক মিনিট সময় নষ্ট না করে এখুনি সোশাল মিডিয়া ডিটক্স করুন নিজেকে।
প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ফেসবুক বা টুইটারে কী আপডেট আসলো তা না দেখলে আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর জন্যে আপনার খাওয়া, ঘুমের রুটিন পাল্টে গেছে। এরকম হলে জোর করে হলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার সময় বা বিশেষ কোনো কাজের সময় ফোন নিজের থেকে দূরে রাখুন।
অনেকসময় আমরা নিজেরাও কারণ খুঁজে পাইনা যে কেন এমন কিছু পোস্ট করলাম যেটা না করলেও হতো। ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটা আপডেট শেয়ার করতে ইচ্ছে করে আপনার। কিন্তু মনে রাখবেন, সেখানেও কিন্তু আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
Tags – Can’t Stay Away From Social Media Even For A Moment, Change Your Thoughts Life Style
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment