দম্পতিদের দাম্পত্য জীবনে সুখ থাকা প্রয়োজন। তাহলেই তাঁদের জীবন ভাল ভাবে চলবে। প্রতিটি দম্পতি এটি চান যে তাঁদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। তবে আজও অনেক বিবাহিত দম্পতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে থাকেন। সুখে থাকতে হলে কিছু নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। সম্পর্কের কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তুলতে পারবেন।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়, এতে যে কারওরই দোষ থাকতে পারে, তবে স্বামীর দোষ যে প্রতিবারই হবে তা নয়। অনেক সময় স্ত্রীও এমন কাজ করে যা সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। আসুন দেখি স্ত্রী হিসেবে মেয়েদের স্বামীর সঙ্গে এই আচরণগুলি করা উচিত নয়।
বিয়ে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস এবং এরপর পরিস্থিতি আগের মতো থাকে না। সবাই চায় বিয়ের পর তার জীবন সুখের হোক, কিন্তু কখনও কখনও দুজনের বা একজনের ভুলের কারণে দাম্পত্য জীবন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
১) সব কিছুতে সন্দেহ করা,
বিশ্বাস হল যে কোনও সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি, এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কারণ এই সম্পর্কটি আজীবন বজায় রাখতে হয়। এমন সময় আছে যখন একজন স্ত্রী তার স্বামীকে সন্দেহ করে। যেমন একজন মহিলা বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে আকস্মিকভাবে কথা বলা বা বন্ধুদের সঙ্গে হাসাহাসি করা ইত্যাদি। ভালো থাকতে চাইলে সন্দেহ করার এই অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্যাগ করা উচিত।
২) অত্যধিক চাহিদা করা-
বিয়ের পর অতিরিক্ত দাবি করা স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে একজন রাজার মত আচরণ করে যা সম্পূর্ণ অন্যায় নয়, তবে সে যদি তার কাছ থেকে আরও কিছু দাবি করে তবে তা সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে এবং দম্পতিদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে বাধ্য।
৩) কারও সঙ্গে স্বামীর তুলনা
প্রায়ই দেখা গেছে কিছু স্ত্রী তাদের স্বামীকে তাদের পরিবারের সদস্য বা বাইরের কারো সঙ্গে তুলনা করে। স্বামী কখনই এই অভ্যাস পছন্দ করেন না এবং এটি তার নিজের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি করে। স্ত্রীর এই কাজ স্বামীর অহংকে আঘাত করতে পারে, কারণ পুরুষরা পছন্দ করেন না যে তার স্ত্রী তাকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করে।
৪) মতামতকে অসম্মান করা
একে অপরের মতামতকে সম্মান করাবিবাহিত জীবনে অনেক সময় স্বামী ও স্ত্রীর মতামতের মধ্যে পার্থক্যের কারণে সমস্যা শুরু হয়। অনেক সময় এই সমস্যাটি বিবাহ বিচ্ছেদের কারণও হয়ে ওঠে। তবে আপনি যদি আপনার সঙ্গীর মতো করে চিন্তা করেন এবং তার মতামতকে সম্মান করেন তবে সম্পর্ক দীর্ঘ হবে এবং সুখী হবে।
৫) বিশ্বাস করুন
বিশ্বাস এবং আনুগত্যযে কোনও সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে নির্ভর করে। তা বন্ধুত্ব হোক, ভাই-বোন বা অন্য যে কেউই হোক না কেন, সম্পর্কে আনুগত্য থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভরসা থাকাটা প্রয়োজন। কখনও কখনও সম্পর্কটি ভেঙে পড়তে শুরু করার পরেও, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন এবং তার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে সমস্যাগুলি দূরে সরে গিয়ে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোসমস্ত লড়াই, সম্পর্কের উত্তপ্ত ,সমস্য়া বাদ দিয়ে যদি আপনি এখনও আপনার সঙ্গীর কাছাকাছি থাকতে চান এবং এখনও একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তবে আপনার মধ্যে দূরত্ব বাড়তে পারে না।
Tags – Life Style Relationship Tips
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment