অনেকেই আছেন যাঁদের পায়ে, ও পায়ের তলায় প্রায়ই জ্বালাপোড়া অনুভব করেন। যদিও এটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু এই সমস্যা এটি আসলে অনেক গুরুতর রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
পায়ের পাতা দুটি যেন মাঝেমধ্যে লংকার লাগার মতো জ্বলে। কখনো ঝিম ঝিম করে বা অবশও লাগে। প্রায়ই এ ধরনের অনুভূতির কথা শোনা যায় রোগীদের মুখে। এ এক বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাকর অনুভূতি। নানা কারণে, এমনকি মানসিক বিপর্যয়েও হতে পারে এই জ্বালাযন্ত্রণা।
কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেই এমনটা ঘটে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
নিউরোপ্যাথির একটি বড় কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার আধিক্য ধীরে ধীরে পায়ের স্নায়ুগুলোকে ধ্বংস করে এ ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে।
তবে সব সময় পায়ে যন্ত্রণা বা জ্বালাপোড়া মানেই যে স্নায়ুতে সমস্যা বোঝায়, তা নয়। আরও কিছু কারণে এ ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:
– পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ
– পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা
– মহিলাদের মেনোপোজের পর
– অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ
এই সময়, আপনার পা গরম হতে পারে, কাঁটাভাব ও অসাড়তা দেখা যেতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত রাতে বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত রিচ খাবার খেলে, শরীর কষে গেলে, জল কম খেলে বা কড়া ওষুধ খেলে এই সমস্যা হতে পারে। অনেকেরই পায়ের তলায় জ্বালা অনুভুত হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তা বেজায় কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার হ’ল এরকম একটি প্রতিকার। অ্যাপল সিডার ভিনেগার জ্বলন্ত পায়ের সিনড্রোম থেকে মুক্তি দেয়। তবে কয়েক শতাব্দী ধরে পায়ের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে আপেল ভিনেগার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঠাণ্ডা জল দিন
পা জ্বালা অনুভুত হলে তাতে ঠাণ্ডা জল দিন, বা কোনও কাপর ভিজিয়ে হাতে জড়িয়ে রাখুন। এতে স্বস্তি মিলবে। রাতে এই প্রতিকারটি করলে বেশি উপকার পাবেন। কারণ এই জ্বলন এবং ব্যথা রাত্রেই বাড়তে শুরু করে।
মাছের তেল
ফিশ অয়েল অনেক কিছুর জন্য ব্যবহৃত হয়। এর ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে যদি মাছের তেল ব্যবহার করা হয় তবে এটি ব্যথা কমাতে পারে।
হলুদ
হলুদ এমন একটি মশলা বা ওষুধ যা প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। এটি ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি বার্নিং ফিট সিনড্রোম থেকেও স্বস্তি দিতে পারে। এর জন্য আপনাকে কেবল একটি ছোট কাজ করতে হবে, আপনাকে নারকেল তেলের ভিতরে হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে এবং এর পেস্টটি পায়ে লাগাতে হবে।
ম্যাসাজ করলে মিলবে আরাম
ম্যাসেজের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে শরীরের যে কোনও অংশে ম্যাসেজ করলে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটে।
এর পেছনে অ্যাথলিটের পায়ের মতো সমস্যাও থাকতে পারে। যাইহোক,তাহলে চলুন জেনে নিই পা জ্বালাপোড়ার কারণগুলো কী কী।
১. ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
বছরের পর বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে রক্তে উচ্চ শর্করা ধীরে ধীরে আপনার রক্তনালী এবং স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। । এর ফলে পা সহ শরীরের অনেক অংশে অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়।
ছোট ফাইবার সেন্সরি নিউরোপ্যাথি
SFSN একটি বেদনাদায়ক নিউরোপ্যাথি যা প্রায়শই পায়ে বেদনাদায়ক জ্বলন সৃষ্টি করে।
পুষ্টির ঘাটতি
পুষ্টির অভাবও পা জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। অপুষ্টির কারণে পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করেছিল।
হাইপোথাইরয়েডিজম
একটি কম সক্রিয় থাইরয়েড আপনার শরীরের হরমোনের ভারসাম্য পরিবর্তন করে। এটি ফুলে যেতে পারে, যা স্নায়ুর উপর চাপ দেয়।
টক জাতীয় ফল বেশি করে খান। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় টক জাতীয় ফল রাখুন। হালকা কোনও খাবার খাওয়ার পর এই ফল খান। উপকার পাবেন।
বেশি পরিমাণ জল পান করুন। শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে তা থেকে সমস্যা হতে পারে। তাই জল পান করা একান্ত প্রয়োজনীয়।
প্রতিদিন শোওয়ার আগে হালকা গরম জলে স্নান করুন। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কিংবা গরম জলে স্নান না করাই ভালো।
মনের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি না করাই ভালো। কোনও একটি বিষয় নিয়ে বেশিক্ষণ চিন্তা না করাই ভালো। তা থেকেও সমস্যা হতে পারে।
হাতের তালুতে জ্বালা অনুভুত হলে তাতে ঠাণ্ডা জল দিন, বা কোনও কাপর ভিজিয়ে হাতে জড়িয়ে রাখুন। এতে স্বস্তি মিলবে।
Tags – Life Style
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment