হাঁটতে বা দৌড়াতে গিয়ে পেশিতে টান লাগলে কি করবেন  – What To Do If You Pull A Muscle While Walking Or Running

 জগিং বা দৌড়ানো শুরু করার পর পেশিতে টান ধরা বা যন্ত্রণা হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই বলে শরীরচর্চা বন্ধ করে দেবেন না। এই যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করতে জেনে নিন কী করণীয়-

পায়ের গোড়ালি মচকে গেলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ গোড়ালিতে আঘাত লাগলে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়ে পা ফুলে যেতে পারে। 

হাঁটতে বা দৌড়াতে গিয়ে পেশিতে টান লাগলে দ্রুত যা
করবেন

বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগান। এই আঘাত সেরে উঠতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যায়। ভবিষ্যতে এই ধরনের আঘাত এড়াতে গোড়ালির পেশির জোর বাড়ান।

  অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত দৌড়ালে এই আঘাত লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাধারণত হাঁটু মুড়ে বসার সময়ে এই ব্যথা অনুভূত হয়।

বেশি আঘাত পেলে তাৎক্ষণিক দৌড়ানো বন্ধ করুন ও কিছুদিন বিশ্রাম নিন। 

 জোরে হাঁটা বা দৌড়নোর সময় পায়ের নীচের অংশের সামনের হাড়েও ব্যথা হতে পারে। সাধারণত খুব জোড়ে ও অতিরিক্ত দৌড়নোর কারণে এই আঘাত লাগে। 

পেশী ক্লান্ত থাকা অবস্থায় আকস্মিক নড়াচড়া করলে।

হঠাৎ অতিরিক্ত ভারী কিছু ওঠালে।

পেশীর অতিরিক্ত ও অনুপযুক্ত ব্যবহার।

মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।

 অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে পানি কম খেলে এবং শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে।

যারা অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করে থাকেন যেমন অ্যাথলেটরা মাসল পুলের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

মাংসপেশিতে টান পড়লে কী করবেন

যারা দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটারের সামনে কিংবা চেয়ারে বসে কাজ করেন কিংবা লম্বা সময় যানবাহন চালান, তাদের কাঁধ, ঘাড়, পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

এ সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই দৌডোনো বন্ধ করে দিন। বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগালে কিছুটা আরাম মিলবে। যন্ত্রণা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মাসল পুল হলে কি করবেন:

, মাংসপেশিতে টান খাওয়ার প্রথম কয়েকদিন চারটি ধাপে এর চিকিৎসা করতে হবে। যাকে সংক্ষেপে রাইস থেরাপি বলা হয়। এর মাধ্যমে ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।

রাইস থেরাপির ৪টি ধাপ হল: রেস্ট, আইস, কমপ্রেশন ও এলিভেট।

১. রেস্ট বা বিশ্রাম: সব ধরণের শারীরিক ব্যায়াম বা ক্রিয়াকলাপ বন্ধ রাখতে হবে। 

২. আইস বা বরফ – আঘাতের স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিটের জন্য বরফের ব্যাগ দিয়ে রাখুন।

৩. কমপ্রেশন বা সংকোচন – আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটির নাড়াচাড়া নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে।

৪. এলিভেট বা উঁচু করা – অর্থাৎ আঘাতের স্থানটি যতটা সম্ভব বালিশের উপরে উঠিয়ে রাখতে হবে।

মাংসপেশির ফুলে ওঠা প্রতিরোধে কোন অবস্থাতেই আঘাত পাওয়ার প্রথম কয়েকদিন ওই স্থানে গরম সেক দেয়া বা গরম জল দেয়া যাবে না।

Tags – Walking Or Running  Life Style Health Tips Health Care