হার্ট হল শরীরের পাম্পিং মেশিন। এটি একটা নির্দিষ্ট ছন্দে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয়ে সম্পুর্ন শরীরে রক্ত পৌঁছে দেয়। যখন রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হৃদপিণ্ডের পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত না পৌঁছায়, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয় এবং পরিণাম হয় মৃত্যু।
হৃৎপিণ্ড বুকের মাঝখানে ও বাঁ পাশের কিছু অংশজুড়ে থাকে। সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের কাজ করে থাকে। হার্ট একমাত্র অঙ্গ, যা সারাক্ষণ কাজ করে, কখনোই বিশ্রাম নেয় না।
হার্টের রক্তনালির কাজ
সারাক্ষণ হার্টের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেন ও পুষ্টি। এ অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহের জন্য রয়েছে হার্টের নিজস্ব রক্তনালি। মূলত তিনটি রক্তনালি তাদের শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে হার্টের মাংসপেশিতে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এ তিনটি রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়।
হার্ট অ্যাটাক কীভাবে হয়
তিনটি রক্তনালির যে কোনো একটি যদি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হার্ট অ্যাটাক হয়। রক্তনালি যদি আস্তে আস্তে অনেক দিন ধরে বন্ধ হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক নাও হতে পারে, হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই হার্ট অ্যাটাক হবে।
অনেকের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালিতে চর্বি জমে এবং রক্তনালি সরু হতে থাকে। ফলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমতে থাকে।
ভেতরের দিকের আবরণ ফেটে গেলে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালির সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হতে থাকে এবং একেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। তবে আট ঘণ্টার মধ্যে যদি রক্তনালি খুলে দেয়া যায় তাহলে হার্টের মাংসপেশিকে রক্ষা করা সম্ভব।
গবেষণায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরকে রক্তনালির ওপরের আবরণ ফেটে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। যেমন-
১. অতিরিক্ত পরিশ্রম করা, যে পরিশ্রমে শরীর অভ্যস্ত নয়।
২. অতিরিক্ত খাওয়ার পরপর শারীরিক পরিশ্রম করা।
৩. একসঙ্গে অতিরিক্ত ধূমপান করা।
৪. নিদ্রাহীনতা।
৫. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
৬. হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া বা রেগে যাওয়া।
হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ
সাধারণত বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। কখনও কখনও বুক চেপে আসা, বুক ভারি লাগা, বুক জ্বলে যাওয়া এ রকম উপসর্গ হতে পারে। বসা, শোয়া অবস্থায়ও ব্যথা হয়, ব্যথাটা বাঁ হাতে, গলায়, পেছনে ছড়িয়ে যেতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক কীভাবে এড়িয়ে চলা যায়
প্রথমেই ছাড়তে হবে ধূমপান। প্রতি দিনের ডায়েটে যতটা সম্ভব বাড়ির বানানো কম তেল-ঝালের রান্না রাখতে হবে। কম ফ্যাট ও প্রোটিনের ভাগ বেশি রাখতে হবে পাতে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জোগান বাড়াতে প্রচুর শাকসব্জিও রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম শরীরকে ফিট রাখে। একান্তই সময় না পেলে রোজ অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতেই হবে।
১. যেসব কারণে রক্তনালির আবরণ ফেটে যায়, সেগুলোকে এড়িয়ে চলা।
২. হাঁটলে হার্টে নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হয়।
৩. যাদের বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, তারা নিয়মিত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাবেন।
৪. কোলস্টেরল কমানোর ওষুধ রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমানো ছাড়াও রক্তনালির ওপর জমে থাকা চর্বির আবরণ শক্ত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে পরিমিত বিশ্রাম নিন। মানে, স্রেফ কিছুই করবেন না, কোনো চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করুন। সাংসারিক কিংবা অফিসের কাজ ভুলে যান। স্রেফ নিজের জন্য বিশ্রাম নিন। সেটা শুয়ে-বসে যেকোনোভাবে। বিশ্রাম নেওয়ার পর দেখবেন ভীষণ ফুরফুরে লাগছে।
স্থূলকায় মানুষের ওজন নিয়ে দুর্ভাবনার শেষ নেই। ওজন কমাতে ক্যালরির হিসাব করছেন, ব্যায়াম করছেন কিন্তু তারপরও কমছে না কিছুতেই। আপনি কি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন? স্বাস্থ্যকর খাবার আর ক্যালরিযুক্ত খাবার কিন্তু এক নয়। পুষ্টিকর খাবার খান এবং ক্যালরি খরচ ও গ্রহণে ভারসাম্য আনুন। তরল খাবার খেতে পারেন। শাকসবজি থাকুক প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এ ছাড়া শারীরিক পরিশ্রম করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বাধ্যতামূলক করুন।
Tags
:Heart DiseasesHeart AttackObesityHealth TipsFitness Tips
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment