হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় – Ways To Solve Heart Problems

Spread the love

হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় – Ways To Solve Heart Problems


হার্টের অসুখ এমনই একটি বিষয় যে বাইরে থেকে আগে বোঝা যায় না। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। অনেকে মনে করেন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আর নিয়মিত ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট। কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।


হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার সহজ  সহজ উপায়

মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হার্ট বা হৃদপিণ্ড একটি জরুরী অঙ্গ। হার্টের কর্মক্ষমতার ওপর বেঁচে থাকা, শক্তি, শারীরিক কর্মক্ষমতা, আবেগ অনুভূতি বলতে গেলে জীবনের সবকিছুই নির্ভরশীল। হার্টের দ্বারা রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি এবং শক্তি সঞ্চালিত হয়।


অন্য যেকোনো অঙ্গ অকেজো বা নষ্ট হয়ে গেলে শুধু ওই অঙ্গের কার্যের ব্যাঘাত ঘটে, কার্যক্ষমতা লোপ পায়। 


হৃদরোগের কারণ


পারিবারিক হৃদরোগ ইতিহাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এবং অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত মদ্যপান।

হার্টের অসুখের কারণে হতে পারে মৃত্যুও। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা বেশি। এক্ষেত্রে বয়সও খুব একটা বিষয় নয়। 


। চলুন জেনে নেয়া যাক হার্ট ভালো রাখতে কী খাবেন এবং কী করবেন-


রসুন: শরীরের কোলেস্টেরল দূর করে রসুন। খালি পেটে এক কোয়া রসুন হার্টের পক্ষে দারুণ উপকারী।


হার্টকে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ রাখার টিপস্


আমন্ড: মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আমন্ড হার্টের জন্য উপকারী। জলে ভিজিয়ে ৬-৭টি আমন্ড রোজ খান। খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার।

তৈলাক্ত মাছ: তেলওয়ালা মাছেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটিও হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী।


হলুদ: কাঁচা হলুদের উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। এটি হার্টের জন্যও বেশ উপকারী। তাই হার্ট ভালো রাখতে কাঁচা হলুদ খান।


কলা: রক্তচাপ কমাতে কলা কাজে লাগে। এতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত কলা খান।


ওটস: ওটস বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। হাই ফাইবার থাকে ওটসে। এটি হার্টের উপকারে লাগে। কোলেস্টেরল কমাতেও কাজে আসে।

সবুজ শাক-সবজি: হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন কে খুবই প্রয়োজন। তার সেরা উপায় সবুজ শাক-সবজি খাওয়া। এতে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।


ব্যায়াম: শারীরিক কসরত রোজ করা প্রয়োজন। অন্তত সিঁড়ি ভাঙা, সাঁতার, হাঁটা খুবই প্রয়োজন। 


স্ট্রেস কমান: দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। ইতিবাচক ভাবতে শুরু করুন। মেডিটেশন করুন। বই পড়ুন, সিনেমা দেখুন, হাসুন।

যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে সেসব খাবার খাবেন। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।

বেশি আঁশ আছে এরকম সবজির মধ্যে রয়েছে শিম ও মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই ও ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল।


লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও।

যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে সেগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


শুধু তাই নয়, এসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।


ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। হৃদরোগের যেসব কারণ আছে সেগুলো ঠেকাতেও এসব খনিজ ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

কারো শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব থাকলে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন:


প্রতিদিন পাঁচটি ফল বা সবজি খাওয়া। ছোট্ট এক গ্লাস জুস। শিম ও ডাল জাতীয় শস্যও খেতে পারেন। বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে থাকে ভিটামিন ই।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেওয়ার জন্য উপরের চারটি ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি অনেক দূর অগ্রসর হয়েছেন।


কারণ আপনি যদি চিনি, লবণ, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার কম খান, ভিটামিন ও মিনারেল আছে এরকম খাবার বেশি খান তাহলে আবার মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম মনে রাখতে হবে।

হৃদরোগ ঠেকাতে


হৃদয় ও ফুসফুসকে ভাল রাখতে দরকার কিছু কার্ডিও এক্সারসাইজ৷ অর্থাৎ হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার, খেলাধুলা ইত্যাদি৷ শুয়ে–বসে থাকার অভ্যাস থাকলে তা আগে ত্যাগ করুন। বরং হাঁটতে পারলে ব্যায়ামের প্রাথমিক ভাগটা শুরু করুন হাঁটা দিয়ে৷ 


একই গতিতে একটানা হাঁটুন৷ সকালের দিকে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে পারলে ভাল৷ সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধেয় হাঁটুন। শীতের ভোরের কুয়াশা ও ধুলো–ধোঁয়ার মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়৷ কাজেই একটু রোদ উঠলে বেরন৷ বিকেলে হাঁটলে চেষ্টা করুন আলোকিত ও পরিচিত রাস্তায় হাঁটতে৷ যে গতিতে হাঁটলে শীতকালে অল্প ঘাম হয়, শ্বাসের হার ও নাড়ির গতি বাড়ে, একটু হাঁপিয়ে যান সেই গতিতে হাঁটুন৷ যদি খুব হাঁপিয়ে যান, বেশি ঘাম হয়, ঘরে নিজের কাজ নিজে করতে পারলে ভাল৷ মাঝেমধ্যে ঘর–বাড়ি বা গাড়ি ধোয়ামোছা করতে পারেন।




Tags – Ways To Solve Heart Problems Health Tips Health Care

Bristy

Leave a Comment
Share
Published by
Bristy

Recent Posts

Homemade Hair Mask For Hair Growth: চুলের ঘনত্বের জন্য হেয়ার মাস্ক

আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…

11 hours ago

Facial Care Routine At Home:ফেসিয়াল করার পর ত্বকের যত্ন

Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…

11 hours ago

Beauty Parlour Banner Design: বিউটি পার্লার ব্যানার ডিজাইন

আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…

14 hours ago

Durga Puja Saree: দুর্গা পূজার ৫ ট্রেন্ডিং শাড়ি

Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…

15 hours ago

Hair Washing: চুল ধোয়ার সঠিক উপায়

মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…

1 day ago

Gram Flour Benefits For Skin: ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বাড়াবে বেসনের ফেসপ্যাক

এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…

2 days ago