Benefits of eggs : ডিম একটি আদর্শ ও পুষ্টিকর খাবার। ছোট বড় সবাই ডিম খেতে পছন্দ করেন। প্রোটিনের সম্পূর্ণ ডিম। বেশিরভাগ চিকিৎসকই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দেন। ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর প্রাকৃতিক খাদ্য। একে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে।
একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । একটি সেদ্ধ ডিম থেকে সাধারণত ৭৭ ক্যালরি পাওয়া যায়। ডিম দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং খিদে কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটে ডিম রাখা জরুরি।
প্রোটিনের যতগুলো উৎস আছে তার মধ্যে ডিম হচ্ছে সবচাইতে সহজলভ্য। ছোট-বড় সবার স্বাস্থ্যের জন্য ডিম একটি উপকারী খাবার। ডিমে যেসব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা দিয়ে শরীর অনেকাংশেই সুস্থ রাখা সম্ভব। প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খেলে শরীর সারাদিনের জন্য এনার্জি পায়, তার সাথে বিভিন্ন রোগবালাইও দূর হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা –
কিন্তু অনেক পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ ডিমের ভিতরে পাওয়া যায়। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন A, B -6, B-12, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, সেলেনিয়াম এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিম খাওয়া যেতে পারে, অমলেট, হাফ ফ্রাই, এমনকি সেদ্ধও হতে পারে। ডিম থেকে যে আয়রন পাওয়া যায়, তা শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়। এছাড়াও –
১. চুল পড়া কমায়ঃ
আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে প্রতিদিন সকালে অবশ্যই একটি করে সেদ্ধ ডিম খাবেন। ডিমের ভিটামিন এ এবং ই চুলের গোড়ায় পুষ্টির যোগান দেয়।
২. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ
বড় থেকে ছোট সবার দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে সেদ্ধ ডিম। কারণ এতে আছে লুয়েটিন এবং জিয়াক্সেনথিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ এগুলো ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায় ।।
৩. হাড় শক্ত হয়ঃ
ব্রেকফাস্টে একটি করে সেদ্ধ ডিম হাড় ও দাঁত সুগঠিত করতে সাহায্য করবে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ফলে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য থাকে অটুট।
৪. অ্যামাইনো অ্যাসিড বাড়ায়ঃ
অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীর সুস্থ রাখার জন্য অতীব জরুরি একটি উপাদান। আর ডিমে এই অ্যাসিডের কমতি নেই। তাই ডিম খেলে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যাবে খুব সহজে৷
৫. মস্তিষ্ক সচল করেঃ
ডিম খেলে মস্তিষ্ক সচল থাকলে মনোযোগ বাড়ে, বুদ্ধি প্রখর হয়, এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তাই বলা চলে কোলিনের উপরই অনেকাংশে নির্ভর করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।
৬. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় : ডিমে কোলিন নামে একটি এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার মস্তিষ্ক বেশি বেশি করে কাজ করা শুরু করলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, তেমনি মনোযোগ এবং বুদ্ধির ধারও বাড়তে শুরু করে।
৭. স্ট্রেসের প্রকোপ কমে : ডিমে উপস্থিত প্রায় ৯ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক বিশেষ এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়।
৮.কোলেস্টেরল কমায়ঃ
কোলেস্টেরল যে সবসময় খারাপের ইঙ্গিত বহন করে তা কিন্তু না। এটি ভালো ও খারাপ দুই ধরণেরই হয়। অনেকেই মনে করেন যে ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায়, তাই ডিম খাওয়া উচিত না।
এছাড়াও,,,,ডিম সালফারের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। সালফার নখ মজবুত করে, নখ ভাঙ্গা ঠেকায়, এবং নখ সাদা ও সুন্দর রাখে। ভিটামিন ডি এবং বি কমপ্লেক্সে ভরপুর ডিম ত্বক ও চুল সুন্দর করে এবং পেশি ব্যথা কমায়। আবার ডিমের ভিটামিন ই ত্বকে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে।
Read More,
How To Use Beetroot For Skin Whitening : ত্বকের যত্নে বিটরুট
Tags – Egg, Skin Care, Health Tips, Food
আজকাল কতো কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না....চুলের সঠিক যত্ন ও…
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
Leave a Comment