রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। আর এই সমস্যা বাড়তে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। আমরা সকলেই জানি যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত না হলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে জটিলতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে হৃদরোগের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু হয়।।
প্রাকৃতিকভাবে কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই সম্পর্কে আজ কথা বলবো –
শরীর শর্করাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে কর্মশক্তি তৈরি করতে পারছে কি-না সেটা জানা যায় রক্তের শর্করার মাত্রা দেখে। খুব কম হলে খাদ্যাভ্যাস আরও শর্করা বাড়াতে হবে আর বেশি হলে শর্করার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।”রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে এসব দূরারোগ্য ব্যধি থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা জানার পরীক্ষা
“দুটি পরীক্ষা করা হয় রক্তে শর্করার মাত্রা জানতে। একটি হলো খালি পেটে বা খাওয়ার আগে রক্তে শর্করা মাত্রা নির্ণয়, একে বলা হয় ‘ফাস্টিং ব্লাড সুগার’।
আট ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর ‘ফাস্টিং ব্লাগ সুগার’ মাপতে হয়, আদর্শ মাত্রা হলো ১০০ এমজি/ডিএল’য়ের নিচে। আর খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ‘নন ফাস্টিং ব্লাগ সুগার নির্ণয় করা হয়, আদর্শ মাত্রা ১৪০ এমজি/ডিএল’য়ে নিচে।
কি করণীয়
নিয়মিত শরীরচর্চা: “শরীর রক্ত থেকে শর্করা নিয়ে কর্মশক্তি উৎপাদন করে। তাই রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার দারুণ একটি উপায় হল নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম। হাঁটা, দৌড়, ভারোত্তলন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা।।
একবারে বেশি খাওয়া যাবে না: “হঠাৎ কোনো বেলায় অতিরিক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে”,।
“সেখান থেকে শর্করার মাত্রাকে ‘ফাস্টিং ব্লাড সুগার’য়ের মাত্রায় নামিয়ে আনতে শরীরের ওপর প্রচুর চাপ পড়ে। তাই একবারে অনেক খাবার খাওয়া যাবে না, বিরতি দিয়ে খেতে হবে।”
কম করে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়, কমে ‘টাইপ টু ডায়াবেটিস’য়ের আশঙ্কা।
কার্বোহাইড্রেট রয়ে সয়ে: “সব ধরনের খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেইট রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে দ্রুত এবং ‘ইনসুলিন’য়ের কার্যকারিতাকেও দমিয়ে দিতে পারে।
চিনির সেবন যথাসম্ভব কম করুন: সুক্রোজ এবং হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলি খালি ক্যালোরি ছাড়া আর কিছুই নয়। শরীর এই সাধারণ শর্করাগুলিকে খুব সহজেই ভেঙে ফেলে, যার ফলে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্দান্ত কার্যকর। বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করার স্পাইক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি জলে দ্রবীভূত হয়ে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে, যা অন্ত্রে কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর করতে সহায়তা করে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার– নানা খাবারেই অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি এই উপাদান শুধুই খাবারে ব্যবহারই করা হয় না। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ব্রকোলি– ব্লাড সুগারের রোগীদের খাবারের তালিকায় নিয়মিত অবশ্যই রাখা দরকার ব্রকোলি। এতে রয়েছে মধুমেহ প্রতিরোধক উপাদান।
বাদাম এবং বাদামের মাখন- বাদামের উপকারিতা অনেক। রোজকার খাবারের তালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাদামের পাশাপাশি বাদামের তৈরি মাখন টাইপ টু ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
Tags – Blood Sugar , Health Tips
আজকের দিনে মিনিটে মিনিটে ফ্যাশন পাল্টায়। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন এবার শীতের ট্রেন্ড কি জেকেট চলছে?…
ধীরে ধীরে শীত পড়ছে…শীতের কনকনেভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে ত্বকের চাই আর্দ্রতা ও পুষ্টি…এর জন্য এই…
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
Leave a Comment