একাদশী তিথি হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে একাদশীতে নারায়ণের পুজো করে,,একাদশীতে ভাত খেতে নেই। আবার অনেকে এদিন নির্জলা উপবাস রাখেন। উপবাস রাখা সম্ভব না হলেও এদিন চালের কিছু খেতে নেই। এটি নিয়ম,, ।। একাদশী একটি চান্দ্র তিথি। চাঁদের শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি, হিন্দু ধর্মমতানুসারে পূণ্যতিথি হিসেবে বিবেচিত। অবশ্য বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে যে কেউ একাদশী পালন করতে পারেন।
একাদশী একটি চান্দ্র তিথি। চাঁদের শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি, হিন্দু ধর্মমতানুসারে পূণ্যতিথি হিসেবে বিবেচিত। এই সময় সাধারণত ফলমূল ও বিভিন্ন সবজি এবং দুধ খাওয়া যায়।
এখন জেনে নিন –
একাদসী কী, একাদশীতে কেন উপবাস করা হয় ?ব্রত পালন করলে কী লাভ হয়, ??
সখানে মর্ত্যলোকবাসীদের শাসনের জন্য একটি পাপপুরুষ নির্মাণ করেছিলেন। সেই পাপপুরুষের অঙ্গগুলি বিভিন্ন পাপ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। পাপপুরুষের মাথা ব্রহ্মহত্যা পাপ, দুটি চোখে মদ্যপান, মুখে স্বর্ণ অপহরণ, কান দুটি গুরুপত্নী গমন, নাকে স্ত্রী হত্যা, ধন অপহরণ, গলদেশ ভ্রুণহত্যা, বক্ষ পরস্ত্রী গমন, দুটি বাহু গোহত্যা,নাবি শরণাগত বধ, কোমর- আত্মশ্লাঘা, দুই উরু গুরুনিন্দা,দুই পা পিতৃহত্যা, শরীরের রোম- সমস্ত উপপাতক। এইভাবে বিভিন্ন পাপা দ্বাা ভয়ংকর পাপপুরুষ নির্মিত হয়। ভগবানের বিধান না মেনে চলাই হল অধর্ম, যার ফলে পাপে লিপ্ত হয় এবং সেই পাপী নরকগামী হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক একাদশীতে কোন পাঁচ প্রকার রবিশস্য গ্রহণ নিষিদ্ধ:
ধান জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন চাল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চালের পিঠা, খই ইত্যাদি।।
গম জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন আটা, ময়দা, সুজি, বেকারির রুটি।।
ডাল জাতীয় সকল প্রকার খাদ্য যেমন মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মুসুরী, মটরশুঁটি, বরবটি ও সিম ইত্যাদি।
একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদ্গতি হবে তা নয়, পিতা/মাতা নিজ কর্মদোষে যদি নরকবাসী হন, তবে সেই পুত্রই (একাদশী ব্রতী) পিতামাতাকে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারে। কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয়, নিরন্তর শ্রীভগবানের নাম স্মরণ, মনন, ও শ্রবণ কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। একাদশী পালনে পরনিন্দা, পরচর্চা, মিথ্যা ভাষণ, ক্রোধ দূরাচারী, সহবাস সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ।
যাঁরা একাদশীতে একাদশীর প্রসাদ রান্না করেন, তাঁদের পাঁচ ফোড়ন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ পাঁচ ফোড়নে সরিষার তেল ও তিল থাকতে পারে, যা বর্জনীয়।
একাদশীতে কি চুল ধুতে পারি?
এই উপলক্ষে উপবাস পালনকারী ভক্তদের জন্য চুল ধোয়ার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। যাইহোক, অনেক মহিলা রোজার দিনে চুল না ধোয়াতে বিশ্বাসী। যাইহোক, অন্যদিকে, একাদশীতে চুল কাটা বা নখ ছাঁটা সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে।
Read More,
Which Fruits Or Vegetables Should Be Eaten Regularly To Get Vitamins – কোন সবজিতে ভিটামিন বেশি
Tags – Life Style, Ekadashi
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment