কপালের ব্রণ গুলো খুব উৎপাত করে,, হটাৎ না বলেই চলে আসে,, ব্রণ দূরত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল ও ব্যবহৃত প্রসাধনীর অংশ বিশেষ থেকে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া মানসিক চাপ, হরমোনের সমস্যা, কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ কমাতে ত্বক পরিষ্কার রাখার কোনো বিকল্প নেই। বেশিরভাগ মানুষই এখন ব্রণর সমস্যায় ভোগেন।
কাজের চাপে হয়তো নিজেকে সময় দিতে পারছেন না।
তবে ঠিক কী কী কারণে কপালে ব্রণ হয় একবার জেনে নেওয়া যাক-
আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্ট…..
১. মুখ পরিষ্কার রাখা: মুখ পরিষ্কার করতে ভালো মতো ত্বকে উপযোগী ফেইস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বকের ময়লা, তেল ও অন্যান্য প্রসাধনী দূর করতে সহায়তা করে।
২. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: মুখ পরিষ্কার করার পরে ত্বকে আলতোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৩.ত্বক পরিচর্যার ধাপ নিয়মিত মেনে চলা: ত্বকের ধরন বুঝে ফেইস ওয়াশ, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ও সিরাম এবং এসেনশল তেল ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্রণ এবং দাগ ছোপ কমাতে সহায়তা করে।
৪. কম দামী কসমেটিক্সের ছড়াছড়ি বাজারে। কিনতু কম দামি কসমেটিক্স যেসব উপাদান থাকে সেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য হয়ে দাঁড়ায় ক্ষতিকারক। সেখান থেকেই ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। শুধু ব্রণও নয় ত্বকের এলার্জি ও হতে পারে যেগুলি সারতে অনেকটা দিন সময় নিয়ে নেয়।।
৫.খুসকি ও তৈলাক্ত স্ক্যাল্প
মাথায় যদি খুসকির পরিমাণ খুব বেশি হয় তখন মাথার স্ক্যাল্পও তৈলাক্ত হয়ে যায়। সেখান থেকেই কপালে ব্রণর সমস্যা দেখা যায়।
৬.বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থাকলে কপালে ব্রণ ওঠে। কোন খাবারে আপনার সমস্যা বেশি হচ্ছে সেটি দেখুন। অনেকের দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা হয়। অনেকের গ্লুটেনে সমস্যা হয়। এক মাস করে এগুলি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেখতে হবে আপনার পেট এবং ত্বক কেমন থাকছে। রোজের খাবারে প্রোবায়োটিক রাখুন। রাতারাতি কোনও বদল আশা করবেন না। জীবনযাপন বদলাতে নিজেকেও কিছুটা সময় দিন। ধৈর্য ধরে নিয়ম মেনে চললে সুফল নিশ্চয়ই পাবেন।
৭. খাদ্যাভ্যাস: মুখে ব্রণ হওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্য সম্পর্ক রয়েছে। কিছু খাবার যেমন- দুধের তৈরি খাবার, কার্বোহাইড্রেইট, কড়া ভাজা খাবার, তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
তা হলে জেনে নেওয়া যাক ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে-
১। লেবু
কপালে ব্রণ হলে লেবু পারে ব্রণর হাত থেকে মুক্তি দিতে। ২ চামচ লেবুর রস নিয়ে কপালে লাগান। ৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। লেবুর সঙ্গে এলোভেরা জেল ও মেশাতে পারেন।।
২। ময়দা ও হলুদ
ব্রণ কমাতে ময়দা ও হলুদ খুবই ভালো। এক চামচ ময়দার সঙ্গে ১ চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন এবং প্যাকটির মধ্যে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট কপালে লাগিয়ে রাখুন। এরপরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
৩। নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪। পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। উপকার পাবেন।
Read More,
How does SPF protect you from the sun – Spf 50 বলতে কি বুঝায়
Tags – Skin Care, Acne Prone
দেখতে দেখতে নভেম্বর এলো চলে…গরম পেরিয়ে এলো শীত… এখন শুরু হবে বিয়ের মরশুম… এখন আবহাওয়ার…
অনেকের আছে যাদের বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে , এই কারণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী।…
Scrub Benefits: ত্বকের মরা কোষ অর্থাৎ ডেড স্কিন দূর করলে ত্বকে একটা আলাদাই সৌন্দর্য ফিরে…
পুরুষরা নিজেদের কখনও যত্ন নেয় না… তাদের কাছে ত্বকের যত্ন নেওয়ার মানে হল মুখ ধোওয়া…
বিয়ের দিনটা সকলের কাছেই স্বপ্নের দিনের মতো… এই দিনটিতে সব কনেই চান সকলের মাঝে আকর্ষণীয়…
চোখের নীচের কালো দাগ মুখের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে দেয়…. অনেক কিছু ব্যবহার করেও ফল মিলছে…
Leave a Comment