PCOD food list : এখন প্রতি ৬০% মহিলার মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা দেখা দেয়….বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এখন মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। পলিসিস্টিক ওভারিতে মূলত দু’টি সমস্যা দেখা দেয়। এক, পলিসিস্টিক ওভারি ডিজ়িজ় এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। এই দু’টো সমস্যাই ওভারিতে দেখা দেয় ,, তবে এই রোগ দু’টি একটু আলাদা। কিন্তু এই সমস্যাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এই প্রসঙ্গে আজ কথা বলবো….
- PCOD diet food chart
- PCOD diet chart for pregnancy
- পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে কি সমস্যা দেখা দেয়
পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার, চোখ মুখের রং পাল্টে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। ফলে ঋতুস্রাবের সময় অপরিণত ডিম্বাণু নির্গত হয়। পাশাপাশি পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ব্রণর সমস্যা বাড়তে থাকে ।।।।
- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ
(PCOD) বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) হল একটি ব্যাধি যার কারণে ডিম্বাশয় থেকে অনেকগুলি অপরিণত বা কিছুটা পরিপক্ক ডিম নির্গত হয় যা সিস্টে পরিণত হয়। এর অর্থ প্রতিটি ডিম্বাশয় প্রতি মাসে পর্যায়ক্রমে একটি ডিম্বাণু নিঃসরণ করে। যখন এই স্বাভাবিক কার্যকারিতা এক বা উভয় ডিম্বাশয়ের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় যা সিস্টে পরিণত অপরিপক্ব ডিম্বাণু নির্গত করে, এর ফলে ডিম্বাশয়ের অভ্যন্তরে বর্ধিত, তরল-ভরা থলি হয়। এই অবস্থাটি PCOD নামে পরিচিত।
PCOD এর জন্য সেরা খাবারগুলি হলো —
পিসিওডি ও পিসিওএস-এর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাত্র দু’টো উপায় রয়েছে। এক, ওজন কমানো এবং দ্বিতীয়টি হল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা। আর এগুলোকে বশে রাখার সহজ উপায় হল সুষম আহার এবং যোগব্যায়াম।
১. কোনওভাবেই মিল স্কিপ করা চলবে না। বিশেষত ব্রেকফাস্ট। ডায়েটে যেন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, গুড ফ্যাট ও মরশুমি ফল অবশ্যই থাকে।
২. সারাদিনের ক্যালোরি কাউন্ট কমাতে হবে। এতে প্রোটিনের চাহিদাও যেন পূরণ হবে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
৩. ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
৪. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে।
৫. আমন্ড, আখরোট ইত্যাদি গুড ফ্যাটযুক্ত বাদাম খেতে হবে।
৬. পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ঋতুস্রাবের সময় হেভি ব্লিডিং হয়, যার ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। এতে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তা-ই আয়রন, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
৭.. ডায়েটে রাখতে হবে নাটস, শাকসবজি, সিরিয়ালস কারণ এগুলোয় আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে..
৮. পালং শাক, মেথি পাতা (মেথি), ব্রকলি, লেটুস এবং অন্যান্য সবুজ এবং পাতাযুক্তPCOD এর জন্য সবজি আশ্চর্যজনক কাজ করে।।
৯. আপনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক এবং এছাড়াও আদা এবং দারুচিনির মতো মশলা খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান৷
১০. পিসিওডি ব্যায়াম**
** কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ার ফলে শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স নষ্ট হয়। এক্সারসাইজ় এবং সুষম ডায়েট এই রোগ থেকে রেহাই দিতে পারে।
** পিসিওএস থেকে রেহাই পেতে কার্ডিয়ো সবচেয়ে উপযোগী। রোজ সকালে ২০মিনিট জোরে হাঁটা, জগিং করা যেতে পারে। সাইক্লিং করতে পারেন।
** কিছু আসন আছে যা অ্যাবডমিনাল সমস্যায় কাজে আসে। তার আগে নিজেদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে রাশ টানতে হবে। খাওয়াদাওয়ার ব্যালান্স করা জরুরি।
** সূর্যনমস্কারসূর্যনমস্কারের ১২টি ফরম্যাট রয়েছে, এটি ভীষণ উপকারী। ১২টি পশ্চার যদি ৪-৫ বার করে রোজ করা যায়, তা হলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
Read More,
Malai Kofta Recipe Easy : শীতের রাতে বানিয়ে ফেলুন পনির দিয়ে মালাই কোফতা