হঠাৎ করে শরীর শুকিয়ে যাওয়া এটি খুব চিন্তার বিষয়,, ঠিক সময়ে সঠিক ভাবে শারীরিক পরিচর্যা না করলে এই সকল সমস্যাগুলো অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে, যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
হরমোন ও বিপাকজনিত সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, অ্যাডিসনস ডিজিজ ও প্যান হাইপো পিটুইটারিজম ইত্যাদি রোগে ওজন কমে যায়। দীর্ঘমেয়াদি কিছু সংক্রমণ যেমন যক্ষ্মা, কালাজ্বর, লিভার অ্যাবসেস এবং এইডস–জাতীয় রোগ হলে অল্প সময়ে ওজন কমে যাবে।
বিভিন্ন কারণে ওজন কমতে পারে, চলুন দেখে নেই –
১/ পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়া
সুষম খাবার গ্রহণ করলে ওজন ঠিক থাকে, কিন্তু না করলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমে যায়। অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা, বুলেমিয়া নার্ভোসার মতো মানসিক রোগে যারা ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে ওজন কমে যেতে পারে। এসবের জন্য সমস্যার কারণে শরীরের ওজন হঠাৎ করে অনেক কমে যায়।
২/ মানসিক চাপ ওজন কমায়
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। কাজের চাপ বা ব্যক্তিগত জীবনের চাপ থেকে বের হতে না পারলে ওজন কমাসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে মাথাঘোরা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি। বিষণ্নতায়ও হঠাৎ ওজন কমে যেতে দেখা যায়।
৩/ হরমোনজনিত রোগ
থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ হলে ওজন কমে একদম শুকিয়ে যায় মানুষ। এসব রোগীর খাবারে রুচি ভালো থাকে এবং তারা বেশি খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকে। থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকার কারণে রোগীর শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার বেড়ে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে কমবে।।
৪/ অতি সক্রিয় থাইরয়েড
অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড, বিকাশ হয় যখন আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। এই হরমোনগুলি বিপাক সহ শরীর এর অনেক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। যদি আপনার থাইরয়েড অত্যধিক সক্রিয় হয়, তবে আপনার ভাল ক্ষুধা থাকলেও আপনি দ্রুত ক্যালোরি কমতে থাকবে।
৫/ ডায়াবেটিস
হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে ইনসুলিনের অভাবে শরীর শক্তি হিসেবে পর্যাপ্ত গ্লুকোজ নিতে পারে না। শরীর তখন শক্তির জন্য জমা থাকা চর্বি ও মাংশপেশি ভাঙতে থাকে। সে জন্য ওজন কমে যায়।
৬/ দীর্ঘস্থায়ী অসুখ
হজমে গোলমাল বা অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণে ওজন কমে যেতে পারে। দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া বা আমাশয়, আইবিএস, সিলিয়াক ডিজিজ, অন্ত্রের প্রদাহ, যকৃতের রোগ, অগ্ন্যাশয়ের রোগ ওজন কমার কারণ।
৭/ যক্ষ্মা বা টিবি আমাদের দেশে এখনো উচ্চ হারেই হয়ে থাকে। যক্ষ্মা কেবল ফুসফুসেই হয় না, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হালকা জ্বর আর ওজন হ্রাসের সঙ্গে ডায়রিয়া, পেটে–বুকে পানি আসা, মাথাব্যথা, অচেতন হয়ে পড়া, কোমরে ব্যথা বা শরীরে লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া—এসব উপসর্গ যক্ষ্মার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক নয়।
৮/ ডিপ্রেশন- ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তির মানসিক চাপ অনুভত হওয়ায় শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমের সক্রিয়তা কমে যায়। ডিপ্রেশনের ফলে শরীরে নানান রোগের সূচনা হয়। যেমন- শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা, ক্ষুদামন্দা, বুকে ব্যাথা ইত্যাদি করনের ফলে শরীর খুব দ্রুত শুকাতে থাকে।
আরোও পড়ুন,
Healthy Skin Tips For Face: সারা বছর ফেসিয়াল না করলেও পুজোর আগে সকলে আমরা ফেসিয়াল…
আজকাল মেকাপে মেতেছে সারা দুনিয়ার মানুষ,, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই একটি ক্রেজ লক্ষ্য করা…
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Leave a Comment