ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্ত জমাট বাঁধা এমন একটি প্রক্রিয়া যা শরীরের ভিতরে এবং বাইরে অতিরিক্ত রক্তপাত প্রতিরোধ করে। ভিটামিন এ, ডি, সি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ইত্যাদির মত, ভিটামিন কে আমাদের শরীরের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত পুষ্টির জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যদি আপনার শরীরে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তাহলে আপনার শরীরে প্রোটিন হ্রাস পায়। এই প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব সাধারণত খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়। যেমন পিত্তথলির সমস্যা এবং যকৃতের রোগের মত ইত্যাদি নানা অবস্থার কারণে ভিটামিন কে হ্রাস পায়।।
ভিটামিন কে হ্রাসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল রক্ত জমাট না বাঁধার কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত। অন্যান্য উপসর্গ গুলি হল যেমন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, ত্বক নীল হয়ে যাওয়া, যেমন মলের সঙ্গে রক্তপাত, বদহজম এবং ডায়রিয়া ইত্যাদি।
ভিটামিন কে এর অভাব সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খুব কম দেখা যায়, তবে শিশুদের মধ্যে এই ভিটামিন কে-এর অভাব খুব বেশি থাকে। শরীরে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ হ্রাস পেলে কী কী রোগ হয় দেখে নিন-
সহজেই ত্বকে নীল দাগ হওয়া
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ
ক্ষত, ত্বকের গর্ত, ইনজেকশন এবং অস্ত্রোপচারের জায়গা থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত
অত্যধিক ঋতুস্রাব
যেখানে আম্বিলিক্যাল কর্ড অপসারণ করা হয়েছিল সেখান থেকে রক্তপাত
ত্বক, নাক থেকে রক্তপাত
শরীরে কীভাবে পূরণ করবেন ভিটামিন কে-এর অভাব?
জন্মের সময়, ভিটামিন কে এর একটি ভ্যাকসিন নবজাতকদের মধ্যে এই সমস্যা তৈরি হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও সবুজ শাকসবজি সহ কিছু খাবার রয়েছে, যেখানে ভিটামিন কে এর পরিমাণ বেশি। সেখান থেকেই আপনি এই ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। এর জন্য পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, অ্যাভোকোডা, শুকনো বেরি, টমেটো, আঙুর, সবুজ কড়াই, মটরশুটি, কাজু, ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
এছাড়াও –
আরও কিছু খাবার এই রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এতে হার্ট সুস্থ থাকে।
ডালিম
ডালিম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি শিরার শক্ত হয়ে যাওয়া সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
ওট
ওটের মধ্যে থাকা সলিউবল আঁশ কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাঁধা দেয়। এই আঁশ হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
মাছ
যেসব মাছের ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড রয়েছে, এগুলো রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। যেমন : স্যালমন, টুনা ইত্যাদি।
রসুন
এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। হৃৎপিণ্ডের শিরার রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা ম্যানুস্যাচুরেটেড চর্বি বাজে কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করে। শিরার রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
টমেটো
টমোটো হৃৎপিণ্ডের শিরাকে শক্ত হতে দেয় না। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন টমেটোকে লাল করে। যারা টমেটো নিয়মিত খান তাদের হৃৎপিণ্ডের শিরার সমস্যা কমে যায়।।
Read More,
Symptoms Of Vitamin D Deficiency
Tags – Blood Clotting , Health Tips
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
How To Remove Tan From Face: এই প্রখর রোদ ও ঘামের কারণে ত্বকের ওপর ট্যান…
Leave a Comment