আমরা সকলেই জানি শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশের নাম চোখ। চোখ নেই তো কিছুই নেই,, সবকিছু অন্ধকার।।বতমান সময়ে চোখ ওঠা, চোখের এলাজি, সহ নানাবিধ চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ছোটো ছোটো বাচ্চারা চোখের সমস্যায় ভুগছে।। চশমা পড়ছে …..
তাই আজকে বলবো এই সময়ে -চোখের সুস্থ তায় কোন খাবার গুলি খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না। চোখের সঠিক কার্যকারিতা এবং কাঠামোগত বা কার্যকরী ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন।
এখানে চোখের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের একটি তালিকা রয়েছে, তাদের সুস্থ ও ঝলমলে রাখতে।
ভিটামিন এ
চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, যাকে রেটিনলও বলা হয়। এটি চোখের আর্দ্র রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আপনার কর্নিয়ার পৃষ্ঠকে রক্ষা করে।
জিঙ্ক যুক্ত খাবার খান চোখ ভালো রাখতে (Zinc)
প্রোটিন কাঠামোর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রধানত বাদাম, তৈলবীজ, মাংস এবং ডিমে পাওয়া যায়।
আপনি কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
এটি ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চোখের আলোর পরিবর্তনগুলিকে সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করে যখন আপনি আলো থেকে অন্ধকারে আসেন এবং এর বিপরীতে। এটি কম আলোর পরিস্থিতিতে ভাল দৃষ্টিশক্তি প্রচার করে।
ভিটামিন বি
বি কমপ্লেক্স ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং বি১২।এই ভিটামিনগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় ।। রুই, কাতলা, ইলিশ, মাগুড়ের মতো যেসব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তা বেশি করে খাবেন। চোখের মণি ভালো থাকে।
ডিম খাওয়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ডিমের কুসুমে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ থাকে।
দুধ এবং দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক। দুটি উপাদানই চোখের নানা অংশের যত্ন নেয়।
কমলালেবুও চোখের জন্য ভালো। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এই ভিটামিন রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি।
ভিটামিন সি
চোখের জন্য ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে আপনার চোখকে রক্ষা করে।
শাকসবজি: সবুজ এবং লাল মরিচ, ব্রকলি, ফুলকপি, পালং শাক, মিষ্টি আলু, শালগম, বাঁধাকপি, শাক এবং টমেটো।
ভিটামিন ই
অনেক চোখের অবস্থা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সাথে যুক্ত বলে বিশ্বাস করা হয়, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি র্যাডিকেলের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা। তাই চোখের জন্য ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে-
অ্যাভোকাডো, শাক, বাদাম, সূর্যমুখী এবং সয়া বিন তেল।
ওমেফা- 3-ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-3- ফ্যাটি অ্যাসিড হল এক ধরনের পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যারা শুষ্ক চোখের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আরও অশ্রু তৈরি করতে সাহায্য করে উপকার করে।
ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে-
মাছ, তিসি বীজ, চিয়া বীজ, সয়া, বাদাম এবং জলপাই তেল।
চোখের স্বাস্থ্যরক্ষায় এই পদ্ধতি মেনে চলুন (Eye Health)
চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বেশি পরিমাণ জল ও পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে চোখকে আর্দ্র বা হাইড্রেট রাখুন।
ঘরের বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।।
ধূমপান চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে, কাজেই ধূমপান এড়িয়ে চলাই ভালো,
চোখের উপর কম্পিউটার ব্যবহারজনিত চাপ কমাতে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তু ২০ সেকেন্ড সময় ধরে দেখুন।।
চোখে কোনো মেকাপ করলে তা বাড়ি এসে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন।।
Read More,
Tags – Vitamin , Health Tips
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
How To Remove Tan From Face: এই প্রখর রোদ ও ঘামের কারণে ত্বকের ওপর ট্যান…
Leave a Comment