শীত চলে আসা মানেই হাজার খুশকির মাথায় বাসা বাসা বাঁধা।মাথার রোমকূপে ময়লা জমে এবং ছত্রাকের প্রভাবে খুশকি হয়। এবং আর্দ্রতা কমে গিয়ে চুল রুক্ষ্ম হয়ে গেলেও করে খুসকির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খুশকি সকলের কাছেই ভীষণ ভীষণ বিরক্ত কর জিনিস। শুধু মাথার তৈলাক্ত তালুই নয়, যাদের শুষ্ক তালু, তাদের ও খুশকি হতে পারে। শীত কালে খুশকির প্রকোপ বেড়ে যায়।
শীতকালে খুশকি দূর করার উপায়
*খুশকি হওয়ার কারণ*
এর অন্যতম কারণ, গরম জল দিয়ে স্নান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দিয়ে মাথা না ধোওয়া, চুল পরিষ্কার রাখা। প্রভৃতি কারণে আমাদের মাথায় খুশকি হয়।
*খুশকি দূর করার সহজ উপায় গুলি হল*
১/ সারারাত জলে মেথি ভিজিয়ে পরের দিন সকালে সেই মেথি বেটে আধঘন্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, এরপর শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু দিয়ে ঠান্ডা জলের সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।
২/ বিট সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে প্রতি দিন চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন।
৩/ রাতে শোওয়ার আগে লেবু ও আমলকির রস মিশিয়ে মাথায় লাগান, সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
৪/ নারকেল তেল হাল্কা গরম করে চুলের গোড়ায় পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন।
৫/ টক দইয়ের সঙ্গে পাতিলেবুর রস ও নিমপাতার রস মিশিয়ে মাথায় মেখে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।
৬/ পেঁয়াজের রস, ডিমের সাদা অংশের তার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
মাথার খুশকি দূর করার উপায়
৭/ খুশকিমুক্ত রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি বেশি হয়। ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা যাবে না। চুল ভালো করে মুছে নিতে হবে।
৮/ বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন, যাতে ধুলোবালি চুলে না লেগে থাকে।
৯/ দেড় টেবিল চামচ মেথি ও দেড় টেবিল চামচ শুকনা আমলকী এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর বেটে ফেলুন। এরপর এর সঙ্গে মেশান দুই-তিন চা-চামচ মধু। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি যেমন দূর হবে, তেমনি চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করবে।
১০/ চুলের জন্যে অ্যালোভেরা অত্যন্ত উপকারী। চুলে অ্যালোভেরা জেল লাগালে শিকড় মজবুত হয়। এই জেলে উপস্থিত অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদান খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকেই ব্যবহার করুন উপরের দাওয়া টিপসগুলো।আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।।
Leave a Comment