Winter Hair Care Routine – শীতে রুক্ষ চুলের সমস্যা? ১ মিনিটেই সমস্যার সমাধান হবে

রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় : শীত তো পড়েই গেলো….ঠান্ডা আবহাওয়া আপনার চুলের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতি এনে দিতে পারে।। শীতের মৌসুমে আমরা যেমন ত্বকের যত্ন নেই, তেমনি এই সময়ে আপনার চুলেরও সঠিক যত্ন নাওয়া প্রয়োজন।

শীতের এই ঋতুতে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। মাথার ত্বক একদম শুষ্ক হয়ে যায়….. আপনি যদি ইতিমধ্যে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন,,,তবে এখন থেকেই সঠিক শীতকালীন চুলের যত্নের রুটিন অনুসরণ করুন ….

(শীতে চুল পড়া রোধ করার প্রাকৃতিক উপায়)

শীতকালে, বাইরে যাওয়ার সময় আপনার চুল ঢেকে রাখা জরুরি। শুষ্ক বাতাস এবং ঠান্ডা বাতাস আপনার চুলের আর্দ্রতা কমাতে পারে। এটি আপনার চুলকে রক্ষা করতে পারে। জানেন কি রুক্ষ স্ক্যাল্পে চুলের গোড়া অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো।। এতে শুধুই যে চুলের ক্ষতি হয় তা নয়, চুলের গোড়া নষ্ট করে দেয়….

শীতে চুলের যত্নে কী করণীয়

তাই একটি সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলাও হয় না। তাই ঠিকভাবে একটি হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলুন এই শীতে। ফল পাবেন। চুলে নিয়মিত তেল দিন আপনার চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য যে কোনো সময় তেল দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবে ঠান্ডা ঋতুতে দিতেই হবে।।

শীতে চুল পড়া রোধ

আসলে, এটি শুষ্ক মাথার ত্বকের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি! শীতকালে, আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকিও একটি সাধারণ সমস্যা যা আপনার চুলকে ঝরঝরে করে তুলতে পারে। নারকেল বা বাদাম তেল দিয়ে নিয়মিত তেল মাখালে প্রাকৃতিক পুষ্টি পাওয়া যায় তেলও আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে।

শীতকালে চুলের যত্ন নিব কিভাবে

নারকেল তেল কুঁচকে যাওয়া এবং ভাঙ্গা কমিয়ে আপনার চুলের উপকার করে। কারণ এটিতে পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য সহ লরিক অ্যাসিড রয়েছে যা আপনার চুল দ্বারা ভালভাবে শোষিত হয়।।

নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন প্রোটিন হেয়ার প্যাক লাগাতেই হবে। ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এতে আপনার চুলও ভালো থাকে। ঘরোয়া হেয়ার প্যাক বাড়িতে বানিয়ে নিন। লেবুর সঙ্গে টক দই মিশিয়ে হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন।সেটি চুলে লাগাতে পারেন সপ্তাহে অন্তত ১ দিন। উপকার পাবেন।

অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং যন্ত্র ও প্রোডাক্ট ব্যাবহার করাহেয়ার ড্রায়ার , হেয়ার কার্ল করার যন্ত্র, হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট এগুলো অনেকেই কম বেশি ব্যাবহার করেন।

কিন্তু অতিরিক্ত এই সবের ব্যাবহার চুলের স্বাভাবিক ময়শ্চার নষ্ট করে ফলে চুলের ডোগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া ,উঠে যাওয়া বেড়ে যায়।।

শীতকালে ঠান্ডা জল খেতে ভালো না লাগলেও পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান। জল কম হলে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যেতে পারে তাই সুন্দর চুলের জন্য সারাদিনে 3 থেকে 4 লিটার জল খান। তার সঙ্গে টাটকা ফল খান।।অ্যালোভেরা পাতা চিরে তার শাঁসটা বার করে নিন।

তারপর চুলে অ্যাপ্লাই করুণ…..!! চুল ও মাথার ত্বকে পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। চুলের আগা থেকে গোড়া এই শাঁস লাগান ও মাথার ত্বকে আঙুলের সাহায্যে মাসাজ করুন।

শ্যাম্পুর পর এটি ব্যবহার করুন।শীতে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চার থেকে পাঁচ চামচ নারকেল তেলের মধ্যে একটা গোটা ডিম মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর পর সেই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। এক থেকে দেড় ঘন্টা রেখেই শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত এক বার করে এই টোটকা মেনে চললেই মিলবে খুশকির সমস্যার সহজ সমাধান।

আরোও পড়ুন,

5 Tips To Moisturize Dry Hair : রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায়