Spread the love

অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি – Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami

আলোর বেণুতে ভুবন মাতিয়ে ঢাকে কাঠির গুড়গুড় শুরু হতে না হতেই হুড়মুড়িয়ে এসে গেল মহাষ্টমী।

পুজোর কয়েকটি দিন মেয়েরা সাজগোজ করবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। বরং, বছরের অন্যান্য দিন সাজগোজ করার সুযোগ না পেলেও পুজোর এই সময়টা মেয়েরা সাজেই। দুর্গাপুজোয় কেমন হবে আপনার সাজ, সেই নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছি।

কচি-কাঁচা থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া, সবাই এই দিনটি প্রত্যেকেই শাড়ি পরেন। তবে সকালবেলা খুব জমকালো শাড়ি না পরাই ভাল। তার থেকে বরং আপনি সুতির হালকা রঙের শাড়ি বেছে নিন (ashtami fashion and makeup) । কনট্রাস্ট করে ব্লাউজ পরতে পারেন। খোঁপা করতে পারেন বা চুল খোলাও রাখতে পারেন। যেরকমই হোক, আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগবে। তবে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

পুজোর বাকি দিনগুলোতে কি পরা যায়, সেটা নিয়ে নানা মত। কিন্তু অষ্টমীর সকাল মানেই লাল সাদা বা বিভিন্ন রংয়ের জামদানি শাড়ী। সকাল সকাল স্নান সেরে পছন্দমতো শাড়ী পরে ‘সর্বমঙ্গলামঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে’ মন্ত্রে মায়ের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি, প্যান্ডেলে গোল করে চেয়ার সাজিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর খুনসুটি, নতুন প্রেমের চোখে বা ডি এস এল আরে নিজের প্রতিবিম্ব। অষ্টমীর সকালে এর কোনটাই কি ভাবা যায় জামদানি শাড়ী ছাড়া? তাঁতে ফুটে ওঠে অনন্যতা, স্নিগ্ধতায় যোগ দেয় আভিজাত্য আর সাবেকিয়ানা। রকমারি ডিজাইন, রঙের বাহারে, তন্তুর উৎকর্ষে তাঁতের শাড়ী আছে ছোট থেকে বড়, সবার পছন্দ মতো। বেঁছে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই শাড়ি নিচের তালিকা থেকে………

১/ জামদানি এবং টাঙ্গাইল শাড়ী:

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম জড়িয়ে আছে ঢাকাই জামদানিতে। আভিজাত্যে অনন্য এই শাড়ী ছিল জমিদারঘরণীদের প্রিয় পরিধেয়। আর টাঙ্গাইলের তাঁতেরও জুড়ি মেলা ভার। দু’রকমের শাড়ীই আপনাকে সাজিয়ে তুলতে পারে দেবীর মতো করে।

জামদানির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর জ্যামিতিক নকশা। এই জ্যামিতিক নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় নানা ধরণের ফুল, লতাপাতা, কলকাসহ নানা ডিজাইন।

জামদানির ডিজাইন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তারমধ্যে পান্না হাজার, তেরছা, পানসি, ময়ূরপঙ্খী, বটপাতা, করলা, জাল, বুটিদার, জলপাড়, দুবলি, ডুরিয়া, বলিহার, কটিহার, কলকাপাড় ইত্যাদি বেশি প্রচলিত।জামদানিতে ছোট ছোট ফুল বা লতাপাতার ডিজাইন যদি তেরছা ভাবে সারিবদ্ধ থাকে, তাহলে তাকে তেরছা জামদানি বলে।

ফুল, লতার বুটি জাল বুননের মতো সমস্ত জমিনে থাকলে তাকে জালার নকশা বলা হয়।

পুরো জমিনে সারিবদ্ধ ফুলকাটা জামদানি ফুলওয়ার নামে পরিচিত। ডুরিয়া জামদানি ডোরাকাটা নকশায় সাজানো থাকে।




IMG_20220824_132559-1661327804389 অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি - Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami

অষ্টমীর সকালে পড়ার জন্যে সেরা শাড়ি

তেমনি পাড়ে কলকির নকশা থাকলে তা হবে কলকাপাড়জামদানি শাড়ি কেনার আগে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে – শাড়ির দাম, সূতার মান এবং কাজের সূক্ষ্মতা।

আসল জামদানি শাড়ি তাঁতিরা হাতে বুনন করেন বলে এগুলো তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তাই এগুলোর দামও অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

২/ মোটিফ প্রিন্ট:

তাঁতের শাড়ীর মূল বৈশিষ্ট হল এর পাড়। সেই সাবেক কাল থেকে ভিন্ন স্বাদের কারুকাজে অনন্য তাঁতের পাড়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসেছে নানা পরিবর্তন ও পরিমার্জন। বাহারি ভিড়ে তাদের কিছু নাম চাঁদমালা (গোলাকার সোনালী বর্নের নক্সা), অর্ধচন্দ্র, আঁশ (মাছের আঁশের নক্সা), নীলাম্বরী, রাজমহল (রুইতনের নক্সা), তাঁরা, বেঁকি ইত্যাদি। পছন্দ মতো বেঁছে নিলেই হোল আপনার শাড়ী।অনেকেই কর্মস্থলে শাড়ি পরেন। তাছাড়া পার্টি কিংবা টুগেদার সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় নারীর প্রথম পছন্দ শাড়ি। এক্ষেত্রে সময়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে। গরমে আরামের শাড়ি হিসেবে বেছে নিতে পারেন পছন্দের এই ধরনের শাড়ি।


IMG_20220824_132548-1661327804983 অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি - Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami

পুজোর শাড়ি

এসব সুতির শাড়িতে থাকছে বাহারি নকশা। বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনাররা বর্তমানে সুতি শাড়িতে এনেছেন কাঁথা স্টিচ, ফুলেল ও জামদানি প্রিন্ট, কুচি প্রিন্ট, অ্যাপ্লিক, গুজরাটি কাজের মতো বাহারি নকশা। এ ছাড়াও তারা ফ্যাশনে এনেছেন কোটা, নেট সুতি ও ফাইন সুতির কিছু শাড়ি। সুতির মতোই দেখাবে এবং আরামদায়ক এমন হাফ সিল্কের শাড়িও রয়েছে।

৩/ ফুলছাপ:

ফুলছাপ তাঁতের শাড়ী বেশীর ভাগই মোটিফ প্যাটার্নের হয়। তবে অনেক সময় অন্য ধরনের ফুলের ছাপের নানা ডিজাইনের শাড়ীও পাওয়া যায়।শুধু কাজ না এই শাড়ির রঙ চোখে পরার মত। কটন সিল্কের কাপড়ে তৈরি এই তাঁতের শাড়ি যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনার শোভা দ্বিগুণ করে তুলবে।



1654512425_sara-ali-khan-10-1-1661327804705 অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি - Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami


অষ্টমীর শাড়ি


ফুলিয়া তাঁত যদি পরতে পছন্দ করেন তাহলে চেক স্টাইলের এই তাঁতের শাড়ি অবশ্যই চেকআউট করুন। জড়ানো ফুল ও পাতাযুক্ত নকশা, কলকা ও বেল, পাড়ের বাইরের অংশে ঝাল্লর নামে ওপর দিকে ওঠা পাতার একটি ঝাড় এই শাড়ির অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে সোনার কাজ, ঘন বুনন, পুঙ্খানুপুঙ্খ নকশা, ধাতব চাক্ষুষ প্রভাব (ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস), আঁচল এবং জালি কাজ।

৪/ কল্কা পাড়:

কল্কা ছাপের ব্যবহার আজ বাংলার সর্বত্র। কলমকারিতেও কল্কার ব্যবহার হয়। এছাড়াও বহু রকমের শাড়িতেই কল্কা পাড়ের ব্যবহার চোখে পড়ে। মূলত কল্কা কথাটি বাংলা ভাষাতেই বেশি পরিচিত। কল্কা পাড়ের তাঁতের শাড়ি দুর্গা পুজোর ফ্যাশনে একেবারে হিট। তাই অষ্টমীর সকাল হোক, কী সন্ধ্যা, নিজেকে সাজাতেই পারেন কল্কা পাড়ের তাঁতের শাড়িতে।



480978849-1661327805653 অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি - Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami


৫/ লাল তাত শাড়ি

তাঁতের শাড়িতে মনের মতো রঙের ডিজাইন। জমকালো কাজ হোক বা হালকা ডিজাইনের কাজ, তাঁতের শাড়িতে নতুন ট্রেন্ড এই ফেব্রিক প্রিন্ট। অষ্টমীর সাজে নিজেকে সাজাতে তাই ফেব্রিক শাড়ি অষ্টমীর সন্ধ্যায় মাস্ট নানা পাড় এবং ডিজাইনের তাঁতের শাড়ির দেখা মিলে। বাঙালি নারীদের পছন্দের তালিকায় তাঁতের শাড়ি (loom sharee) একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি কিনতে চাইলে বা তাঁতের শাড়ির দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে অনলাইন শপ দারাজ হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি পছন্দ। দারাজে ভিজিট করে আপনি জানতে পারবেন বিভিন্ন ধরণের তাঁতের শাড়ির দাম ও বিস্তারিত তথ্য। তাই সেরা দামে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ী কিনতে চাইলে আপনার সেরা গন্তব্য হতে পারে দারাজ অনলাইন শপ। তাছাড়া আপনি যদি সেরা মানের তাঁতের শাড়ির ডিজাইন দেখে কিনতে চান, তবে দারাজ অনলাইন শপ হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি গন্তব্য।



tant-saree1-1661327805264 অষ্টমীর সকালের জন্যে বেস্ট ৫ টি শাড়ি - Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami


তাঁতের শাড়ি কালেকশনে রয়েছে উৎকৃষ্ট বুননে বিভিন্ন সেরা ডিজাইনের তাঁতের শাড়ি- যাদের ছবির উপর হোভার করলে আরো ভালোভাবে দেখতে পাবেন তাঁতের শাড়ির ছবি ও ডিজাইন।

Tags – Best 5 Sarees For The Morning Of Ashtami
Sarees Collection Fashion Saree Puja Collection

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *