বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের ফল দেখা যায় বাজারে। ফল দুই রকম। যেমন- সরস ফল ও নীরস ফল। সরস ফল : আম, জাম, কমলালেবু, লিচু, ডালিম ইত্যাদি। নীরস ফল : বাদাম, সুপারি, নারিকেল ইত্যাদি। এই সকল মৌসুমি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি যা শিশুকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
জেনে নেওয়া যাক কোন ফলের উপকারিতা কতটুকু।
কাঁঠালঃ পুষ্টির দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কাঁঠালে প্রচুর এনার্জি। কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ বেশি। পাকা কাঁঠালের ক্যালরি প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ কিলোক্যালরি এবং খনিজ লবণের পরিমাণ প্রায় ০.৯ গ্রাম। কাঁচা কাঁঠালের ফাইবারের পরিমাণ পাকা কাঁঠালের বেশ কয়েক গুণ বেশি। তাই ডায়বেটিক মানুষের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি নেই। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে মাছ অথবা মাংসের মজাদার রেসিপি তৈরি করা হয় কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়।
আমঃ আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে। পাকা আমে কাঁচা আমের তুলনায় শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায়। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে।
লিচু: মিষ্টি গন্ধ ও স্বাদের রসাল ফল লিচুতে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এই ফলে বিদ্যমান কপার, আয়রন, ফোলেট লোহিত কণিকা তৈরিতে; বি ভিটামিনগুলো বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে; পটাশিয়াম ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঁশি, পেট ব্যথা ও টিউমার বৃদ্ধি রোধে লিচু অনেক উপকারী।
জাম : টাটকা ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও এ ফল থেকে উপাদেয় রস, স্কোয়াসসহ বিভিন্ন খাদ্য তৈরি করা হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে ১১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৪০ গ্রাম শর্করা, ক্যালসিয়াম, ৪.৩০ মিলিগ্রাম লৌহ, ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ১২০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন পাওয়া যায়।
আনারস : আনারস পুষ্টিকর সুস্বাদু ফল। এটি মুখরোচক ফল। খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, আছে এ ছাড়াও কফ, কাশি উপশমসহ জীবাণুনাশক, হজমকারক, নিবারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
পেয়ারা : কিছুদিন আগেও পেয়ারা শুধু নির্দিষ্ট মৌসুমে পাওয়া যেত। বর্তমান বছরব্যাপী বাজারে পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি ফল আপেলের বিকল্প হিসেবে সবাই পেয়ারা গ্রহণ করছে, ।
বাঙ্গি : রসালো ফল হিসেবে এ ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এর পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। ভিটামিন সি, শর্করা ও সামান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ হয় এই ফলটি।
জামরুল : রসালো ও হালকা মিষ্টি জামরুল গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। বর্তমানে সাদা, খয়েরি, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের জামরুল দেখা যায়। এটি ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ ফল। বহুমূত্র রোগীর জন্য জামরুল অনেক উপকারী। ও মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন বিদ্যমান।
পেঁপে : পেঁপের অনেক পুষ্টিগুণ। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের পেঁপেই শরীরের জন্য উপকারী। পেঁপে স্বল্পমেয়াদি, সুস্বাদু, পুষ্টিসমৃদ্ধ ঔষধি গুণাবলিসম্পন্ন। কাঁচা পেঁপেতে ‘পেঁপেইন’ নামক হজমকারী দ্রব্য রয়েছে, যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অজীর্ণ, আলসার, একজিমা, কৃমির উপদ্রব, ত্বকের ক্ষত, যকৃতের জটিলতা, নিরাময়ে পেঁপে বিশেষভাবে উপকারী।
পাকা কলা : কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার জুড়ি নেই। খাদ্য উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম কলাতে ১০৯ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২৫.০০ গ্রাম শর্করা, ০.৭০ গ্রাম আমিষ, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯০ মিলিগ্রাম লৌহ, ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি বিদ্যমান।
তালের শাঁস : তাল গ্রামীণ জনপদের অতি পরিচিত ফল। যদিও তাল ভাদ্র মাসে পাকে। তবে কাঁচা/কচি তালের
আমলকি : অন্যান্য ফলের তুলনায় আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন-সি বিদ্যমান। ওষুধি ফল হিসেবেই আমলকি পরিচিত। ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, কাঁশি, হাঁপানি, বহুমূত্র, অজীর্ণ, জ্বর জ্বর ভাব, যকৃতের রোগ নিরাময়ে আমলকি বিশেষ উপকারী।
ডালিম : ক্যালসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার।
Tags – Fruits Should You Feed Your Baby Fruits For Baby
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment