শিশুদের খাবারের প্রতি অনীহা নিয়ে মায়েদের দুশ্চিন্তার আর অভিযোগের যেন কোন শেষ নেই।
তবে দুশ্চিন্তা বা অভিযোগের আগে, তার শিশুটি কেন খেতে চাইছে না সে বিষয়টি মায়েদের ভেবে দেখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের খাদ্যে অনীহার কারণটি তাদের দিকে ভালোভাবে নজর দিলেই বোঝা সম্ভব। শারিরীক অসুস্থতা, মানসিক কোন সমস্যা, দৈনন্দিন একই রকম খাদ্যতালিকার প্রতি একঘেয়েমি চলে আসা, অতিরিক্ত মাত্রায় জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, শিশুর খাবারটি তার অনুপযুক্ত ইত্যাদি কারণে শিশুদের খাদ্যের প্রতি অনীহা চলে আসে।
অ্যাসিডিটি, অতিরিক্ত রোদে খেলা-ধুলার কারণে মাথা ব্যাথা, বাইরের খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটে ব্যাথা, ইত্যাদী লেগেই থাকে বাচ্চাদের। অনেক সময় শিশুর খাবারটি অতিরিক্ত ঝাল হলে, তেল-মসলাযুক্ত হলে বা একদম স্বাদহীন হলে শিশুরা সেসব খাবার খেতে চায় না। এছাড়াও চিপস, কার্বনেটেড ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদির প্রতি অতিরিক্ত ঝুকে যাওয়ার ফলে বারির তৈরী খাবারের প্রতি তাদের অনাগ্রহ চলে আসতে পারে।
নতুন যে কোন কিছুর প্রতি শিশুদের আগ্রহ বরাবরই বেশি। তাই তাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত নতুন ধরনের খাবার সম্পৃক্ত করতে পারলে তাদের আগ্রহ ফিরে আসবে।
তবে এসব খাবার এমনভাবে তৈরী করতে হবে যেন সেগুলো থেকে শিশুর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়।
শিশুদেরকে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাক-সবজি, ফল বাড়ির তৈরী পুডিং, মিল্কশেক, ও আয়োডিনসহ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং , দুধ, শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের তৈরী কোফতা, কাবাব, স্যান্ডুইচ, সালাদ ইত্যাদি তৈরী করে দিলে শিশুরা আগ্রহ নিয়ে সেগুলো খাবে।
শিশুর মানসিক ও শারিরীক বিকাশের জন্য বাড়ন্ত বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেসময়ে শিশুর সঠিক পুষ্টি সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।
তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ান; এটা কিন্তু মাস্ট! অনেক বাচ্চা জল খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে, সুন্দর কার্টুন-ওয়ালা বোতল কিংবা স্ট্র দিয়ে জল খেতে দেওয়া যেতে পারে।
হেলদি ফ্যাট পটি নরম হতে সাহায্য করে। তাই, তার ডায়েটে হেলদি ফ্যাট যেমন নারকেল তেল, নারকেলের দুধ, বাদাম, পিনাট বাটার ইত্যাদি যোগ করুন।
তরমুজ, আম, শসাতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি। জল সমৃদ্ধ এসব সবজি ও ফল কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় খুবই উপকারী।
হেলদি ফ্যাট ও জল সমৃদ্ধ খাবারের সাথে ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার মিশিয়ে খাওয়ান; এতে বাচ্চার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভালো কাজ করবে। তাই, তাকে হাই ফাইভার সমৃদ্ধ খাবার যেমন- খোসাসহ আলু, কষাযুক্ত ফল, ওট মিল, শাক পাতাকপি, পপকর্ণ ইত্যাদি খেতে দিন।
বাচ্চাকে সারাদিন অ্যাক্টিভ রাখুন। এটি তার ডায়জেস্টিভ সিস্টেম ভালো করতে সহায়তা করবে।
বাচ্চাকে পটি করাতে এমন সিট ব্যবহার করুণ যাতে সে হাটু ভেঙে স্কোয়াট পজিশনে বসতে পারে। এই পজিশনটা বাচ্চার জন্য বেশ আরামদায়ক ও সুবিধাজনক।
ডিপ ফ্রাইড খাবার এবং রিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ করতে পারে। তাই, এ ধরণের খাবার এসময়ে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। মনে রাখা জরুরী যে, এই খাদ্যাভাসগুলো তাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় সাহায্য করবে ।
Tags – Baby Food Your Baby As He Grows Up
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment