আপনি কি জানেন হাড়ের ব্যথায় ভোগেন কারা?? যারা ছোটো থেকেই পর্যাপ্ত পরিমান ক্যালসিয়াম খাননি।। দুর্বল হাড়ের এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সব ধরনের চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না স্থায়ী কোন সমাধান?
একজন মায়ের পক্ষে তার বাচ্চার ডায়েট সম্পর্কে যত্নবান হওয়া খুব জরুরী, কারণ বছরগুলিতে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিই পরবর্তী জীবনে ভাল স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করে। ক্রমবর্ধমান বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উপাদান। এটি হাড় গঠনে সহায়তা করে ।
ক্যালসিয়াম এর অভাবে হাড় ক্ষয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের রোগ, যেমন- অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের অভাবে-
* বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। তার মাঝে বিভিন্ন ধরণের অস্বাভাবিকতা যেমন- ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, অস্থিরতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
* বাচ্চার দাঁত সুগঠিত হতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় লাগার পাশাপাশি দাঁতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন- দাঁতের মাড়ি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
* বাচ্চার রাতের ঘুমে অসুবিধে হতে পারে।
* বাচ্চার খিঁচুনি হতে পারে।
আপনি যদি এসব সমস্যা থেকে আপনার সন্তানকে মুক্ত রাখতে চান, তবে এখন থেকেই তার খাবারে রাখুন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। সন্তানের বিকাশে ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
হাড় ও পেশি সুগঠিত করার একমাত্র ও আদর্শ সময় হলো মানুষের ছোটবেলা। এ সময়টা পেরিয়ে গেলে পরবর্তীতে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, তেমন লাভ হয় না।
আপনার শিশুর জন্য গড়ে নিম্নলিখিত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন:
* ১-৩ বছরের শিশুর জন্য দৈনিক ৭০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম।
* ৪-৮ বছরের শিশুর জন্য দৈনিক ১০০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম।
* ৯-১৮ বছরের শিশু ও কিশোরের জন্য দৈনিক ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম।
নিম্নলিখিত খাদ্যগুলিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম:
গরুর দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যগুলি একটি দুর্দান্ত উৎস। যদি আপনার বাচ্চা দুধ পছন্দ না করে, তবে আপনি এর বদলে দই এবং পনির দিতে পারেন।
আপনি আপনার বাচ্চাকে গোটা কমলালেবু বা কমলালেবুর রস দিতে পারেন, কারণ এটি কেবল ক্যালসিয়ামেই সমৃদ্ধ নয়, পাশাপাশি এতে ভিটামিন সি-ও রয়েছে।
সোয়া ক্যালসিয়ামের একটি খুব সমৃদ্ধ উৎস এবং আপনার বাচ্চাদের প্রতিদিনের ডায়েটে সোয়া দুধ বা সোয়া দই যুক্ত করা যেতে পারে।
আমন্ড বাদাম মস্তিষ্কের শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে বলা হয়, তবে এগুলি এই পুষ্টির খুব ভাল উৎস। একের তিন কাপ আমন্ড বাদাম থেকে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ব্রোকলি হল ক্যালসিয়ামের লোড সহ পাওয়ার-প্যাকড এবং দুর্দান্ত খাবারের বিকল্প হিসাবেও কাজ করে।
সবুজ শাকসবজি
অনেকগুলি সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ওকড়া, মিষ্টি আলু ইত্যাদি আপনার বাচ্চার জন্য ক্যালসিয়ামের উৎস। এছাড়া, এই সবুজ শাকসবজি আপনার বাচ্চাকে ফাইবার এবং অন্যান্য খনিজও সরবরাহ করে।
মাছ এবং মাংস
টুনা, সালমন এবং সার্ডাইন জাতীয় মাছগুলি ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস। মাংসও একটি ভাল উৎস।
সবুজ মটরশুঁটি
সবুজ মটরশুঁটি কেবল ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎসই নয়, এগুলি ভিটামিন কে-তেও সমৃদ্ধ, যা হাড়ের খনিজ ঘনত্ব সংরক্ষণে সহায়ক।
প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে আছে ১৭৫ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম। আপনার শিশুকে সয়াবিন দিবেন সপ্তাহে ২ দিন।
এছাড়াও তার খাবারে সবসময় রাখুন ভিটামিন ডি–৩ সমৃদ্ধ খাবার; যেমন পনির, ডিম ইত্যাদি। ভিটামিন ডি–৩ শরীরের ক্যালসিয়াম গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসুন, হাড়ের সমস্যা ও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে শুধু ওষুধে নির্ভরশীল না হয়ে এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি ।
Tags – Baby Get Calcium From Baby Care Baby Health
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment