আপনার সন্তান সবসময় ফোন নিয়ে খেলছে ? দেখুন সহজে ফোনের নেশা ছড়ানোর উপায় -Is your Child Always Playing With The Phone? See The Easy Way To Spread Phone Addiction
আপনার সন্তান সারাদিন ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে? অলস হয়ে যাচ্ছে? তাহলে এই উপায়ে তাকে ফোন থেকে দূরে রাখুন।
ভালো থাকার জন্য, স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য, রোগ ব্যাধি দূরে রাখার জন্য ব্যায়াম, খেলাধুলা ভীষণ জরুরি। তেমনই অলসতা, চুপচাপ ঘরে বসে থাকা আমাদের শরীর, স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সারাদিন ফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে বসে থাকলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন ওজন বাড়তে পারে, স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে।
আপনার সন্তান কি সারাক্ষণ মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকে? কী করে কমাবেন এই আসক্তি? দেখুন টিপস
বর্তমান যুগের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ছাড়া জীবন আজকাল ভাবতেই পারি না আমরা। কোনও কারণে একদিন সঙ্গে ফোন না থাকলেই নিজেকে পাগল পাগল লাগে, তাই না? মোবাইলের এই নেশা ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেও।
আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার হচ্ছে স্মার্টফোন। তবে বাবা-মায়ের ব্যবহার করা ফোন শিশুর হাতে দেয়ার অভ্যাস করা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এভাবে শিশুদের মোবাইল আসক্তি তৈরি হচ্ছে।
এই ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় এবং পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোবাইলের পর্দার দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মাথা ধরা, মাইগ্রেন ও পেশিতে ব্যথা এবং চোখের জ্যোতি কমে যায়। আর আট বছরের কম বয়সের শিশুদের অবশ্যই মোবাইল থেকে দূরে রাখতে হবে।
বেশিরভাগ সময় মোবাইল ঘেঁটে কাটালে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না। এ ছাড়া সংবেদনশীলতা বাড়ে ও চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই শিশুদের মোবাইলে নেশা থাকলে তা তাড়াতে হবে।
আসুন জেনে নিই শিশুর মোবাইলের নেশা তাড়াতে কী করবেন-
১. শিশুকে বিকালবেলায় খেলার জন্য মাঠে নিয়ে যান। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে উৎসাহ দিন।
২. অবসর সময়ে হাতের কাজ, ছবি আঁকা, কবিতা পড়া ইত্যাদির ওপর জোর দিন।
৩. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আর ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ান।
৪. সন্তান যাতে ফোন লক করে সুরক্ষিত রাখে সেই বিষয়ে তাকে নির্দেশ দিন। কখনও কোনও কারণেই বাবা মা ছাড়া আর কারোর সঙ্গে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না বলেও জানিয়ে রাখুন।
মোবাইল ফোনের নেশা অন্ধকার করে দিতে পারে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ
৫. সন্তানকে জানিয়ে রাখুন যে সে যা যা কথা বাবা মাকে বলতে অস্বস্তি বোধ করে, সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা যাবে না।
৬. শিশুর খাবারের প্রতি যত্ন নিতে হবে। খাবারে পুষ্টি ঠিক রাখতে সবুজ শাকসবজি খেতে দিন।
৭. জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ করুন। কোল্ড ড্রিঙ্কের বদলে দিন লাচ্ছি ও ফলের রস।
খেলার ঘর বানিয়ে দিন: আপনার সন্তানকে খেলার জন্য একটা আলাদা জায়গা বানিয়ে দিন যেখানে সে তার কল্পনা শক্তিকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে পারবে, নিজের মতো ভাবতে পারবে।
কোনও ভালো কাজ করলে পুরস্কার দিন: ভালো কোনও কাজ করলে, খেলাধুলা করলে, হাতের কোনও কাজ করলে তাকে উৎসাহ দিন। পুরস্কার দিতে পারেন। তাতে সে উৎসাহ পাবে। এছাড়া বাড়িতে পোষ্য থাকলে, পোষ্যর দায়িত্ব ওকে দিন।
টিভি বা ফোন ঘাঁটার সময় বেঁধে দিন: দিনে যে কোনও দু ঘণ্টাই কেবল তাকে টিভি দেখতে দিন, অথবা ফোনে ভিডিয়ো দেখতে দিন। তার বেশি নয়। সন্তানের ঘরে টিভি লাগাবেন না।
নিজের আপনার সন্তানের কাছে আদর্শ হয়ে উঠুন: শিশুরা কিন্তু বড়দের নকল করে। তারা চোখের সামনে যা দেখে সেটাই করতে চায়। তাই আপনি যদি তার কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন, আপনি যদি নিজে ফোন ঘাঁটা কমাতে পারেন, ব্যায়াম ইত্যাদি করেন তাহলে সেটা দেখে কিন্তু আপনার সন্তানও শিখবে।
স্মার্টফোন নিয়ে বিছানায় নয়
ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। ঘুমানোর সময় ফোন বন্ধ করলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই ভেবে ফোন বন্ধ করে দিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যবহারকারীরা ঘুম থেকে উঠে অ্যালার্ম বন্ধ করে ফোনের নোটিফিকেশন চেক করা শুরু করে দেন। এতে অনেক সময় কেটে যায়। এমন সমস্যা এড়াতে স্মার্টফোনে অ্যালার্মের বদলে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন। স্মার্টফোনে ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপগুলো দরকারি হলেও আসক্তি কমাতে চাইলে এসব অ্যাপ সরিয়ে ফেলতে হবে।
আড্ডায় স্মার্টফোন পরিহার
অনেকেই পারিবারিক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাঝেও স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন হালকা হয়ে যায়। তাই এসব পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
Topics
tricks for babyscreen timeMobile PhoneMobile Phone Addiction