এক্সফোলিয়েট করার অর্থ কী?
এক্সফোলিয়েট করা হচ্ছে রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক দানাদার পদার্থ ব্যবহার করে ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে ত্বকের মৃত কোষগুলি অপসারণের প্রক্রিয়া। ত্বক স্বাভাবিকভাবেই প্রতি ৩০ দিন বা তার কাছাকাছি সময়ে নতুন কোষের জন্য জায়গা তৈরি করতে মৃত ত্বকের কোষগুলি ছড়িয়ে দেয়।কখনও কখনও, মৃত কোষগুলি পুরোপুরি শেড করে না। এর ফলে শুকনো, ফ্লেচিযুক্ত প্যাচ এবং আটকে থাকা ছিদ্র হতে পারে।
এক্সফোলিয়েশন এটি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে। নিয়মিতভাবে এক্সফোলিয়েট করলে বিভিন্নভাবে ত্বকের উন্নতি সাধিত হয়।
এক্সফোলিয়েশন কেন জরুরি?
ত্বককে ভেতর থেকে পরিস্কার করা থেকে শুরু করে নানাবিধ সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে এক্সফোলিয়েশন। এতে ত্বক উজ্জ্বলও দেখায়।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন আটকে থাকা ছিদ্রগুলি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে কম ব্রেকআউট হয়।
যদি ভুলভাবে সম্পাদন করা হয় তবে শারীরিক এক্সফোলিয়েশন কখনও কখনও আপনার ত্বকে জ্বালাতন করতে পারে এবং ট্রান্সসাইডারডার্মাল জলের ক্ষতি হতে পারে।
জানেন কি, প্রতি ২৭ দিন অন্তর আমাদের ত্বক নতুন জীবন পায়? অর্থাৎ প্রতি ২৭ দিন পরপর ত্বকের উপরের মৃত কোষ উঠে গিয়ে সেখানে জন্ম নেয় নতুন কোষ। কিন্তু এই মৃত কোষ ত্বকের সঙ্গেই আলগাভাবে লেগে থাকে, ফলে ত্বক বিবর্ণ ও নিষ্প্রাণ দেখায়। নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ তুলে না ফেললে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ফেস স্ক্রাব কেনার সময় এমন জিনিস কিনুন যা আপনার ত্বকের ধরনের সঙ্গে মানানসই আর সমস্যারও সমাধান করতে পারে। এমনই একটি প্রডাক্ট হল সেন্ট ইভস ফেস স্ক্রাব। স্ক্রাবের কফি বিন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে, আর নারকেলের নির্যাস ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, ফলে ত্বক থাকে নরম আর টানটান।
নতুন প্রডাক্ট কেনার পর লেবেলটা কি ভালো করে পড়ে নেন আপনি? হয়তো পড়েন মাঝেমাঝে। কিন্তু কতবার প্যাকের গায়ে লেখা নির্দেশগুলো মেনে চলেন বলুন তো? সম্ভবত একবারও নয়! তবে লেবেলে লেখা নির্দেশগুলো পড়লে কিন্তু আখেরে আপনার ত্বকের উপকারই হবে।
এক্সফোলিয়েশনই একমাত্র পথ। আর শুধু মুখ নয়, সারা শরীরেরই এক্সফোলিয়েশন প্রয়োজন কারণ মৃত কোষ তো আপনার সারা শরীরেই জমা হয়। এবার কোনও একটি পদ্ধতিতে সারা শরীরের এক্সফোলিয়েশন সম্ভব নয়।
স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েশন
কোমল শ্যাম্পু দিয়ে মাথায় হালকা হাতে মাসাজ করুন। এতে স্ক্যাল্পের মৃত কোষ উঠে যাবে, মাথায় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে চুলের গোড়া মজবুত হবে, খুসকিও কমবে। তা ছাড়া মাথার জন্য বানিয়ে নিতে পারেন ঘরোয়া স্ক্যাল্প স্ক্রাব।
আপনার দরকার দুই টেবিলচামচ ব্রাউন সুগার, দু’ টেবিলচামচ মিহি করে গুঁড়ো করা ওটমিল আর দু’ টেবিলচামচ কন্ডিশনার। এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
সকালে এক্সফোলিয়েট করলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। যদিও দিনের যে কোনও সময়ই মুখ স্ক্রাব করলে তার উপকারিতা একই থাকে, তবে সকালে করে নিলে সামান্য বাড়তি উপকার পেতে পারেন।
মুখের এক্সফোলিয়েশন
মুখে মৃত কোষ জমতে থাকলে তা রোমছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে আর তার অবশ্যম্ভাবী ফল ব্রণর হামলা। সপ্তাহে দু’বার ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারলে সহজেই দূরে রাখা যায় এই সমস্যা। মুখ ধোওয়ার পর এক টেবিলচামচ নারকেল তেল আর দু’ টেবিলচামচ চিনি মিশিয়ে তা দিয়ে এক মিনিট মুখে মাসাজ করুন।
ঠোঁটের এক্সফোলিয়েশন
খুব গরমে বা খুব ঠান্ডায় ঠোঁটে মৃত কোষ জমতে পারে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করে ঠোঁট নরম রাখতে পারলে লিপস্টিকের রংও খোলে ভালো। ঠোঁটের স্ক্রাব তৈরি করতে আপনার দরকার দু’ টেবিলচামচ চিনি, এক চাচামচ মধু, এক চাচামচ অলিভ অয়েল আর এক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল। সবক’টা উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ছোট বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করার সময় একটা নরম কাপড় গরমজলে ভিজিয়ে মিনিট পাঁচেক ঠোঁটে চেপে রাখুন, এতে ঠোঁট নরম হয়ে আসবে। তারপর মিশ্রণটি ঠোঁটের উপর পুরু করে লাগিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক রাখুন। তারপর হালকা হাতে স্ক্রাব করে মৃত কোষ উঠিয়ে ফেলুন। সবশেষে হালকা গরমজলে ঠোঁট ধুয়ে নিন
শরীরের এক্সফোলিয়েশন
স্নানের সময় সারা শরীরের এক্সফোলিয়েশন করার জন্য সাবান যেমন পাওয়া যায়, তেমনি এক্সফোলিয়েটিং বডিওয়াশও পাওয়া যায় বিস্তর। এই সাবান বা বডিওয়াশ শরীরের ত্বক পরিষ্কার যেমন করে, তেমনি এক্সফোলিয়েটও করে। কফি, চিনি আর তেল একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো কেটে ভিতরের তরলটাও দিয়ে দিন। এরপর আবার ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে সারা গা ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে হালকা গরমজলে ধুয়ে ফেলুন।
গোড়ালির এক্সফোলিয়েশন
গোড়ালির ত্বক একদিকে যেমন পুরু আর শক্ত, তেমনি তা শুষ্কও হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। গোড়ালির উপযুক্ত স্ক্রাব তৈরি করতে আপনার দরকার দু’ কাপ ব্রাউন সুগার, আধকাপ নারকেল তেল আর দু’ তিন ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল। সবক’টা উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। মিনিটকয়েক বসতে দিন, তারপর ভালো করে মাসাজ করিন। সব শেষে গরমজলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতি হবে না বা প্রদাহ তৈরি হবে না, অথচ সুন্দরভাবে সমস্ত মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আপনার স্ক্রাব যতই ময়শ্চারাইজিং হোক, বা আপনার ত্বক যতই তেলতেলে হোক, এক্সফোলিয়েট করার পর ত্বক একটু শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এক্সফোলিয়েশন করার পরেই দ্রুত ময়শ্চারাইজার মেখে নেওয়া দরকার। মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালেতে থুপে থুপে মুছে নিন। তারপর ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে হাইড্রেটিং টোনার লাগিয়ে নিন। তারপর মেখে নিন ল্যাকমে অ্যাবসলিউট আর্গান অয়েল র্যাডিয়েন্স অয়েল-ইন-ক্রিম এসপিএফ 30 পিএ++/ Lakme Absolute Argan Oil Radiance Oil-in-Creme SPF 30 PA ++. -এর মতো পুষ্টিকর, চটচটেভাব মুক্ত ময়শ্চারাইজার।
Tags – Exfoliation Sikn Care Skin Tips Beauty Tips
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment