Spread the love

কাজের চাপে জল খাওয়া আর হয়ে ওঠে না? কোন কৌশলে গড়ে তুলবেন এই অভ্যাস – Drinking Water Under The Pressure Of Work Does Not Become? How To Develop This Habit

জল খাওয়ার কথা ভুলে যান অনেকেই। এতে জলের অভাব ঘটে শরীরে। ব্যস্ততা থাকলেও জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন কী ভাবে?

শরীর সুস্থ রাখতে জল অপরিহার্য। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। সুস্থ থাকতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন কারণে অনেকেই সারা দিনে পর্যাপ্ত জল খেতে ভুলে যান। ফলে শরীরে ঘাটতি দেখা দেয় জলের। গরমে সময় তা-ও জল খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও শীত ও বর্ষায় আবহাওয়া জল খাওয়ার পরিমাণ আরও অনেক কমে ,,নানা রকম শারীরিক সমস্যা ও সুস্থ থাকতে জল খাওয়া তাই অত্যন্ত জরুরি


IMG_20220728_193853-1659017371187 কাজের চাপে জল খাওয়া আর হয়ে ওঠে না? কোন কৌশলে গড়ে তুলবেন এই অভ্যাস - Drinking Water Under The Pressure Of Work Does Not Become? How To Develop This Habit

কাজের ফাঁকেই জল খান

তাই গরমকালে সুস্থ থাকতে হলে ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার অত্যন্ত আবশ্যক। প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় ঠাণ্ডা বা তরল জাতীয় খাবার রাখলে শরীরে তৃপ্তি পাওয়া যাবে।

সারা দিনের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন কী ভাবে?


১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে প্রথমে সারা দিনে ৩-৪ লিটার জল খাওয়াটা সম্ভব নয়। তবে অল্প অল্প করে শুরু করুন। সারা দিনে কতটা জল খাবেন তা সকালেই ঠিক করে নিন।



জল খান পর্যাপ্ত পরিমানে


২) অফিসে হোক বা বাড়িতে নিজের কাছে সব সময় একটি জলের বোতল রাখুন। যাতে কাজ ছেড়ে উঠতে হবে বলে জল খাওয়াতে না ঘাটতি পড়ে। এতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে জল খাওয়া হয়ে যাবে। আবার বাড়তি সময়ও নষ্ট হবে না।


৩) সারা দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের আবহে থাকলে আরও বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর আর্দ্র রাখতে জল না হলেও ডাবের জল, ফলের রসের মতো কিছু পানীয়তে চুমুক দিন।


৪) জলের পরিমাণ বেশি এমন ফল বেশি করে খান। শশা, লেবু, স্ট্রবেরি, তরমুজের মতো জল জাতীয় ফল রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন।


৫) খাওয়ার আগে জল খেয়ে নিতে ভুলবেন না। খাবার খাওয়ার সময়ে জল খাবেন না। এতে হজমের গন্ডগোল হতে পারে।


এছাড়াও শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে খেতে পারেন –


শরবত বা জুস : লেবুর শরবত বা যে কোন ফলের জুস শরীরের জন্য খুবই উপকার। গরমে যে পরিমাণ ঘাম বের হয়ে যায় তা পূরণের জন্য লেবুর শরবত কার্যকরী। লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম, যা দেহকে ঠাণ্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ রাখে।


সালাদ : গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয় খাবার। শসা, টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ করা যায়।

ঠাণ্ডা জাতীয় ফল : তরমুজ, ফুটি, বাঙি, কলা ইত্যাদি এই ধরণের ফল গরমের দিনে বেশি বেশি করে খাওয়া অত্যন্ত আবশ্যক।

কাঁচা সবজি : গরমের দিনে মাছ-মাংস বা তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এ সময় কাঁচা সবজি যেমন- ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল, করলা, পেঁপে, কচু, বরবটি, চালকুমড়া, শসা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। এই সবজিগুলো শরীরকে বেশ ঠাণ্ডা রাখে।


Tags – Health Water Life Style

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *