ঘুমানোর আগে আপনার বাচ্চা কে কখনই এসব খাবার দেবেন না – Never Give These Foods To Your Baby Before Bedtime
বাচ্চারা এমনিতেই খেতে চায় না। নানা উপায়ে মায়েরা শিশুদের খাওয়াতে চেষ্টা করেন। আর তাদের পছন্দের খাবার খাওয়ার পর সরা রাত বাচ্চা ঘুমোতে চায় না, এ পাশ ও পাশ করতে থাকে। রাতে খাওয়ার পর এমনকি ঘুমানোর আগেও শিশুকে কিছু খেতে হয়, জেনে নিন রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের কী খাওয়ানো উচিত নয়।
শিশু যাতে সারারাত ঘুমায় সে জন্য কী করতে হবে
সদ্যজাত শিশুর ঘুমের রুটিন আরো জটিল। ভালো ঘুম শিশুর মস্তিষ্ককে চাঙা করে। এতে সে দিনের বেলা তার চারপাশ ও পরিবেশ অবলোকন করতে পারে, শিখতে পারে। তাই অভিভাবক হিসাবে মানসিক ও শারীরিক বিকাশে শিশুর ঘুমের জন্য আপনি কিছু অভ্যাস ও রুটিন তৈরি করতে পারেন।
রাতে না ঘুমানো বা বেশি রাতে ঘুমানো এটা কেবলমাত্র শিশুর দোষ নয়, বাড়ির শিডিউলও কিন্তু এর মধ্যে পড়ে।
আবার একটু বাড়ন্ত বাচ্চাদের সারাদিনটাই নষ্ট হয়ে যায় স্কুলে পড়ালেখায় মন দিতে পারে না। এই ধরনের সমস্যা হলে শিশুর খাবারের দিকে একটু মনোযোগ দেওয়া উচিত। রাতে শিশুদের এমন কিছু খাবার খাওয়াবেন না, যাতে তাদের ভালো ঘুমে বাধা হতে পারে। এখানে আমরা এমন কিছু খাবারের কথা বলছি যা রাতে ঘুমানোর আগে বাচ্চাদেরকে দেওয়া উচিত নয়।
ক্যাফিন
ক্যাফেইন ঘুমের ঘাতক হিসেবে কাজ করে। সন্ধ্যায় এক কাপ কফি পান করলেও শিশুর রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে। কফি, চকোলেট, গ্রানোলা বার, এনার্জি ড্রিংকস, সোডা এবং চায়ে ক্যাফেইন থাকে। রাতে ঘুমানোর প্রায় ৮ ঘণ্টা আগে এসব না খেলে ভালো ঘুম আসে।
চিজ
শিশুরা স্যান্ডউইচ বা পাস্তা খাওয়ার সময় চিজ দিয়ে খেতে ভালোবাসে। চিজ রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে টাইরামিন থাকে।
শিশুর ঘুমের সমস্যা যেভাবে ঠিক করবেন
সবজি
কিছু সবজি রাতের খাবারের চেয়ে দুপুরের খাবারে খাওয়া ভালো। বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালং শাক, বাঁধাকপি, মুলার মতো ক্রুসিফেরাস সবজি ফাইবার সমৃদ্ধ তবে রাতে খাওয়া উচিত নয়।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টান্ন, সোডা এবং ক্যান্ডি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। কয়েক ঘন্টা পরে যখন তারা শরীরে ভেঙে যায়, তখন আমাদের শরীরকে তাদের উপর আরও কাজ করতে হয়।
বাড়ন্ত শিশুদের জন্য পুরো ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো তবে রাতে নয়। গভীর রাতে ফ্যাটযুক্ত জিনিস খেলে স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। খাওয়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ার ফলে অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে, যা ঘুমকেও খারাপ করে।
যে সব বাচ্চা স্কুলে যায়, তাদের রোজ ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আপনার সন্তানের কত ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন এবং রাতে তাকে কটা ঘুম পাড়াবেন, তা হিসেব করে দেখে নিন সকালে তাকে কখন ঘুম থেকে তুলতে হবে। ঘুম থেকে তোলার সময়টা নির্দিষ্ট রাখুন।
ঘুমনোর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট জাতীয় সব রকম স্ক্রিন বন্ধ করে দিন। এই ধরনের বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকে নীল আলো বেরোয় তা ঘুমের দফা রফা করে দেয়।
ঘুমের সময় শিশু যেন কোনওরকম মানসিক চাপের মধ্যে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ঘুমের সময় আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। বাবা মা ঝগড়া করলে তার প্রভাব শিশুর মনের ওপর পড়ে। বা বাচ্চাকে কখনোই ঘুমের আগে ভূত বা অন্য কোনও ভয়ের গল্প শোনাবেন না। পরের দিন স্কুলে কোনও কঠিন ক্লাস বা পরীক্ষা আছে এমন কিছু বলেও তাকে ভয় পাইয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
আগে ঘর অন্ধকার করে হালকা আলো জ্বালিয়ে দিন। বিছানা যেন পরিষ্কার থাকে, নরম বেডশিট পেতে রাখুন। ঘর শান্ত রাখুন। ঘুমের উপযোগী পরিবেশ থাকলে ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়।
Tags – Give These Foods To Your Baby Before Bedtime Life Style Baby Food