ঘুমের সাথে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য এর কি সম্পর্ক জানেন কি – Do You Know The Relationship Between Sleep And The Beauty Of Your Skin
ঘুমের সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পর্কটা অনেক গভীরে! ভাবছেন এটা কি সম্পর্ক? তবে শুনুন – দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর একটু ‘’ঘুম না দিয়ে নিলে চলে না অনেকেরই৷ এমনিতে ঘুম ভালো হলে সকালে উঠে ঝরঝরে, প্রাণবন্ত লাগারই কথা৷ যদি সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্লান্ত লাগে আর মনে হয় ফের শুয়ে পড়ি? এর অর্থ আপনার ঘুমের আপনার অভাব রয়েছে। দিনের পর দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার উপরে এবং তার প্রথম ছাপটা বোঝা যায় আমাদের ত্বকের উপর। উপর থেকে যত যত্নই করুন, যদি আপনার ঘুম না হয় তা হলে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যেতে বাধ্য। তাই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, তারুণ্যে ভরা ত্বক পেতে নজর দিন ঘুমের ওপর।
ঘুমের সঙ্গে সৌন্দর্যের গোপন রহস্য লুকিয়ে
ত্বকের যে কোনও সমস্যা বেড়ে যায় ঘুমের অভাবে
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাতে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে এবং ব্রণ, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে প্রদাহ বাড়লে কোলাজেন ভেঙে যায়, ত্বক নিষ্প্রাণ দেখায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ফলে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে যেমন, নিয়ন্ত্রণহীন সোরিয়াসিস থেকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।
সুন্দর হওয়ার রহস্য লুকিয়ে আছে ঘুমেই
কম ঘুম হলে স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে জলের ভারসাম্য এলোমেলো হয়ে যায়, ফলে চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দেয়, গভীর ঘুমের সময় ত্বক নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলে, কাজেই ঘুম কম হলে সেই ব্যাপারটাও ব্যহত হয়।
ঠিকঠাক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ধন্যবাদ জানাবে। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চোখের সুস্থতায়। রাতে গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরের নানা রোগব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আপনি যদি একটা ঠিকঠাক ঘুম দিয়ে ওঠেন, তাহলে আপনাকে ফ্রেশ দেখাবে। এ জন্য ফটোশুটের আগে মেকআপ নেওয়ার পর মডেলকে ‘ন্যাপ’ নিতে বলা হয়। এতে মেকআপ যেমন ভালো বসে যায়, তেমনি ত্বকও দেখতে ভালো লাগে। সৌন্দর্যটা পুরোপুরি ফুটে ওঠে।
রাতে ঘুমের ভেতর নতুন কোষ তৈরি হয়। ক্ষত শুকিয়ে যায়। শরীর, মন আর ত্বকের স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য ঘুম খুবই জরুরি।
চিত ঘুমালে মুখের ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো। এটাই ঘুমনোর সবচেয়ে ভালো ভঙ্গি বলে মনে করা হয়। আসলে এইভাবে শোওয়ার ফলে ত্বকের সব গ্রন্থিগুলো ভালমতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে শুলে ত্বকে কোনও দাগ হয় না।সারা রাত ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে করতে পারে। ত্বক উজ্জ্বল এবং নমনীয় হয়।
খিদে পেলেই পেট ভর্তি করছেন পিৎজ্জা, বার্গার, দিয়ে তাহলে চরম ভুল করছেন। এই খাবারগুলোতে ক্যালোরির পাশাপাশি রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরলের মতো ক্ষতিকর উপাদান। দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করুন।
গাঢ় ঘুমের জন্য কী করবেন?
1. রাতের খাওয়া বেশি দেরি করে খাবেন না। শুতে যাওয়ার অন্তত চার ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন যাতে ঠিকমতো হজম হতে পারে।
2. শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন। সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণে জল খান। তবে রাতের দিকে বেশি জল খাবেন না।
3. শোওয়ার ঘর যেন আরামদায়ক হয়। ঘর অন্ধকার করে দিন, বাইরের আওয়াজ যেন ঢুকতে না পারে।
4. ঘুমানোর আগে চা কফি খাবেন না।
5. ঘুমের সময় স্মার্টফোন, ট্যাবলেট হাতের কাছে রাখবেন না।
6. চড়া গন্ধের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। তাতে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
Tags – Beauty Tips Skin Care