চাঁদে বিধ্বস্ত রাশিয়ার মহাকাশযান|| Moon Mission |Russia
চাঁদে বিধ্বস্ত রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫ : অর্ধশত বছর চাঁদে পাঠানো রাশিয়ার নতুন অভিযান ব্যর্থ হলো৷ চাঁদের বুকে লুনা-২৫ মহাকাশযানটি ছিটকে পড়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশসংস্থা-রসকোমস৷
চাঁদে অবতরণের আগে বিধ্বস্ত রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫
রাশিয়ার পাঠানো চন্দ্রযান লুনা-২৫ হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদেই বিধ্বস্ত হয়েছে। সাতচল্লিশ বছর পরে পরে রাশিয়া লুনা-২৫ নামের মহাকাশযানটি চাঁদে পাঠিয়ে পাঠিয়েছিল। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কক্ষপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
প্রাথমিক বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, লুনা-২৫ মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে অনির্ধারিত একটি কক্ষপথে ঢুকে পড়েছিল এবং চাঁদের পৃষ্ঠের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।’ কোনো কাজ আর হচ্ছিল না…. তাই ব্লাস্ট হয়ে গিয়েছিলো…!!
এটি ছিল প্রথম মহাকাশ যান যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল। এই চন্দ্রযানটি চাঁদের এমন একটি অংশে অভিযান চালানোর কথা ছিল যেখানে জমাট বাঁধা জল ও মূল্যবান বস্তু থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।
৪৭ বছর পর চাঁদে পাঠানো রাশিয়ার চন্দ্রযান বিধ্বস্ত
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস শনিবার সকালে জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ১১:৫৭ মিনিটে লুনা-২৫ চন্দ্রযানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।। রবিবার রসকোমস জানিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে কক্ষপথে ঘুরার পর লুনা-২৫ মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়েছে৷ আরোও জানা যায় চাঁদে অবতরণ পর্যায়ের আগের ধাপে শনিবারই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়ে মহাকাশযানটি৷ রোববার চন্দ্রপৃষ্ঠে ধাক্কা লেগে সেটি বিধ্বস্ত হয়৷
চাঁদে ১৫ সেন্টিমিটার নিচ থেকে পাথর সংগ্রহ করার জন্য এতে নানা ধরনের যন্ত্রপাতিও ছিল৷ সকলে চায় যেদিকে কেউ নামেনি, সেদিকেই লুনার-২৫ নামবে ও পরীক্ষা চালাবে৷ যেখানে লুনা-২৫ নামবে, সেখানে বরফের চিহ্ন আছে৷”’
কেন এই চন্দ্রযানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে বলে রসকসমস জানিয়েছে।
চাঁদে বিধ্বস্ত লুনা–২৫, ব্যর্থ রাশিয়ার ‘প্রথম চন্দ্র মিশন’
লুনা-২৫ চন্দ্রযান বিধ্বস্ত হবার ঘটনা রসকসমস-এর জন্য একটি বড় ক্ষতি। গত বেশ কয়েক বছর যাবত এই প্রতিষ্ঠানটির অবনমন হচ্ছে কারণ রাশিয়ার বাজেটের একটি বড় অংশ সামরিক খাতে ব্যয় করা হচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াও এই অভিযানকে রাশিয়ার ভূরাজনিতীর জন্যেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ রাশিয়া ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে ঘাঁটি স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যার জন্যেও এই অভিযানটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷