Spread the love

চোখের রিঙ্কেলস দুর করার উপায় – Ways To Remove Eye Wrinkles


অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস এবং দূষণের কারণে আজকাল খুব কম বয়সেই ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। অনেকেরই অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়। বয়স বাড়তে না বাড়তেই চোখের পাশে, ঠোঁটের নীচে, কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। চোখের সর্বপ্রথম রিঙ্কেলস দেখা দেয়। তাই সময় থাকতে থাকতেই চোখের যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন।


IMG_20220729_195344-1659104635820 চোখের রিঙ্কেলস দুর করার উপায় - Ways To Remove Eye Wrinkles

চোখের চারপাশের চামড়া কুচকে যাওয়ার সমাধান


কেন হয় ফাইন লাইনস ও রিংকেল?

রিংকেল এবং ফাইন লাইন হবার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যা আমরা চাইলেই কন্ট্রোল করতে পারিনা। যেমন-


বয়স- বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং নমনীয়তা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ফ্যাট কিংবা তেল উৎপাদন কমে যায়,যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে।


সূর্যের আলো কিংবা আলট্রা ভায়োলেটের প্রভাব- ত্বকে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নির প্রভাবে এজিং শুরু হয়, যা রিংকেল হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ। ইউভি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ত্বকের গভীরের কানেক্টিভ টিস্যু- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে নিস্তেজ করে দেয়। যার কারণে ত্বকে ভাজ অর্থাৎ রিংকেল দেখা যায়।

বলিরেখা বা রিঙ্কেলস দূর করতে অনেকে নামীদামি ব্র্যান্ডের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, কেউ কেউ আবার ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখেন।



চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল কমাতে কীভাবে যত্ন নেওয়া উচিত?



এছাড়াও ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের প্রতিদিনকার বিভিন্ন ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন (যেমন- চোখ কুঁচকে রাখা, কিংবা হাসার সময় চোখ ছোট করে ফেলা) ইত্যাদিও এই রিংকেল বা ফাইন লাইনের জন্য দায়ী।


চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইন লাইনসের প্রতিকার –

চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইনলাইন কেন হয়, তা তো আমরা জানলাম। এখন এই রিংকেল প্রতিকারের জন্য কিছু টিপস দেওয়া যাক।


সানস্ক্রিন

সূর্যের আলো থেকে যতটা পারা যায় স্কিনকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সানগ্লাস, ছাতা এবং লং-স্লিভ অর্থাৎ লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরতে হবে। আর এক্ষেত্রে স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে- সানস্ক্রিন। বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার

স্কিন ড্রাই কিংবা শুস্ক থাকলে সহজেই ফাইন লাইনস এবং রিংকেল দেখা দেয়। তাই শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

আই- ক্রিম

আমাদের চোখের নিচের ত্বক ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর পরিচর্যাতেও দরকার এক্সট্রা কেয়ার। ত্বকের ধরণ ও বয়স ভেদে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আই-ক্রিম পাওয়া যায়। রিংকেল ও ফাইনলাইনসের মতো সমস্যা এড়াতে আই-ক্রিম খুবই কার্যকরী।


হেলদি ডায়েট

আমমাদের ত্বকের জন্য কিছু কিছু ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৫ সহ ইত্যাদি। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে আমরা এ ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি।


রিংকেলের কিংবা ফাইনলাইনসের কিছু ন্যাচারাল রেমেডি

এবার রিংকেল বা ফাইন লাইনস রোধে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হোম রেমেডির কথা বলা যাক। আপনি সহজেই বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারবেন কার্যকরী এই প্যাকগুলো।


শসা এবং দইয়ের প্যাক-

চোখের সৌন্দর্য চর্চায় শসা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। শসায় এমন উপাদান আছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।

এই প্যাকটি বানানোর জন্য শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিমাণ মতো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের নিচে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।

কফি বিন প্যাক –

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফি এবং কোকোয়া পাউডার রিংকেল এবং ফাইনলাইনস কমাতে সাহায্য করে। কোকোয়া পাউডার এবং মধু একসাথে মিশিয়ে আপনি সহজেই আপনি প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

নারকেল তেল এবং হলুদের প্যাক –

নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সহজেই প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। নারকেল তেলের সাথে আমন্ড ওয়েল এবং ক্যামোমাইল ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।


পেঁপে এবং মধুর ফেইস প্যাক –

চোখের নিচের রিংকেল, ফাইনলাইনস এবং আইব্যাগের জন্য এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী। ত্বকের সুরক্ষা এবং ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে মধুও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিমাণ মত পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। সাথে কিছুটা টকদই মিশিয়ে লাগিয়ে নিন।

চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেলের যত্ন নিয়ে জানলেন। এগুলো ছিল চোখের নিচের ফাইনলাইনস এবং রিংকেল কমানোর ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে ত্বকের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। তাই আমাদের উচিত স্কিনকেয়ারের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ত্বক অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট স্কিন-কেয়ার রুটিন ফলো করা। তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।


শসার সঙ্গে পুদিনা পাতা

শসার সঙ্গে পুদিনা পাতা পিষে নিন। এতে তিন টেবিল চামচ দুধ, এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। চোখের নীচে পেস্টটি লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চোখের ফোলাভাব, ডার্ক সার্কেল ও রিঙ্কেলস কমায়।

অ্যালোভেরার সঙ্গে ভিটামিন ই

এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চোখের নীচে লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে এতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল এবং গোলাপ জলও মেশাতে পারেন।


অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই আই ব্যাগ প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে হাইড্রেট করে। চোখের প্রদাহ এবং লালচে ভাবও কমায়।

Tags

eye-wrinklewrinklesফাইন-লাইনস

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *